Ajker Patrika

নরসিংদীতে বিএনপি নেতা খোকনসহ ৩০ জনের নামে মামলা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ১৭: ৪৩
নরসিংদীতে বিএনপি নেতা খোকনসহ ৩০ জনের নামে মামলা

নরসিংদীতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় গুলি করে দুই ছাত্রদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তাঁর স্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নামে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর থানায় এই মামলা হয়। 

মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। 

মামলার বেশির ভাগ আসামি স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী। মামলার আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, চিনিশপুরের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ও তাঁর ভাতিজা রাসেলকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলামকে (২০) গুলি করে হত্যা করেন। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়সংলগ্ন স্থানে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সাদেকুর রহমান ও পরদিন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুল ইসলামের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেললাইন অবরোধ: ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে ছাত্র-জনতা রেলপথ অবরোধ শুরু করে। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে এসে আটকা পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের একাংশ হঠাৎ উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে শুরু করে। এ সময় ট্রেনের হেডলাইট ও কিছু গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ত্যাগ করে। এই অবরোধের ফলে বিদেশগামী যাত্রীসহ শত শত সাধারণ ট্রেনযাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অবরোধের আতঙ্কে কালনি এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ বেশ কিছু ট্রেন সময়মতো স্টেশনে পৌঁছাতে না পেরে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল।

ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার, ছাত্রদল নেতা জাহিদুল হক হৃদয়, ছাত্রনেতা শেখ মহিউদ্দিন চিশতি পরাগ ও হান্নান হিমুর নেতৃত্বে রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহিন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, জামায়াতে ইসলামী ভৈরব উপজেলা শাখার নায়েবে আমির অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মোছা এবং পৌর শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান মিঠু প্রমুখ।

অবরোধ চলাকালে ভৈরব সার্কেলের এএসপি নয়ন আহমেদ ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুহাদ রুহানী, স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘রেলপথ অবরোধের কারণে ১০টা ২৫ মিনিটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো ট্রেনটি আটকা ছিল। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

ভৈরব রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। আমরা এবং পুলিশ ট্রেনের ওপর ও লাইন থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে চাইলে আন্দোলনকারীদের একটা অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। ১১টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। অবরোধের কারণে কয়েকটি ট্রেন পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অবস্থান নেয়। এতে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়।’

এদিকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পর ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রেলস্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে কর্মকর্তারাই পাথর নিক্ষেপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন বানচাল করতে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। এ ঘটনার দায় আমাদের না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিরাজ মিয়া বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে। তিনি বেসিক ব্যাংক নরসিংদী শাখায় চাকরি করতেন।

গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই রোমান মোল্লা বলেন, আজ ভোরে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা দেন মিরাজ। গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া নামক স্থানে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মিরাজ মিয়া নিহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের পক্ষে পুলিশের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাদেক খান (৫৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাতে কোনো এক যানবাহনে চাপায় ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রথমে ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। তবে রাতেই সিআইডির ফরেনসিক টিমের সহযোগিতায় ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়। ওই ব্যক্তির নাম ছাদেক খান (৫৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামে। বাবার নাম রওশান আলী খান। বর্তমানে উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডে নিহত আবুল কালাম: মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০১
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম চোকদারকে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রিয়জনকে শেষবিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত হন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়া বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্বজনেরা তাঁর মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন এবং রাত ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ (৩৬) নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছোট ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর মা-বাবা মারা যান।

আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান—আব্দুল্লাহ (৫) ও সুরাইয়াকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানতলী এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি জনশক্তি রপ্তানির কাজ করতেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি বেয়ারিং প্যাড খুলে সরাসরি আবুল কালামের মাথা পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুল কালামের মেজো ভাই খোকন চোকদার বলেন, রাত ২টার দিকে ছোট ভাই আবুল কালামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ৯টায় গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ বলেন, ‘আবুল কালামের মা-বাবা অনেক আগেই মারা যান। ছেলেটি অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার হঠাৎ এভাবে করুণ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আবুল কালামের মৃত্যু মর্মান্তিক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত