নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী, গাজীপুর ও ঢাকায়। এমনকি নির্বাচনী হলফনামায় ৮৫ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন লাকি।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মরজাল গ্রামে লায়লা কানিজ লাকির বাবার বাড়ি। এলাকায় অনেকের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লায়লা কানিজ লাকি একসময় ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছাদেকের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লাকি। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
সর্বশেষ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন (নরসিংদী-গাজীপুর আসন) পেতে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুমন মিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২৬ জুন পুনঃ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
লাকির যত সম্পদ
গ্রামের বাড়ি মরজালে কয়েক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট। নিজ বাড়িতে গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন ‘লাকি কটেজ’। বাড়ির পাশে সড়কের নামও রাখা হয় ‘লায়লা কানিজ লাকি সড়ক’।
এ ছাড়া গাজীপুরের পুবাইলে ‘আপন ভুবন’ নামে বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট রয়েছে লাকির মালিকানায়। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে শূন্য দশমিক ৪৫১৬২৫ একর জমি রয়েছে সেখানে।
পুবাইলের গ্লোবাল শুজ লিমিটেড কোম্পানির অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে লাকির। ওই কোম্পানির নামে জোত ১২৫-এ ৩৪৩৪৫ শতক, জোত ৭০-এ ২৮০০ শতক, জোত ৯০-এ শূন্য দশমিক ০৩৩০ শতক জমি রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে লাকির নামে রয়েছে ফ্ল্যাট। সাভারের বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ান ১৩৬৯৬-এ ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ জমিও রয়েছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লায়লা কানিজ লাকির আয় দেখানো হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৪ টাকা। মোট সম্পদ দেখানো হয় ৮৫ কোটি টাকার।
জমি দখলের অভিযোগ
লাকিদের হাতে জমি হারানো মরজালের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুয়া দলিলে লাকি আমাদের ২০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাঁর দখলের কারণে বাকিটা অন্যত্র বিক্রিও করতে পারছি না। এ নিয়ে ২০১৮ সালে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’
দখলের শিকার আরেক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে দুই শতক জমি ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে কিনে নেন লাকি। আমি বাড়িতে না থাকায় পরে ৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকি দুই শতকও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলে নেন।’ এ ঘটনায় তিন বছর আগে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান নজরুল।
সুজাৎ আলী মাস্টার নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘চার বছর আগে লাকি এবং তাঁর লোক নুরুজ্জামান ও রুহুল আমিন আমার স মিল, গাছপালা, ঘর ভেঙে জোরপূর্বক ৪২ শতক জমি দখলে নেন। এ বিষয়ে এসপি, ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। তদন্ত করতে কেউ এলেই তাঁদের টাকা দিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন লাকি। এতে কাজ না হলে কোর্টে মামলা করি, যা চলছে।’
মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাজিদা সুলতানা নাসিমা বলেন, ‘লাকি রায়পুরার ত্রাস। তাঁদের অবৈধ টাকার কারণে রাজু এমপির মতো লোক তাঁর ভক্ত হয়ে গেছেন। আমি নিজেই অনেক সাফারার সবাই জানে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে লায়লা কানিজ লাকির মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
আর লাকির বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমপির ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, রাজু অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত লায়লা
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ঈদের ছুটি শেষে তিন কর্মদিবস অনুপস্থিত। গতকালও উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত তিন কর্মদিবস উনাকে দেখতে পাইনি।’

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী, গাজীপুর ও ঢাকায়। এমনকি নির্বাচনী হলফনামায় ৮৫ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন লাকি।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মরজাল গ্রামে লায়লা কানিজ লাকির বাবার বাড়ি। এলাকায় অনেকের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লায়লা কানিজ লাকি একসময় ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছাদেকের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লাকি। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
সর্বশেষ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন (নরসিংদী-গাজীপুর আসন) পেতে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুমন মিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২৬ জুন পুনঃ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
লাকির যত সম্পদ
গ্রামের বাড়ি মরজালে কয়েক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট। নিজ বাড়িতে গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন ‘লাকি কটেজ’। বাড়ির পাশে সড়কের নামও রাখা হয় ‘লায়লা কানিজ লাকি সড়ক’।
এ ছাড়া গাজীপুরের পুবাইলে ‘আপন ভুবন’ নামে বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট রয়েছে লাকির মালিকানায়। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে শূন্য দশমিক ৪৫১৬২৫ একর জমি রয়েছে সেখানে।
পুবাইলের গ্লোবাল শুজ লিমিটেড কোম্পানির অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে লাকির। ওই কোম্পানির নামে জোত ১২৫-এ ৩৪৩৪৫ শতক, জোত ৭০-এ ২৮০০ শতক, জোত ৯০-এ শূন্য দশমিক ০৩৩০ শতক জমি রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে লাকির নামে রয়েছে ফ্ল্যাট। সাভারের বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ান ১৩৬৯৬-এ ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ জমিও রয়েছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লায়লা কানিজ লাকির আয় দেখানো হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৪ টাকা। মোট সম্পদ দেখানো হয় ৮৫ কোটি টাকার।
জমি দখলের অভিযোগ
লাকিদের হাতে জমি হারানো মরজালের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুয়া দলিলে লাকি আমাদের ২০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাঁর দখলের কারণে বাকিটা অন্যত্র বিক্রিও করতে পারছি না। এ নিয়ে ২০১৮ সালে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’
দখলের শিকার আরেক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে দুই শতক জমি ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে কিনে নেন লাকি। আমি বাড়িতে না থাকায় পরে ৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকি দুই শতকও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলে নেন।’ এ ঘটনায় তিন বছর আগে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান নজরুল।
সুজাৎ আলী মাস্টার নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘চার বছর আগে লাকি এবং তাঁর লোক নুরুজ্জামান ও রুহুল আমিন আমার স মিল, গাছপালা, ঘর ভেঙে জোরপূর্বক ৪২ শতক জমি দখলে নেন। এ বিষয়ে এসপি, ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। তদন্ত করতে কেউ এলেই তাঁদের টাকা দিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন লাকি। এতে কাজ না হলে কোর্টে মামলা করি, যা চলছে।’
মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাজিদা সুলতানা নাসিমা বলেন, ‘লাকি রায়পুরার ত্রাস। তাঁদের অবৈধ টাকার কারণে রাজু এমপির মতো লোক তাঁর ভক্ত হয়ে গেছেন। আমি নিজেই অনেক সাফারার সবাই জানে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে লায়লা কানিজ লাকির মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
আর লাকির বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমপির ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, রাজু অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত লায়লা
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ঈদের ছুটি শেষে তিন কর্মদিবস অনুপস্থিত। গতকালও উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত তিন কর্মদিবস উনাকে দেখতে পাইনি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী, গাজীপুর ও ঢাকায়। এমনকি নির্বাচনী হলফনামায় ৮৫ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন লাকি।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মরজাল গ্রামে লায়লা কানিজ লাকির বাবার বাড়ি। এলাকায় অনেকের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লায়লা কানিজ লাকি একসময় ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছাদেকের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লাকি। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
সর্বশেষ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন (নরসিংদী-গাজীপুর আসন) পেতে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুমন মিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২৬ জুন পুনঃ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
লাকির যত সম্পদ
গ্রামের বাড়ি মরজালে কয়েক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট। নিজ বাড়িতে গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন ‘লাকি কটেজ’। বাড়ির পাশে সড়কের নামও রাখা হয় ‘লায়লা কানিজ লাকি সড়ক’।
এ ছাড়া গাজীপুরের পুবাইলে ‘আপন ভুবন’ নামে বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট রয়েছে লাকির মালিকানায়। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে শূন্য দশমিক ৪৫১৬২৫ একর জমি রয়েছে সেখানে।
পুবাইলের গ্লোবাল শুজ লিমিটেড কোম্পানির অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে লাকির। ওই কোম্পানির নামে জোত ১২৫-এ ৩৪৩৪৫ শতক, জোত ৭০-এ ২৮০০ শতক, জোত ৯০-এ শূন্য দশমিক ০৩৩০ শতক জমি রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে লাকির নামে রয়েছে ফ্ল্যাট। সাভারের বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ান ১৩৬৯৬-এ ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ জমিও রয়েছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লায়লা কানিজ লাকির আয় দেখানো হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৪ টাকা। মোট সম্পদ দেখানো হয় ৮৫ কোটি টাকার।
জমি দখলের অভিযোগ
লাকিদের হাতে জমি হারানো মরজালের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুয়া দলিলে লাকি আমাদের ২০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাঁর দখলের কারণে বাকিটা অন্যত্র বিক্রিও করতে পারছি না। এ নিয়ে ২০১৮ সালে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’
দখলের শিকার আরেক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে দুই শতক জমি ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে কিনে নেন লাকি। আমি বাড়িতে না থাকায় পরে ৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকি দুই শতকও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলে নেন।’ এ ঘটনায় তিন বছর আগে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান নজরুল।
সুজাৎ আলী মাস্টার নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘চার বছর আগে লাকি এবং তাঁর লোক নুরুজ্জামান ও রুহুল আমিন আমার স মিল, গাছপালা, ঘর ভেঙে জোরপূর্বক ৪২ শতক জমি দখলে নেন। এ বিষয়ে এসপি, ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। তদন্ত করতে কেউ এলেই তাঁদের টাকা দিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন লাকি। এতে কাজ না হলে কোর্টে মামলা করি, যা চলছে।’
মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাজিদা সুলতানা নাসিমা বলেন, ‘লাকি রায়পুরার ত্রাস। তাঁদের অবৈধ টাকার কারণে রাজু এমপির মতো লোক তাঁর ভক্ত হয়ে গেছেন। আমি নিজেই অনেক সাফারার সবাই জানে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে লায়লা কানিজ লাকির মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
আর লাকির বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমপির ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, রাজু অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত লায়লা
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ঈদের ছুটি শেষে তিন কর্মদিবস অনুপস্থিত। গতকালও উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত তিন কর্মদিবস উনাকে দেখতে পাইনি।’

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী, গাজীপুর ও ঢাকায়। এমনকি নির্বাচনী হলফনামায় ৮৫ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন লাকি।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের মরজাল গ্রামে লায়লা কানিজ লাকির বাবার বাড়ি। এলাকায় অনেকের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লায়লা কানিজ লাকি একসময় ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছাদেকের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লাকি। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
সর্বশেষ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন (নরসিংদী-গাজীপুর আসন) পেতে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুমন মিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২৬ জুন পুনঃ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
লাকির যত সম্পদ
গ্রামের বাড়ি মরজালে কয়েক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট। নিজ বাড়িতে গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন ‘লাকি কটেজ’। বাড়ির পাশে সড়কের নামও রাখা হয় ‘লায়লা কানিজ লাকি সড়ক’।
এ ছাড়া গাজীপুরের পুবাইলে ‘আপন ভুবন’ নামে বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট রয়েছে লাকির মালিকানায়। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে শূন্য দশমিক ৪৫১৬২৫ একর জমি রয়েছে সেখানে।
পুবাইলের গ্লোবাল শুজ লিমিটেড কোম্পানির অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে লাকির। ওই কোম্পানির নামে জোত ১২৫-এ ৩৪৩৪৫ শতক, জোত ৭০-এ ২৮০০ শতক, জোত ৯০-এ শূন্য দশমিক ০৩৩০ শতক জমি রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে লাকির নামে রয়েছে ফ্ল্যাট। সাভারের বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ান ১৩৬৯৬-এ ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ জমিও রয়েছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লায়লা কানিজ লাকির আয় দেখানো হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৪ টাকা। মোট সম্পদ দেখানো হয় ৮৫ কোটি টাকার।
জমি দখলের অভিযোগ
লাকিদের হাতে জমি হারানো মরজালের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুয়া দলিলে লাকি আমাদের ২০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাঁর দখলের কারণে বাকিটা অন্যত্র বিক্রিও করতে পারছি না। এ নিয়ে ২০১৮ সালে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’
দখলের শিকার আরেক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে দুই শতক জমি ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে কিনে নেন লাকি। আমি বাড়িতে না থাকায় পরে ৪ লাখ টাকা দিয়ে বাকি দুই শতকও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলে নেন।’ এ ঘটনায় তিন বছর আগে বিভাগীয় কমিশনার, দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান নজরুল।
সুজাৎ আলী মাস্টার নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘চার বছর আগে লাকি এবং তাঁর লোক নুরুজ্জামান ও রুহুল আমিন আমার স মিল, গাছপালা, ঘর ভেঙে জোরপূর্বক ৪২ শতক জমি দখলে নেন। এ বিষয়ে এসপি, ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। তদন্ত করতে কেউ এলেই তাঁদের টাকা দিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন লাকি। এতে কাজ না হলে কোর্টে মামলা করি, যা চলছে।’
মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাজিদা সুলতানা নাসিমা বলেন, ‘লাকি রায়পুরার ত্রাস। তাঁদের অবৈধ টাকার কারণে রাজু এমপির মতো লোক তাঁর ভক্ত হয়ে গেছেন। আমি নিজেই অনেক সাফারার সবাই জানে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে লায়লা কানিজ লাকির মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
আর লাকির বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমপির ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, রাজু অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত লায়লা
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ঈদের ছুটি শেষে তিন কর্মদিবস অনুপস্থিত। গতকালও উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত তিন কর্মদিবস উনাকে দেখতে পাইনি।’

১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৯ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
৪০ মিনিট আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
৫ ঘণ্টা আগেমিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)

১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে সারবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অনেককে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৮৫ জন শহীদ হন।
এই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণকবরের পাশে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ৬ মার্চ গগণবাড়িয়া গ্রামে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ ও জীবন্ত মানুষ মাটিচাপা দেওয়ার গণকবর ও বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গগণবাড়িয়া ঐতিহাসিক গণকবর ও বধ্যভূমিতে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে গগণবাড়িয়া গ্রামের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহাসিক গণকবরের পাশে নির্মিত বধ্যভূমিটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। দাওকান্দি সরকারি কলেজের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গগণবাড়িয়া গ্রামের ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে এবং জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা।’
যুগিশো গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যদুনাথ সরকারের ভাতিজা এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গগণবাড়িয়া গ্রামের গণহত্যার স্থানটি অবহেলিত ছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হলে ২০০২ সালে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই স্থানে গণকবরের পাশে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান বলেন, ‘গগণবাড়িয়া একটি ঐতিহাসিক স্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশতুরা আমিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গগণবাড়িয়ার গণকবর ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে সারবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অনেককে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৮৫ জন শহীদ হন।
এই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণকবরের পাশে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ৬ মার্চ গগণবাড়িয়া গ্রামে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ ও জীবন্ত মানুষ মাটিচাপা দেওয়ার গণকবর ও বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গগণবাড়িয়া ঐতিহাসিক গণকবর ও বধ্যভূমিতে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে গগণবাড়িয়া গ্রামের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহাসিক গণকবরের পাশে নির্মিত বধ্যভূমিটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। দাওকান্দি সরকারি কলেজের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গগণবাড়িয়া গ্রামের ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে এবং জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা।’
যুগিশো গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যদুনাথ সরকারের ভাতিজা এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গগণবাড়িয়া গ্রামের গণহত্যার স্থানটি অবহেলিত ছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হলে ২০০২ সালে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই স্থানে গণকবরের পাশে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান বলেন, ‘গগণবাড়িয়া একটি ঐতিহাসিক স্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশতুরা আমিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গগণবাড়িয়ার গণকবর ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী,
২৪ জুন ২০২৪
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
৪০ মিনিট আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
৫ ঘণ্টা আগেআদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন একই উপজেলার শিয়ালশন গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম হোসেন (২৩), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে রাহিম রানা (২০) ও একই গ্রামের লিটন আলীর ছেলে তৌফিক আলী (২২)।
আদমদীঘি থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার থেকে আদমদীঘি অভিমুখে যাচ্ছিল দুই মোটরসাইকেল। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে দুটি মোটরসাইকেলের। এ সময় দুই মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ১১টায় সেখানকার চিকিৎসক রিমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার ও দুই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন একই উপজেলার শিয়ালশন গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম হোসেন (২৩), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে রাহিম রানা (২০) ও একই গ্রামের লিটন আলীর ছেলে তৌফিক আলী (২২)।
আদমদীঘি থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার থেকে আদমদীঘি অভিমুখে যাচ্ছিল দুই মোটরসাইকেল। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে দুটি মোটরসাইকেলের। এ সময় দুই মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ১১টায় সেখানকার চিকিৎসক রিমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার ও দুই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী,
২৪ জুন ২০২৪
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৯ মিনিট আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
৫ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী,
২৪ জুন ২০২৪
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৯ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
৪০ মিনিট আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
এরপর দলের শীর্ষ ক্ষমতায় থেকে শাহীন চাকলাদার তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান, পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা শাহীন দীর্ঘ ক্ষমতার আবর্তে হয়ে ওঠেন জেলার একক নিয়ন্ত্রক। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কারণেই দৃশ্যত দুর্নীতির সেই মামলার রায় হয়নি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সেই মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান শাহীন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিকে ২০০৯-১৭ সাল পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদক মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ দিয়ে তিনি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা বিচারাধীন।
শুধু শাহীন চাকলাদার কিংবা সাবেক ভিসি সাত্তার নয়; গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নড়েচড়ে বসেছেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের জালে আটকে গেছেন যশোর ও নড়াইলের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তারা। নজরদারিতে রয়েছেন অর্ধশতাধিক সরকারি আমলা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। ধরপাকড়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধে যেমন রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে দুদক, তেমনি মামলা-চার্জশিটেও অপেক্ষাকৃত বেশি আসামিকে অভিযুক্ত করেছে সংস্থাটি।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ছিল ১৬টি। অনুসন্ধান করেছে ৩৮টি। এরপর মামলা করা হয়েছে ২২টি। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ১৪টির। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদক সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালিয়েছে সাবরেজিস্ট্রি অফিস, কাস্টসম, বিআরটিএ, জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, ভূমি অফিস, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ সরকারি দপ্তরগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই নানা অসংগতি দেখেছে। কয়েকটি জায়গায় মামলা করা হলেও বাকিগুলো তদন্তাধীন বলে জানা গেছে। আদালতের মাধ্যমে দুদক ইতিমধ্যে ছয় সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং তাঁদের স্ত্রীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক এমপি রনজিৎ রায়, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল।
এ ছাড়া আরও তিনজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সর্বশেষ যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
যেসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নড়াইলের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭ গ্রাহকের পাস বই ব্যবহার করে সরকারি ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় যশোরের সাবেক পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল বাকিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দিয়েছে।
অন্যদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামসহ দুদক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ অক্টোবর আড়াই লাখ টাকা ঘুষসহ যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও সহযোগী হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানতে চাইলে টিআইবি যশোরের সভাপতি পাভেল চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে দুদক ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এমন ঘটনা আছে অহরহ। সংস্থাটি বিগত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন অনেকটা স্বাধীন হয়েছে বলেই বিগত সরকারের আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের জালে আটকে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুদক যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক বিগত সময়কালের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্বাধীন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে। অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তা ছাড়া বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
এরপর দলের শীর্ষ ক্ষমতায় থেকে শাহীন চাকলাদার তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান, পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা শাহীন দীর্ঘ ক্ষমতার আবর্তে হয়ে ওঠেন জেলার একক নিয়ন্ত্রক। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কারণেই দৃশ্যত দুর্নীতির সেই মামলার রায় হয়নি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সেই মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান শাহীন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিকে ২০০৯-১৭ সাল পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদক মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ দিয়ে তিনি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা বিচারাধীন।
শুধু শাহীন চাকলাদার কিংবা সাবেক ভিসি সাত্তার নয়; গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নড়েচড়ে বসেছেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের জালে আটকে গেছেন যশোর ও নড়াইলের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তারা। নজরদারিতে রয়েছেন অর্ধশতাধিক সরকারি আমলা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। ধরপাকড়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধে যেমন রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে দুদক, তেমনি মামলা-চার্জশিটেও অপেক্ষাকৃত বেশি আসামিকে অভিযুক্ত করেছে সংস্থাটি।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ছিল ১৬টি। অনুসন্ধান করেছে ৩৮টি। এরপর মামলা করা হয়েছে ২২টি। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ১৪টির। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদক সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালিয়েছে সাবরেজিস্ট্রি অফিস, কাস্টসম, বিআরটিএ, জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, ভূমি অফিস, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ সরকারি দপ্তরগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই নানা অসংগতি দেখেছে। কয়েকটি জায়গায় মামলা করা হলেও বাকিগুলো তদন্তাধীন বলে জানা গেছে। আদালতের মাধ্যমে দুদক ইতিমধ্যে ছয় সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং তাঁদের স্ত্রীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক এমপি রনজিৎ রায়, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল।
এ ছাড়া আরও তিনজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সর্বশেষ যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
যেসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নড়াইলের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭ গ্রাহকের পাস বই ব্যবহার করে সরকারি ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় যশোরের সাবেক পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল বাকিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দিয়েছে।
অন্যদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামসহ দুদক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ অক্টোবর আড়াই লাখ টাকা ঘুষসহ যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও সহযোগী হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানতে চাইলে টিআইবি যশোরের সভাপতি পাভেল চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে দুদক ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এমন ঘটনা আছে অহরহ। সংস্থাটি বিগত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন অনেকটা স্বাধীন হয়েছে বলেই বিগত সরকারের আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের জালে আটকে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুদক যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক বিগত সময়কালের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্বাধীন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে। অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তা ছাড়া বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

ছেলের ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের অব্যাহতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির বাড়ি নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। লাকি ও তাঁর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে নরসিংদী,
২৪ জুন ২০২৪
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৯ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
৪০ মিনিট আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে