Ajker Patrika

ভিসিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল ছয় দফা ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল ছয় দফা ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে বেলা ২টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান।

এর আগে প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেআর মার্কেটে জড়ো হন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল বলেন, বেলা ২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে, হলগুলোতে সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে, হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামানসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ছয় দফা দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত গৃহীত হচ্ছে, ততক্ষণ কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন এবং ব্ল্যাক আউটে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, ‘নির্দেশনা অনেকে মেনে চলে গেছে আবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে আন্দোলন করছে। আমরা চাই ছেলেরাও চলে যাক। হল খালি হলে সাধারণত দায়দায়িত্ব লোকাল প্রশাসনের হাতে চলে যায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গেও কথা বলছি, দেখি কী করা যায়।’

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেলা ১টার দিকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন এবং মিলনায়তনের সামনে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বহিরাগতের হামলায় সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সব ছাত্রছাত্রীকে আজ সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত‍্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কেআর মার্কেট চত্বরের সামনে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা ছয় দফার আলটিমেটাম দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ৯টি এবং মেয়েদের ৫টি হল রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী সাড়ে ৬ হাজারের মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক আমিও কম খাই নাই: শিবির প্যানেলের প্রার্থী জুমা

বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন পণ্যে ভারতের শূন্য শুল্কের প্রস্তাব, তবু রাশিয়ার তেলেই জ্বলছেন ট্রাম্প

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন, কে তিনি

চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছে আরও একদল বাংলাদেশি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত