Ajker Patrika

কোটা আন্দোলন: নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে আরও ১১৫ জন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
কোটা আন্দোলন: নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে আরও ১১৫ জন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০৯ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের পাঁচ থানায় করা নয়টি মামলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল এই তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে থানাগুলোতে আরও মামলা করার আগাম বার্তা দেন তিনি। ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের ধরতে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাতজন স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মামুন ও জামায়াত নেতা মাসুদ মেম্বারের নেতৃত্বে নাশকতা চালানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশদাতা ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলছে। নাশকতা চালানো বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাশকতার সঙ্গে ছিল না। তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু লোককে বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা টাকা দিয়ে লোক এনেছে ধ্বংসযজ্ঞ বাড়ানোর জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাঁচ দফা দাবিতে ফের শাহবাগে প্রতিবন্ধীদের অবস্থান, পুলিশের বাধা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছে এক চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছে এক চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা ও স্বতন্ত্র কোটা পুনর্বহালসহ পাঁচ দফা দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদ। আজ বুধবার সকালে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদের ব্যানারে অবস্থান নেন তাঁরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে শাহবাগ মোড়ে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।

‎‎চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা জানান, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকার দাবি জানিয়ে আসছে। তবুও কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।

গত রোববার একই দাবিতে শাহবাগে অবস্থানের পর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও কোনো ধরনের সমাধান না পাওয়ায় আজ আবারও শাহবাগে অবস্থান ও যমুনামুখী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়।

‎এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন তাঁরা। তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে—প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী শিক্ষিত বেকারদের প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২ শতাংশ ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র কোটা বাস্তবায়ন, শ্রুতি লেখক মনোনয়নে স্বাধীনতা নিশ্চিত করে নীতিমালা হালনাগাদ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা এবং সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা; এক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করার দাবি জানানো হয়।

‎‎এই পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা করে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা। তবে শাহবাগ মোড়ে যাওয়ার আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। কেউ কেউ রাস্তায় শুয়েও পড়েন। পরে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা।

চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদের সদস্য সচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ কম থাকায় গ্রাজুয়েট হয়েও অনেকে বেকার। সরকারের উচিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। এই দাবি নিয়ে গত রোববারও শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানায়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি। কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবি-দাওয়া নিয়ে সড়কে এসে শুয়ে পড়ায় পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে। সড়কে যানচলাচল যেন স্বাভাবিক থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টেকনাফে মানব পাচারের চেষ্টাকালে ২৯ জন উদ্ধার, আটক ৩

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারের চেষ্টার অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারের চেষ্টার অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচার চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় পাচারের জন্য একত্র করা ২৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে এই অভিযান চালানো হয়।

আজ বুধবার ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মানব পাচার চেষ্টার অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. সলিম (৩৫), মো. নুরুল আবছার (১৯) ও মনসুর আলম (২২)। তাঁদের মধ্যে সলিম ও আবছার টেকনাফ সদর মহেশখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা এবং মনসুর উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারের জন্য একত্র করা ব্যক্তিদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারের জন্য একত্র করা ব্যক্তিদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়া মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. মাহমুদুল হক (৩১), সৈয়দুল ইসলাম (৩৭), আজিজুল হক (৩০) এবং আরও ৬-৭ জন অজ্ঞাতনামা সদস্য পালিয়ে যান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার টেকনাফের রাজাছড়া পাহাড়ের দুর্গম চূড়া থেকে একদল জিম্মিকে উদ্ধার করে বিজিবি। পরে পাচারকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে রাতে মেরিন ড্রাইভ সৈকত এলাকায় গভীর সাগরে পাচারের প্রস্তুতিকালে আরও ২৯ জন নিরীহ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মানব পাচার চক্রের তিন সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযান থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত সাম্পান, একটি মোটরসাইকেলসহ একটি দেশীয় চাকু জব্দ করা হয়েছে।

আশিকুর রহমান বলেন, উদ্ধার ২৯ জন ভুক্তভোগীকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আটক ৩ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই শহীদের কন্যাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: তিন কিশোরকে ১৩ ও ১০ বছরের কারাদণ্ড

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বহুল আলোচিত জুলাই শহীদের মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির সাজা ঘোষণা করেছেন আদালত। দুই আসামিকে ১৩ বছর করে এবং একজনকে ১০ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী (প্রত্যেকে ১৩ বছর) এবং ইমরান মুন্সী (১০ বছর)।

রায়ে আদালত বলেন, আসামিরা ঘটনার সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। ফলে শিশু আদালত আইনের আওতায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থীর বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁকে দুমকী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজশিক্ষার্থী (১৮)।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ধর্ষণের ঘটনার মানসিক আঘাত ও সামাজিক লজ্জায় গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী। তাঁর মরদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে শহীদ বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করা হলো।

রায়ের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালত যে ন্যায়বিচার করেছেন, তা ভুক্তভোগীর আত্মার শান্তির জন্য কিছুটা হলেও সান্ত্বনা এনে দেবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমার মক্কেলরা নির্দোষ। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষ, নারী অধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, এই রায় সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা আরও জোরদার করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইকসু নির্বাচনের আগে নতুন নেতৃত্ব পাচ্ছে ইবি ছাত্রদল

পল্লব আহমেদ সিয়াম(ইবি)
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুতই শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়া হবে। এবারের কমিটিতে তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবির পর কেন্দ্রীয় নেতারা সারা দেশের ইউনিটগুলোর কার্যক্রম নতুন উদ্যমে শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করে আগামী নির্বাচনগুলোয় জয় নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ প্রায় সাড়ে চার বছর পেরিয়ে গেছে। ২০২১ সালের ১৬ জুন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রুমী মিথুনকে সদস্যসচিব করে কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

তবে সিনিয়র নেতাদের হাতে নেতৃত্ব থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির অনেকেই চাকরিজীবী হওয়ায় নেতৃত্বের সংকটে আছে ছাত্রদল। ফলে নতুন করে সংগঠনের গতিশীলতা ফেরাতে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে ১০৫ জন পদপ্রত্যাশী সিভি জমা দিয়েছেন।

আলোচনায় থাকা তরুণ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ (ফিন্যান্স ২০১৮-১৯), নুর উদ্দিন (ফলিত রসায়ন ২০১৮-১৯), এবং কমিটির বাইরের সক্রিয় কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন (আল ফিকহ অ্যান্ড ল ২০১৭-১৮), আবু সাইদ রনি (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৭-১৮), রাকিব হাসান স্বাক্ষর (অ্যাকাউন্টিং ২০১৮-১৯), তরিকুল ইসলাম সৌরভ (মার্কেটিং ২০১৮-১৯), আরিফুল ইসলাম জনি (সমাজকল্যাণ ২০১৯-২০), রিফাত হোসাইন (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ২০১৯-২০), তৌহিদুল ইসলাম (অ্যাকাউন্টিং ২০১৯-২০) ও আলামিন হোসাইন (মার্কেটিং ২০১৯-২০)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করতে পারব। আমরা তারুণ্যনির্ভর এবং ক্যাম্পাসের প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারীদের হাতে নেতৃত্ব দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনা। ছাত্রদল সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে। কোনোভাবেই বিতর্কিত বা অযোগ্য ব্যক্তিদের জায়গা থাকবে না নতুন কমিটিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত