Ajker Patrika

দশম গ্রেডের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৪
দশম গ্রেডের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। আজ রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা মানববন্ধনে অংশ নেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষকেরা। 

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তারাটি নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুল হুদার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সানোয়ার পারভেজ পিন্টু। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আল-আমিন, সহকারী শিক্ষক রাশিদুজ্জামান রাজন, সাদ্দাম হোসেন রানা, মো. আমিনুল হক, টিপু সুলতান, আলমগীর হোসেন, শেখ আবু রায়হান, আইরিন আহসান প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষকেরা সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে দশম গ্রেড বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি তুলে ধরেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। 

এ প্রসঙ্গে দুবলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন রানা বলেন, ‘দশম গ্রেড শুধু আমাদের দাবিই নয়, এটি আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক অধিকার। এর কারণ একজন নার্স এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমার পর নিয়োগ পেয়ে (এইচএসচি সমমান) বেতন পায় দশম গ্রেডে। শুধু তা–ই নয়, একজন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, পুলিশের উপপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও স্নাতক সমমান যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়ে বেতন পায় নবম-দশম গ্রেডে। তাহলে সমযোগ্যতা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্য কেন?’ 

হারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল হক বলেন, ‘স্নাতক সম্পন্ন করে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেতন পান ১৩তম গ্রেডে। অথচ অষ্টম শ্রেণি পাস করা একজন সরকারি গাড়িচালক বেতন পান ১২তম গ্রেডে। মানে একজন শিক্ষকের চেয়ে গাড়ি চালকের পদমর্যাদা বেশি। রাষ্ট্রের মুখপাত্রদের লজ্জা হওয়া উচিত।’

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কাকনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ার পারভেজ পিন্টু বলেন, ‘বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে একজন সহকারী শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দিয়ে জীবন চালানো খুবই কঠিন। অনেক শিক্ষকের মাসের পর মাস ধারদেনা করে চলতে হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি, উনি যেন আমাদের যৌক্তিক দাবিটি মেনে নেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের রামুতে অপহরণের পর সহোদর দুই শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও তিন নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ওসমান গণির আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আব্দু শুক্কুর, আলমগীর হোসেন প্রকাশ বুলু, মিজানুর রহমান ও মো. শহীদুল্লাহ।

এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার আবদুল মজিদ, ফাতেমা খাতুন, রাশেদা বেগম ও লায়লা বেগম।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মীর মোশারফ হোসেন টিটু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার নথির বরাতে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেলে রামু উপজেলা গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার দোকান কর্মচারী মো. ফোরকানের দুই ছেলে হাসান শাকিল (১১) ও হোসেন কাজল (৮) নামের দুই শিশুকে বাড়ির অদূরে পাখির ছানা দেখার লোভ দেখিয়ে ওই এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমসহ একটি চক্র অপহরণ করে।

হাসান বাইশাঁরী শাহনূর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ও হোসেন বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মীর মোশারফ হোসেন টিটু জানান, অপহরণের পর ওই দিন রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। পরে অপহৃত শিশুদের সন্ধান না পেয়ে তাঁদের বাবা বাদী হয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলা করেন। মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমতে স্থানীয় একটি পাহাড়ের জঙ্গলে গুমের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় দুই শিশুর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পিপি আরও জানান, ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত ২০১৯ সালের ২০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মীর মোশারফ হোসেন আরও জানান, ৯ বছর ধরে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আজ নির্ধারিত দিনে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এতে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণাকালে প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মোকারমা সুলতানা পুতু নামের এক তরুণীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার জোবায়েদের ছাত্রী (১৯), তাঁর কথিত প্রেমিক মো. মাহির রহমান (১৯) ও বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে (২০) আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বংশাল থানা-পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।

এদিকে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং এই মামলায় আরও যারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা জানান। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।

জোবায়েদ খুন হওয়ার ওর ওই দিন রাতেই তাঁর ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করে পুলিশ।

আজ সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী, মো. মাহির রহমান ও বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জবিতে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার নূর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রওশন ভিলায় ওই ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য যান জোবায়েদ। ওই দিন সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে জোবায়দের ছাত্রী সৈকতকে (বাদী) ফোনে বলেন, ‘জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছেন। কে বা কারা খুন করে ফেলছে।’ জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঘটনাস্থলে গেলে রাত সাড়ে ৮টা দিকে ওই বাড়ির সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য জোবায়েদের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জেনে ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বাদী জানতে পেরেছেন এজাহারনামীয় তিন আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে খুন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে গণশৌচাগারের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ, তাসসহ পাঁচ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল এই অভিযান চালায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মুন্না (৪৮), মো. শামীম (২৮), মো. সাগর শেখ (৪২), মিলন সরকার (৩৭) ও মাহাবুল ইসলাম (৩৬)। তাঁরা সবাই রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জুয়া খেলার সময় নগদ টাকা, তাসসহ তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎গণপিটুনিতে ‘ছিনতাইকারীর’ মৃত্যু, গায়ে লবণ ছিটিয়ে উল্লাস

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে এলাকাবাসীর পিটুনিতে অজ্ঞাতনামা (৩৫) এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

‎পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুজন যুবক টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের একজনকে আটক করলেও অপরজন কৌশলে পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী আটক যুবকের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

একপর্যায়ে ছিনতাইকারী অভিযোগে মৃত যুবকের গায়ে লবণ দিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। পরে মরদেহটি টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

‎স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় দৈনিক ২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুজন যুবক বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের আটক করলেও একজন পালিয়ে যান। পরে আটক অপরজনকে পিটুনি দেওয়া হয়। তাঁর মৃত্যুর পর এলাকাবাসী শরীরে লবণ ছিটিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মৃত ওই যুবকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত