Ajker Patrika

৬ বছরেও শেষ হয়নি আশ্রয়কেন্দ্র, বখাটে-মাদকসেবীদের আড্ডাখানা

হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি। সেখানে এখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি। সেখানে এখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর রায়পুরার নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত চরাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের আশ্রয়কেন্দ্র আজও অপূর্ণ। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। কাঙ্ক্ষিত সুফল না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন চরবাসী। উল্টো অরক্ষিত ভবনটি এখন পরিণত হয়েছে বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি বাইরে থেকে দেখে মনে হয় কোনো পরিত্যক্ত স্থাপনা। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিল বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম এবং দুর্যোগকালে বন্যার্তদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, দরজা-জানালাবিহীন ফাঁকা ভবনটি এখন সমাজবিরোধী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দিনে দিনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এলাকা।

২০১৯ সালে ‘বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়)’-এর আওতায় কাজটি শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরেও তা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বারবার ঠিকাদারের খোঁজ করেছি, কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না। কাজটি শেষ হলে আমাদের অনেক উপকার হতো। এখন এটি মাদকসেবীদের নিরাপদ আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।’

ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু হলেও এখনো অসম্পূর্ণ। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কাজ হলে মানুষ যেমন আশ্রয় নিত, তেমনি গবাদি পশুও রক্ষা পেত।’

মির্জাচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন জানান, তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছাদ ও দেওয়াল নির্মিত হলেও আরও অনেক কাজ বাকি আছে। কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও দুর্যোগকালীন মানুষের জন্য উপকারে আসবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজ খান বলেন, ‘নির্মাণশ্রমিকেরা এলাকার বাইরে থেকে আসায় স্থানীয় কোন্দলের কারণে কাজে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া মেলেনি। লিখিত চিঠির পর তারা জানিয়েছে, দ্রুতই এসে কাজ সম্পন্ন করবে।’

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। অবশিষ্ট অংশ দ্রুত সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রিজন ভ্যান থামিয়ে ছাগল-কাণ্ডের মতিউরকে অনৈতিক সুবিধা, ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই, সুবিধা কী

মাজার ভেঙে লাশ পোড়ানোর সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক নেই: ইসলামী আন্দোলন

নুরাল পাগলার দাফনকে কেন্দ্র করে যেভাবে সহিংসতা ঘটল

রূপপুরের বালিশ-কাণ্ডে এক প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর, অন্যজনের নিম্ন গ্রেডে অবনমন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত