Ajker Patrika

মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১৮
মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী থাকার সময় ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই মেয়াদে পাঁচ থেকে ছয় মাস তিনি শাখা ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে তৎকালীন ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন।   

স্থানীয় ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন মাহবুব-উল কাদির ও মো. ইসহাক। পরিষদের কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর মুরাদ হাসান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় মাস দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগে যোগদান করেছিলেন তিনি। 

এই তথ্য নিশ্চিত করে ডা. মো. ইসহাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯৩ সালে এম-৩০ ব্যাচে ডা. মুরাদ হাসান এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ছাত্রদলের কমিটির নেতা-নেত্রীরা সবাই ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যান, কিন্তু ডা. মুরাদ হাসান ক্যাম্পাসে থেকে যান এবং ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে ছাত্রলীগে যোগ দেন।
 
এ বিষয়ে ওই সময় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন বলেন, মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তির পর থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। একসময় তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এলে তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন। পরে মুরাদ হাসান ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।  

একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুরাদ হাসান ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার আগে আগে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। 

এদিকে তথ্যমন্ত্রী মুরাদের ছাত্রদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গতকাল সোমবার বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ডা. মুরাদ এক সময় ছাত্রদল করতেন। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল তাঁকে জামালপুরের ‘ভুঁইফোড় ডাক্তার’ বলেও অভিহিত করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তখন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দ্বিতীয় তলায় যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘মুরাদ ছাত্রদল করে নাই।’ এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণ। 

মির্জা ফখরুল তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘ইউ ডোন্ট নো। তুমি বাজে কথা বলবে না। তুমি জানো না। আমি জানি বলে বলছি। এই দাঁড়াও, কী?...চুপ করো। তুমি জানো না। ইউ ডোন্ট নো। ইউ ডোন্ট নো। ইউ ডোন্ট নো... । এই দাঁড়াও, বাজে কথা বলবা না। এই ছেলে কে তুমি। তুমি এদিক দিয়ে বেরিয়ে আসো। তুমি জানো না সেটা, সে জন্য এ কথা বলছ। তুমি জানো না... । আমি জানি বলে বলছি। এই বেয়াদব! চুপ...চুপ বেয়াদব। এদিকে আসো। এদিকে আসো...। তুমি এদিকে আসো।’ 

এর পরও শাহিন মহাসচিবের সঙ্গে তর্ক না থামালে পুরো মিলনায়তনে কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এ সময় মহাসচিব তাঁকে চুপ করতে বলে নিচে নেমে মঞ্চে আসার জন্য বলেন। এ সময় মিলনায়তনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন। 

বিএনপির মহাসচিব একপর্যায়ে সবাইকে শান্ত হয়ে বসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য আমাদের যে একসময় সে ছাত্রদল করেছে, পরবর্তীতে সে ছাত্রলীগের নেতা হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্য আমাদের, এই রকম একটা ছেলে ওই সময়ে ছাত্রদলে ছিল। দিজ দ্য মোস্ট আনফরচুনেট।’ 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য, নিকৃষ্ট প্রচার চালানো শুরু করেছে। কাকে দিয়ে করাচ্ছে? ভুঁইফোড় ডাক্তার, জামালপুর, সরিষাবাড়ীর এবং এটাও শুনেছি যে সে নাকি ছাত্রদল করত একসময়। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিল। পরবর্তীকালে সে ছাত্রলীগে জয়েন করেছে।’ 

অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে মুরাদ হাসান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। মুরাদের সেই সাক্ষাৎকার ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে ঢালিউডের এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে তাঁর একতরফা অশালীন কথোপকথন ফাঁস হয়। সেই ফোনালাপে ওই নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়।

আরও পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাডে নিহত আবুল কালাম: মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম চোকদারকে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রিয়জনকে শেষবিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত হন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়া বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্বজনেরা তাঁর মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন এবং রাত ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ (৩৬) নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছোট ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর মা-বাবা মারা যান।

আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান—আব্দুল্লাহ (৫) ও সুরাইয়াকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানতলী এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি জনশক্তি রপ্তানির কাজ করতেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি বেয়ারিং প্যাড খুলে সরাসরি আবুল কালামের মাথা পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুল কালামের মেজো ভাই খোকন চোকদার বলেন, রাত ২টার দিকে ছোট ভাই আবুল কালামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ৯টায় গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ বলেন, ‘আবুল কালামের মা-বাবা অনেক আগেই মারা যান। ছেলেটি অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার হঠাৎ এভাবে করুণ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আবুল কালামের মৃত্যু মর্মান্তিক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুলাউড়ায় মোটরসাইকেল-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাতে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ানসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাঘায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১২, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা লক্ষবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হঠাৎ পাগলা কুকুর পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে ১২ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দিঘা আঠালিয়া গ্রামের আহত নাজমুল হোসেনকে (২৫) সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত দিঘা নওদাপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৬) বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে পথে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর কামড়ে দেয়। পরে ভ্যাকসিন নিয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন আসাদ বলেন, আহত কয়েকজন ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে শুনেছি। তবে অতি দ্রুত কুকুরটি আটক করতে পারলে ভালো হয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বাঘা পৌরসভার প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পৌরসভায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, তা জেনেছি। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃক নিধন বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইন মেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহ পাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত