হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে।
মো. রুমান নরসিংদী রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মুগলগাজীর ছেলে। তাঁর হাতে গড়া মাহমুদাবাদ মগল গাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই।
জানা যায়, রুমান স্থানীয় দারিদ্র্য কৃষক পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দেড় বছর বয়সে টাইফয়েড হলে চোখের আলো হারান। তার বাবা মগল গাজী চাইতেন, ছেলে কোরআনের হাফেজ হবেন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বাবার ইচ্ছে পূরণে একজনের পরামর্শে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন রুমান। ব্রেইল পদ্ধতিতে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। কম বেতনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে শতাধিক ছাত্রকে গড়েছেন হাফেজ। এরই মধ্যে পাঁচ-সাতজন প্রতিবন্ধী হাফেজ হয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
২০১৬ সালে ভাইদের সহযোগিতায় বাবার রেখে যাওয়া ১৫ শতাংশ জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসাটির প্রধান মুহতামিম রুমান নিজেই। তিনি ছাড়া তিনজন শিক্ষক পড়াচ্ছেন। মাদ্রাসাটিতে দুটো টিনশেড ঘর, অজুখানা গোসলখানা, শৌচাগার, পানির টিউবওয়েলের পাশেই মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসায় খাবার, নাশতা, জামাকাপড় সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। যা মানুষের দান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কয়েকজন ছাত্র বলেন, বড় হুজুরের সহযোগিতার কারণেই আমরা পড়তে পারছি। বড় হুজুরের তুলনা নাই। আমরাও তারই মতো অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চাই।
মাদ্রাসাটির কয়েকজন ছাত্র জানান, দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। দৃষ্টিহীনরা যখন প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তে আসে তখন তাদের কিছুটা কষ্ট হয়। পরে খাওয়া, গোসল, টয়লেট, চলাফেরা, মসজিদে নামাজ পড়াসহ সব কিছু নিজে নিজে করতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলায়মান ভূইয়া বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার দুই সন্তানকে হাফেজ হয়েছে। রুমান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি নিজের জন্য কিছুই করছেন না। সবই অন্যের জন্য করে যাচ্ছেন। কষ্ট করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।’

একই এলাকার সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অন্ধরা হাতে ধরে পড়াশোনা করে দেখে আরচাইজ্জ (আশ্চর্য) লাগে। এখানে আসলে মতো ভালো হয়ে যায়। তিনি অন্ধ হয়েও সুন্দর ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা পড়াশোনা করছে, এটা দেখে আনন্দ লাগে। অনেকে মাদ্রাসাটির কথা শুনে আসে।’
মো. রুমান বলেন, ‘আশপাশের কয়েক জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল থাকলেও মাদ্রাসা নেই। অন্ধদের কথা চিন্তা করে আট বছর আগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। মাদ্রাসাটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও এতিম প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই সংসার। তবে মাদ্রাসার নির্ধারিত কোনো ফান্ড না থাকায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পড়াতে ও মাদ্রাসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রুমানের এমন কাজ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি যা করে যাচ্ছেন খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি নিয়ম মাফিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক সহায়তা করা হবে।’

রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
২ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোরছালিন (২২)। তিনি পেশায় একজন টাইলসমিস্ত্রি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইয়ুম তালুকদার জানান, হত্যার দুই দিন আগে মোরছালিন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেন।
আজ শুক্রবার মোরছালিনকে নিয়ে পুলিশ যোগেশ চন্দ্রের বাড়ির পাশে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে যাবে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁদের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সেই মামলার অগ্রগতি হিসেবে এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করল।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত এখনই জানানো হচ্ছে না।

রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোরছালিন (২২)। তিনি পেশায় একজন টাইলসমিস্ত্রি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইয়ুম তালুকদার জানান, হত্যার দুই দিন আগে মোরছালিন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেন।
আজ শুক্রবার মোরছালিনকে নিয়ে পুলিশ যোগেশ চন্দ্রের বাড়ির পাশে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে যাবে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁদের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সেই মামলার অগ্রগতি হিসেবে এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করল।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত এখনই জানানো হচ্ছে না।

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইরাম দেওয়ান (২৬) ও আরেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ইরাম দেওয়ান (২৫)।
আজ শুক্রবার ভোর সারে ৪টার দিকে ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সহপাঠীরা দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে তাহসিম তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। ইরাম দেওয়ান চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
নিহতদের বন্ধু তাওসিফ জানান, তাঁদের বাসা সানারপাড় এলাকায়। এক বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু রাতে মাতুয়াইল এলাকায় যান। অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে সানারপাড়ের বাসায় ফিরছিলেন। কোনাপাড়া এলাকায় এলে উল্টো দিক থেকে আসা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে ইরাম ও তাহসিমের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়। দ্রুত তাঁদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাহসিম তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। ইরাম দেওয়ান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, ইরাম আইইউবিতে অনার্স শেষ বর্ষ ও তাহসিম ইউআইইউ-এ অনার্স ৩য় বর্ষে পড়তেন। দুজনের বাড়ি সানারপাড় এলাকায়।
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান গিয়ে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ করি। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা ময়লার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইরাম দেওয়ান (২৬) ও আরেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ইরাম দেওয়ান (২৫)।
আজ শুক্রবার ভোর সারে ৪টার দিকে ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সহপাঠীরা দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে তাহসিম তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। ইরাম দেওয়ান চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
নিহতদের বন্ধু তাওসিফ জানান, তাঁদের বাসা সানারপাড় এলাকায়। এক বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু রাতে মাতুয়াইল এলাকায় যান। অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে সানারপাড়ের বাসায় ফিরছিলেন। কোনাপাড়া এলাকায় এলে উল্টো দিক থেকে আসা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে ইরাম ও তাহসিমের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়। দ্রুত তাঁদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাহসিম তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। ইরাম দেওয়ান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, ইরাম আইইউবিতে অনার্স শেষ বর্ষ ও তাহসিম ইউআইইউ-এ অনার্স ৩য় বর্ষে পড়তেন। দুজনের বাড়ি সানারপাড় এলাকায়।
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান গিয়ে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ করি। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা ময়লার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাকিবুল ইসলাম। ছেলের মৃত্যুর জন্য গর্ত খনন করা ব্যক্তির অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যারা হাউজিং করেছে, এটা তাদেরই কাজ। গর্তের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, তারা যদি একটা নিশানা দিত, তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। তারা কিচ্ছু দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা, সেটা আমাকে দেবে।’
গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত এক গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর ৩২ ঘণ্টা পর মাটির প্রায় ৫০ ফুট নিচ থেকে গতকাল রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাকিবুল ইসলাম। ছেলের মৃত্যুর জন্য গর্ত খনন করা ব্যক্তির অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যারা হাউজিং করেছে, এটা তাদেরই কাজ। গর্তের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, তারা যদি একটা নিশানা দিত, তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। তারা কিচ্ছু দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা, সেটা আমাকে দেবে।’
গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত এক গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর ৩২ ঘণ্টা পর মাটির প্রায় ৫০ ফুট নিচ থেকে গতকাল রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে আরও তীব্রভাবে অনুভূত করিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকলেও বিকেল গড়ানোর পর থেকেই হঠাৎ ঠান্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস চারপাশকে জমিয়ে রাখে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাই এ সময়টায় শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।
শীত বাড়ায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত জ্বর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত দুই দিনে রোগীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশির ভাগই শিশু ও প্রবীণ।
শিশুরোগীর স্বজন রহিমা বেগম বলেন, ‘শীতের কারণে বাচ্চার সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না। সকালেই ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’ দিনমজুর আলমগীর হোসেন বলেন, দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শরীর জমে আসে। দুই দিন ধরে কাশি বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আসতে হলো।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুব আলম জানান, তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তিনি সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার, সকাল-সন্ধ্যায় বাইরে কম বের হওয়া এবং গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ও বিকেলের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যের আলো কিছুটা উষ্ণতা আনে, তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর শরীরে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। ফলে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহই বইছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা ছিল। আজ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৮ দশমিক ৯। এর আগের দিনগুলোতে যথাক্রমে— বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছি। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়বে।’

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে আরও তীব্রভাবে অনুভূত করিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকলেও বিকেল গড়ানোর পর থেকেই হঠাৎ ঠান্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস চারপাশকে জমিয়ে রাখে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাই এ সময়টায় শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।
শীত বাড়ায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত জ্বর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত দুই দিনে রোগীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশির ভাগই শিশু ও প্রবীণ।
শিশুরোগীর স্বজন রহিমা বেগম বলেন, ‘শীতের কারণে বাচ্চার সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না। সকালেই ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’ দিনমজুর আলমগীর হোসেন বলেন, দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শরীর জমে আসে। দুই দিন ধরে কাশি বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আসতে হলো।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুব আলম জানান, তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তিনি সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার, সকাল-সন্ধ্যায় বাইরে কম বের হওয়া এবং গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ও বিকেলের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যের আলো কিছুটা উষ্ণতা আনে, তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর শরীরে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। ফলে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহই বইছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা ছিল। আজ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৮ দশমিক ৯। এর আগের দিনগুলোতে যথাক্রমে— বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছি। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়বে।’

প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হেরে যায় সব প্রতিবন্ধকতা। আর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মো. রুমান (৪০)। চোখে আলো না থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রদের মধ্যে কোরআনের আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। শতাধিক ছাত্রকে গড়ে তুলেছেন হাফেজ হিসেবে...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
২ ঘণ্টা আগে