মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'

২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।
১১ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া...
২৮ মিনিট আগে
বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
৬ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
০৬ অক্টোবর ২০২১
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।
১১ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া...
২৮ মিনিট আগে
বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
৬ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাঁদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক সড়কের সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদির গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ শেষে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। মুজুরদিয়া কানখরদি মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা ফরিদপুরগামী একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। এ ছাড়া সঞ্জয় বণিক, নেপাল সাহা, সুজিত সাহা, টুকটুকি ও ভ্যানচালক সুমন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাক রেখে পালিয়ে যান চালক ও তাঁর সহকারী।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রয়েল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ছাড়া ট্রাকটিকে থানা-পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল-আমিন হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতেই মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাঁদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক সড়কের সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদির গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ শেষে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। মুজুরদিয়া কানখরদি মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা ফরিদপুরগামী একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। এ ছাড়া সঞ্জয় বণিক, নেপাল সাহা, সুজিত সাহা, টুকটুকি ও ভ্যানচালক সুমন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাক রেখে পালিয়ে যান চালক ও তাঁর সহকারী।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রয়েল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ছাড়া ট্রাকটিকে থানা-পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল-আমিন হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতেই মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
০৬ অক্টোবর ২০২১
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৮ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া...
২৮ মিনিট আগে
বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
৬ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী লিমা বেগম (৪০) ও জয়পুরহাট সদরের বাসিন্দা সবদের আলী (৫০)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বিকেলের দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপজেলা শহরের দিকে যাচ্ছিল আর গোবিন্দগঞ্জের দিক থেকে নাকাইহাট বাজারের দিকে আসছিল শ্যালো মেশিন দ্বারা চালিত ট্রলি। গাড়ি দুটি নাকাইহাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বাজুনিয়াপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী লিমা বেগম (৪০) ও জয়পুরহাট সদরের বাসিন্দা সবদের আলী (৫০)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বিকেলের দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপজেলা শহরের দিকে যাচ্ছিল আর গোবিন্দগঞ্জের দিক থেকে নাকাইহাট বাজারের দিকে আসছিল শ্যালো মেশিন দ্বারা চালিত ট্রলি। গাড়ি দুটি নাকাইহাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বাজুনিয়াপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
০৬ অক্টোবর ২০২১
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।
১১ মিনিট আগে
বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
৬ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আয়কর ধরা হয়। তাই দাম কিছুটা বেশি হয়। বাজারমূল্যের সঙ্গে বিলের পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়।
জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্টে মেসার্স রুমেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশনে এসব মালামাল ক্রয় দেখানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেখিয়ে মালামাল সরবরাহ করেছেন পৌরসভার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা বাড়তি বিল পরিশোধ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত জুলাইয়ে মালামাল সরবরাহ দেখিয়ে আগস্টে পৌরসভায় বিল দাখিল করা হয়।
বিলের কাগজে দেখা গেছে, ৫০০ পিছ ১৫ ওয়াটের এলইডি বাল্ব কেনা হয়েছে ৩১৮ টাকা দরে, এই বাল্ব বাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যায়। তিন কয়েল (১ আরএম) তার কেনা হয়েছে ৪৮ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতি কয়েল তারের দাম পড়ে ১৬ হাজার ২০০ টাকা। অথচ বাজারে এই তার ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যায়।
বিলে দেখা যায়, ১০০টি লাইট হোল্ডার কেনা হয়েছে প্রতিটি ২১০ টাকা দরে। স্থানীয় বাজারে এই হোল্ডার বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। ১০০ ওয়াটের ১৩টি ফ্লাডলাইট কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৬৪০ টাকা দরে। বাজারে এর দাম ৩ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৫০ ওয়াটের ফ্লাডলাইট, কিন্তু বিল দেখানো হয়েছে ১০০ ওয়াটের হিসেবে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এভাবে বছরের পর বছর পৌরসভায় কেনাকাটার নামে লুটপাট চলছে। এই ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটা করেছেন দুই কর্মকর্তা। তাঁরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখালেও বাস্তবে নিজেরাই মালামাল কিনে সরবরাহ করেছেন। এ কারণে দামও বেশি দেখিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার একজন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালামাল সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনেই দর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, কাজটি কোটেশনের মাধ্যমে হয়েছে, এটি দ্রুত ভিত্তিতে ক্রয়ের একটি সরকারি প্রক্রিয়া। বাড়তি মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ নেই। এটি হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।

বাজারে এক কয়েল (এক আরএম) তারের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা এই তার কিনেছে ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। শুধু তা-ই নয়, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্লাডলাইট, হোল্ডার ও সার্কিট ব্রেকারের মতো ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় বাড়তি মূল্য পরিশোধ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আয়কর ধরা হয়। তাই দাম কিছুটা বেশি হয়। বাজারমূল্যের সঙ্গে বিলের পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়।
জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্টে মেসার্স রুমেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশনে এসব মালামাল ক্রয় দেখানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেখিয়ে মালামাল সরবরাহ করেছেন পৌরসভার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা বাড়তি বিল পরিশোধ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত জুলাইয়ে মালামাল সরবরাহ দেখিয়ে আগস্টে পৌরসভায় বিল দাখিল করা হয়।
বিলের কাগজে দেখা গেছে, ৫০০ পিছ ১৫ ওয়াটের এলইডি বাল্ব কেনা হয়েছে ৩১৮ টাকা দরে, এই বাল্ব বাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যায়। তিন কয়েল (১ আরএম) তার কেনা হয়েছে ৪৮ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতি কয়েল তারের দাম পড়ে ১৬ হাজার ২০০ টাকা। অথচ বাজারে এই তার ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যায়।
বিলে দেখা যায়, ১০০টি লাইট হোল্ডার কেনা হয়েছে প্রতিটি ২১০ টাকা দরে। স্থানীয় বাজারে এই হোল্ডার বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। ১০০ ওয়াটের ১৩টি ফ্লাডলাইট কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৬৪০ টাকা দরে। বাজারে এর দাম ৩ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৫০ ওয়াটের ফ্লাডলাইট, কিন্তু বিল দেখানো হয়েছে ১০০ ওয়াটের হিসেবে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এভাবে বছরের পর বছর পৌরসভায় কেনাকাটার নামে লুটপাট চলছে। এই ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটা করেছেন দুই কর্মকর্তা। তাঁরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখালেও বাস্তবে নিজেরাই মালামাল কিনে সরবরাহ করেছেন। এ কারণে দামও বেশি দেখিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার একজন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালামাল সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনেই দর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, কাজটি কোটেশনের মাধ্যমে হয়েছে, এটি দ্রুত ভিত্তিতে ক্রয়ের একটি সরকারি প্রক্রিয়া। বাড়তি মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ নেই। এটি হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।

সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
০৬ অক্টোবর ২০২১
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নামযজ্ঞ থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুজনের। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতৈর ইউনিয়নের সেনাহাটি গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী বড়নগর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহা (৫০)। তাঁরা দুজনেই সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।
১১ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট আঞ্চলিক সড়কে ট্রলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কের বাজুনিয়াপাড়ার ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বড় বাজুনিয়াপাড়া...
২৮ মিনিট আগে