Ajker Patrika

ছেলে হত্যার ঘটনায় বাবার মামলা-বাণিজ্যের অভিযোগ

  • হত্যাকাণ্ডের পরদিন দুজনের নামে মামলা করেন নিহতের বাবা
  • দ্বিতীয় দফায় ওই মামলায় আরও ২৮ জনকে আসামি করা হয়
  • আসামিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ বাদীর বিরুদ্ধে
সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
তৌহিদুল ইসলাম জিসান
তৌহিদুল ইসলাম জিসান

গত বছরের ৩০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাছুমাবাদ এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন তৌহিদুল ইসলাম জিসান (২২)। তিনি ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক। হত্যাকাণ্ডের পরদিন তাঁর বাবা আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় জিসানের বন্ধু নাঈম ও তাঁর বাবা কামালের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও তিন-চারজনকে। তবে গত ৫ আগস্টের পর আদালতে ফের সিআর মামলা করার চেষ্টা করেন জিসানের বাবা আলমগীর। সেখানে প্রথম মামলায় থাকা দুই আসামিসহ আরও ২৮ জনকে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়।

এদিকে, মামলায় নতুন নাম সংযুক্তির পরপরই উপজেলার মাছুমাবাদ ও মিঠাব গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। অভিযোগ রয়েছে, নতুন করে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া ২৮ জনের অধিকাংশই বাদীর ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার। বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

নতুন করে মামলার আসামি হয়েছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের একজন তাজুল ইসলাম, যিনি মামলার ১৮ নম্বর আসামি। তাজুল ভুলতা ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘যে ছেলে বাড়ির কাছে মারামারি করে মারা যায়, সেই মামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় কীভাবে রূপ দেওয়া হয়? তা ছাড়া মামলার বাদী আলমগীর নিজেও আওয়ামী লীগ করতেন। এখন তিনি মামলায় গ্রামের মানুষকে আসামি করে সবার থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।’

জিসানকে ছুরিকাঘাত করার পর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু মাহিদ ইসলাম অংকন ও রাব্বী। অংকন নিজেও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। প্রথম করা মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন মামলায় তাঁকে করা হয়েছে ৩ নম্বর আসামি। অংকন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জিসানের বাবা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেন। আমাকে ডেকেছিলেন তাঁর সঙ্গে থাকতে; কিন্তু তাঁর কাজ দেখে আর যাইনি। এ জন্য মামলায় আমার নামেও দেন।’

ঘটনার পরদিন করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্বশত্রুতার জেরে জিসানের ওপর অতর্কিতে হামলা করে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। তবে নতুন মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর ৬ নম্বর আসামির (গোলাম দস্তগীর গাজীর) নির্দেশে মামলার প্রথম নয়জন আসামি জিসানকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করার পর হত্যা করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে জিসান থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। একই পদে যেতে চাইত অংকন। জিসানকে মাইনাস করতে পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের হাতে তুলে দেয় সে।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করা ও চাঁদা দাবির বিষয়ে আলমগীর বলেন, ‘যাঁরা বিএনপির নেতা-কর্মী বলে দাবি করছেন, তাঁরা বিএনপি করেন না। আর টাকা দাবি করলে তো আগেই করতে পারতাম।’

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘বাদীর চাঁদা দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।’

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা (পরিদর্শক) হাবিব বাহার বলেন, ‘বাদী যদি আসামিদের কাছে টাকা চান, সেটা তো আমার নলেজের বাইরে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা: আদালতে দায় স্বীকার করে ৩ আসামির জবানবন্দি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার জোবায়েদের ছাত্রী (১৯), তাঁর বন্ধু মো. মাহির রহমান (১৯) ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন।

বিকেলে বংশাল থানা-পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা জানান। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।

পরে তিনজনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান, মাসুম মিয়া ও জুয়েল রানার খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি মাহির জবানবন্দি দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে। জোবায়েদের ছাত্রী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া ও আয়লান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার কাছে জবানবন্দি দেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা জবানবন্দি দেন।

আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জোবায়েদ খুন হওয়ার পর ওই দিন রাতেই তাঁর ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করে পুলিশ। আজ সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী, তাঁর বন্ধু মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লানকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার–পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

জবানবন্দিতে যা বলেছেন তিনজন

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে তাঁদের মুখোমুখি করা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাঁরা যা বলেছেন, আদালতে সে রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

প্রত্যেকে জবানবন্দিতে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাঁরা সংঘটিত করেছেন পরিকল্পিতভাবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা জোবায়েদকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কিশোরীকে রেস্টুরেন্টে ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ আরও দুজন পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জামতৈল গ্রামের আলমের ছেলে মো. আকাশ (২১), নান্নু সরকারের ছেলে মো. আতিক (২৩) এবং কর্ণসুতি গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামাণিকের ছেলে নাজমুল হক নয়ন (২০)।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার জামতৈল বাজার এলাকা থেকে আকাশ ও আতিককে এবং পরে নাজমুল হক নয়নকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণসুতি গ্রামের এক কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে উপজেলার জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কসংলগ্ন ‘ডেরা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে’ ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় কিশোরীর মা গতকাল কামারখন্দ থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে আ.লীগ অফিসে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। নগরীর নিউমার্কেট দোস্ত বিল্ডিংয়ের কার্যালয়টিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ভাঙচুর চালানো হয়। তবে ভাঙচুর সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে থাকা কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

আব্দুল মালেক নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, বিকেলে ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে দোস্ত বিল্ডিংয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর শেষে তারা ভবনটিতে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও মুজিব সেনা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা ছিল।

চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি ভাঙচুর চালিয়ে তছনছ করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কার্যালয় দুটি তালা দেওয়া ছিল বলে জানান স্থানীয় ওই দোকানদার। ভাঙচুর করতে আসা যুবকদের সঙ্গে বিল্ডিংয়ের লিজ দাবিদার জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ভবনটিতে অবৈধভাবে দখল করে কার্যালয় পরিচালনা করে আসছিল আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের পর কিছুদিন কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। কিন্তু কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তিন-চার মাস ধরে রাতের বেলায় কার্যালয়টিতে বসে মিটিং করে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব নাশতার পরিকল্পনা হয় এই কার্যালয় থেকে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ‘৩৬ জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের লোকজন কার্যালয়টিতে তল্লাশি করে। এই সময় কার্যালয়টিতে সম্প্রতি সময়ে মিটিং করার নমুনা হিসেবে ড্রিংকিং ওয়াটার, বিছানা, চেয়ার টেবিল, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা ও ইন্দিরা গান্ধীর ছবি পাওয়া গেছে বলে জানান এনসিপির এই নেতা।

চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

অপর দিকে ঘটনাস্থলের কাছে থাকা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু আগে রাতে এই বিষয়ে খবর পেয়েছি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে এই ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের দোস্ত বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৪১টি কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক একজন বিহারি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যিনি দেশত্যাগ করেন।

এর পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভবনটি দখল করে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। মাঝখানে ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জাকির নামের এক ব্যক্তিকে লিজ দিলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় তিনি দখল নিতে পারেননি। ভবনটি নিয়ে লিজ পাওয়া ব্যক্তি ও দখলদারদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কমপক্ষে চারটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে সোনার বারসহ গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
উদ্ধার করা সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা-পুলিশ ৫টি সোনার বার উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মোশারফ হোসেন (২০)। তিনি সোনা চোরাকারবারি বলছে পুলিশ।

মোশারফের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বকচর গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রফিকুল আলম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার হাটপাড়া ঘাটসংলগ্ন পদ্মা নদীর পাশে অভিযান চালিয়ে ৫টি সোনার বারসহ মোশারফকে আটক করা হয়।

কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৫টি সোনার বার কাটা অবস্থায় ছিল। এগুলোর ওজন ২৯৪ দশমিক ১৩ গ্রাম। তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় সোনা চোরাকারবারি চক্রের আরও দুই সদস্য ডাবলু ও জাহিদ কৌশলে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত