বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার আংশিক কমিটির দেড় বছর পার হলেও গঠন হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এই সময়ে হলগুলোতে কমিটি দেওয়া না হলেও অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে কমিটি হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীরা।
সর্বশেষ গত বছরের ২৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খন্দকার তায়েফুর রহমানকে সভাপতি এবং মো. মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটির করা হয়।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পার হলেও শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন বা কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
গঠনতন্ত্রে ধারা ৯ উপজেলা শাখা ও ধারা ১০ জেলা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উপজেলা শাখার সমমর্যাদা পাবে। ধারা ১০ অনুযায়ী জেলা শাখার মেয়াদকাল হবে এক বছর। জেলা শাখাকে এক বছরের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল কমিটির ব্যাপারে বর্তমান কমিটি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেই আমরা জানি। অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি গঠন অন্যায়ের কিছুই নয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে যেকোনো সংগঠনেরই শাখা কমিটি গঠনের এখতিয়ার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সংগঠনে সব সময় আমন্ত্রণ জানাই। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হল ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত নই। সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের কোনো ঘটনা আমাদের কাছে আসলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করব।’
ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলগুলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী বিভক্ত। সভাপতি নিয়ন্ত্রণ করেন বঙ্গবন্ধু, ঈশা খাঁ হল, ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল এবং শহীদ নাজমুল আহসান হল। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করেন শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ জামাল হোসেন, আশরাফুল এবং শাহজালাল হল।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রোজী জামাল হল, তাপসী রাবেয়া হল এবং সুলতানা রাজিয়া হল নিয়ন্ত্রণ করেন সভাপতি। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া হল ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল নিয়ন্ত্রণ করেন সাধারণ সম্পাদক।
আরও জানা যায়, সভাপতি মতাদর্শের কর্মীরা সম্পাদকের হলগুলোতে এবং সম্পাদকের মতাদর্শের কর্মীরা সভাপতি নিয়ন্ত্রিত হলগুলোতে থাকতে পারে না। এর আগে গত বছরের ৩০ মে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পরপরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়। গত ৫ নভেম্বর তাদের নিয়ন্ত্রিত দুটি হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবার মারামারি হয়। এ ছাড়া কমিটিতে বিশেষ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, ‘হল কমিটি দেওয়ার আগেই অনুষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে এর আগে কখনো ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়নি। আবার অনুষদের ছাত্র সমিতিতে যারা আছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। অনুষদের ছাত্র সমিতি থাকা সত্ত্বেও আলাদা করে ছাত্রলীগ কমিটি দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অনেকেই মনে করেন বাস্তবিক অর্থে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটির কোনো ভূমিকা নেই। অনুষদের ছাত্র সমিতির পদবঞ্চিত নেতাদের খুশি রাখতে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘কমিটির বয়স দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাইনি এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হলে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, পূর্ণাঙ্গ করার দুই এক মাসের মধ্যেই আবার নতুন সম্মেলনের ঘোষণা চলে আসে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ–পরিচয় যারা পেল তারা এক দেড় মাসের মধ্যেই আবার সাবেক হয়ে যাবে। এতে করে কর্মীরা সাময়িক সময়ের জন্য একটি পরিচয় পেলেও নেতৃত্ব প্রয়োগ করার সময় বা সুযোগ পায় না, অধিকার বঞ্চিত হয়।’
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রলীগের কর্মী এ জেড এম বর্নী বলেন, ‘ছাত্রলীগ দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন হওয়ায় এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা সব সময়ই বেশি। তাই যে পর্যায়ের কমিটিই হোক না কেন, কমিটি জট আমাদের রাজনীতির সঠিক ধারাকে ব্যাহত করে, কর্মীদের হতাশ করে এবং নেতৃত্বে সংকটের সৃষ্টি করে। তাই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও হল কমিটিগুলো সম্পন্ন করা উচিত।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিলেই আমরা কমিটি ঘোষণা দিয়ে দেব। আমাদের সবকিছু গোছানো আছে। ছাত্র সমিতিতে ছাত্রলীগের প্যানেল দিই আমরা। ওটা ছাত্রলীগের কমিটি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থী অনেক। সে কারণে রাজনীতিতেও উত্তরবঙ্গের ছেলে–মেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করে, যারা রাজনীতির মাঠে থাকে আমরা তাদেরই মূল্যায়ন করি। কার বাসা কোথায় এগুলো দেখে আমরা কমিটি করি না। আমরা সংগঠনের ক্ষেত্রে সবাই ছাত্রলীগের কর্মী, আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই।’
সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তবে আমরা কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নই। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয় নাই, সেখানে রংপুর ভিত্তিক রাজনীতির প্রসঙ্গটা আসার কথা না। আমার পদপ্রাপ্ত কর্মীদের বেশির ভাগই ময়মনসিংহ অঞ্চলের। আমরা অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়েই করেছি। নির্বাচনের আগে অন্য রাজনৈতিক দলের অনুসারী ছাত্ররা ওই সব দলের অনুসারী শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে, সে কারণেই আলাদা করে অনুষদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। মূলত সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে।’
পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছি। মূলত রাজনীতির প্রতি মন থেকে আগ্রহী এবং যোগ্য কর্মী বাছাই করার জন্যই এ বিষয়ে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়েও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কমিটি দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার আংশিক কমিটির দেড় বছর পার হলেও গঠন হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এই সময়ে হলগুলোতে কমিটি দেওয়া না হলেও অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে কমিটি হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীরা।
সর্বশেষ গত বছরের ২৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খন্দকার তায়েফুর রহমানকে সভাপতি এবং মো. মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটির করা হয়।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পার হলেও শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন বা কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
গঠনতন্ত্রে ধারা ৯ উপজেলা শাখা ও ধারা ১০ জেলা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উপজেলা শাখার সমমর্যাদা পাবে। ধারা ১০ অনুযায়ী জেলা শাখার মেয়াদকাল হবে এক বছর। জেলা শাখাকে এক বছরের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল কমিটির ব্যাপারে বর্তমান কমিটি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেই আমরা জানি। অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি গঠন অন্যায়ের কিছুই নয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে যেকোনো সংগঠনেরই শাখা কমিটি গঠনের এখতিয়ার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সংগঠনে সব সময় আমন্ত্রণ জানাই। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হল ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত নই। সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের কোনো ঘটনা আমাদের কাছে আসলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করব।’
ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলগুলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী বিভক্ত। সভাপতি নিয়ন্ত্রণ করেন বঙ্গবন্ধু, ঈশা খাঁ হল, ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল এবং শহীদ নাজমুল আহসান হল। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করেন শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ জামাল হোসেন, আশরাফুল এবং শাহজালাল হল।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রোজী জামাল হল, তাপসী রাবেয়া হল এবং সুলতানা রাজিয়া হল নিয়ন্ত্রণ করেন সভাপতি। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া হল ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল নিয়ন্ত্রণ করেন সাধারণ সম্পাদক।
আরও জানা যায়, সভাপতি মতাদর্শের কর্মীরা সম্পাদকের হলগুলোতে এবং সম্পাদকের মতাদর্শের কর্মীরা সভাপতি নিয়ন্ত্রিত হলগুলোতে থাকতে পারে না। এর আগে গত বছরের ৩০ মে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পরপরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়। গত ৫ নভেম্বর তাদের নিয়ন্ত্রিত দুটি হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবার মারামারি হয়। এ ছাড়া কমিটিতে বিশেষ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, ‘হল কমিটি দেওয়ার আগেই অনুষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে এর আগে কখনো ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়নি। আবার অনুষদের ছাত্র সমিতিতে যারা আছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। অনুষদের ছাত্র সমিতি থাকা সত্ত্বেও আলাদা করে ছাত্রলীগ কমিটি দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অনেকেই মনে করেন বাস্তবিক অর্থে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটির কোনো ভূমিকা নেই। অনুষদের ছাত্র সমিতির পদবঞ্চিত নেতাদের খুশি রাখতে অনুষদের ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, ‘কমিটির বয়স দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাইনি এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হলে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, পূর্ণাঙ্গ করার দুই এক মাসের মধ্যেই আবার নতুন সম্মেলনের ঘোষণা চলে আসে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ–পরিচয় যারা পেল তারা এক দেড় মাসের মধ্যেই আবার সাবেক হয়ে যাবে। এতে করে কর্মীরা সাময়িক সময়ের জন্য একটি পরিচয় পেলেও নেতৃত্ব প্রয়োগ করার সময় বা সুযোগ পায় না, অধিকার বঞ্চিত হয়।’
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রলীগের কর্মী এ জেড এম বর্নী বলেন, ‘ছাত্রলীগ দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন হওয়ায় এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা সব সময়ই বেশি। তাই যে পর্যায়ের কমিটিই হোক না কেন, কমিটি জট আমাদের রাজনীতির সঠিক ধারাকে ব্যাহত করে, কর্মীদের হতাশ করে এবং নেতৃত্বে সংকটের সৃষ্টি করে। তাই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও হল কমিটিগুলো সম্পন্ন করা উচিত।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ দিলেই আমরা কমিটি ঘোষণা দিয়ে দেব। আমাদের সবকিছু গোছানো আছে। ছাত্র সমিতিতে ছাত্রলীগের প্যানেল দিই আমরা। ওটা ছাত্রলীগের কমিটি না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থী অনেক। সে কারণে রাজনীতিতেও উত্তরবঙ্গের ছেলে–মেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করে, যারা রাজনীতির মাঠে থাকে আমরা তাদেরই মূল্যায়ন করি। কার বাসা কোথায় এগুলো দেখে আমরা কমিটি করি না। আমরা সংগঠনের ক্ষেত্রে সবাই ছাত্রলীগের কর্মী, আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই।’
সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তবে আমরা কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নই। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয় নাই, সেখানে রংপুর ভিত্তিক রাজনীতির প্রসঙ্গটা আসার কথা না। আমার পদপ্রাপ্ত কর্মীদের বেশির ভাগই ময়মনসিংহ অঞ্চলের। আমরা অনুষদের শাখা ছাত্রলীগ কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়েই করেছি। নির্বাচনের আগে অন্য রাজনৈতিক দলের অনুসারী ছাত্ররা ওই সব দলের অনুসারী শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে, সে কারণেই আলাদা করে অনুষদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। মূলত সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে।’
পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছি। মূলত রাজনীতির প্রতি মন থেকে আগ্রহী এবং যোগ্য কর্মী বাছাই করার জন্যই এ বিষয়ে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়েও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কমিটি দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে।’
সুন্দরগঞ্জে প্রতিবেশীর হামলায় আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। আজ শনিবার বিকেলের দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
১৯ মিনিট আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিন দেখতে কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
২৩ মিনিট আগে১৩ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার মেঘনা ফেরিঘাটে অটোরিকশা নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। তিনি চান্দগাঁও থানার রাহাত্তারপুলে হামিদ আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. রফিকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে