হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’
হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া...
২৪ মিনিট আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ডামি রাইফেল প্রদর্শন করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে রাইফেলটি জব্দ করা হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল জুমার নামাজের পর ইসকনের ‘দেশব্যাপী সন্ত্রাসী-উগ্রবাদী কার্যক্রমের’ বিরুদ্ধে এবং ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরার জমজম টাওয়ার ও খালপাড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ, ১২ নম্বর সেক্টরের মুসল্লিরা, মাদ্রাসা ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থীরা ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বেলা ২টার দিকে পুলিশের একটি টহল দল জানতে পারে, কিছু ব্যক্তি তুরাগ থানার খালপাড় পুলিশ বক্সের কাছে জমায়েত করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
গোপন এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন করা মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে শনাক্ত করে তুরাগ থানা-পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ডামি রাইফেল প্রদর্শন করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে রাইফেলটি জব্দ করা হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল জুমার নামাজের পর ইসকনের ‘দেশব্যাপী সন্ত্রাসী-উগ্রবাদী কার্যক্রমের’ বিরুদ্ধে এবং ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরার জমজম টাওয়ার ও খালপাড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ, ১২ নম্বর সেক্টরের মুসল্লিরা, মাদ্রাসা ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থীরা ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বেলা ২টার দিকে পুলিশের একটি টহল দল জানতে পারে, কিছু ব্যক্তি তুরাগ থানার খালপাড় পুলিশ বক্সের কাছে জমায়েত করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
গোপন এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন করা মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে শনাক্ত করে তুরাগ থানা-পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে।

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া...
২৪ মিনিট আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। /
নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার দুপুরে ছনাটিয়া বিলে বিরোধপূর্ণ জমিতে মাছ ধরতে যান সোহেলের ভাই রুবেল মিয়াসহ আত্মীয়স্বজন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহেলের আত্মীয় ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ময়মনসিংহ মেডিকেলে যাওয়ার পথে ইয়াসিনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধেই মারামারি হয়েছে। এতে সোহেলের খালাতো ভাই মারা যান। তাঁদের পরিবারের লোকজনই বেশি আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। /
নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার দুপুরে ছনাটিয়া বিলে বিরোধপূর্ণ জমিতে মাছ ধরতে যান সোহেলের ভাই রুবেল মিয়াসহ আত্মীয়স্বজন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহেলের আত্মীয় ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ময়মনসিংহ মেডিকেলে যাওয়ার পথে ইয়াসিনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধেই মারামারি হয়েছে। এতে সোহেলের খালাতো ভাই মারা যান। তাঁদের পরিবারের লোকজনই বেশি আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেগঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া...
২৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংগঠিত চক্রের সদস্য, যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে শহরের কেরি মেমোরিয়াল স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ রায়কে (২৫) ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে পরে স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে দুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩২) ও মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কৃষ্ণপদ রায়কে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেখানে ডিভাইসসহ পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে প্রমাণ মিললে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংগঠিত চক্রের সদস্য, যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে শহরের কেরি মেমোরিয়াল স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ রায়কে (২৫) ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে পরে স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে দুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩২) ও মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কৃষ্ণপদ রায়কে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেখানে ডিভাইসসহ পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে প্রমাণ মিললে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ইয়াসিন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার ছনাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন ‘জুলাই শহীদ’ সোহেল মিয়ার খালাতো ভাই। সংঘর্ষে সোহেলের ভাই রুবেল মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া...
২৪ মিনিট আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৩৮ মিনিট আগে