Ajker Patrika

সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমায় গড়িমসি

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬: ১৭
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সপ্তাহে দু-এক দিন স্কুলে যাওয়া সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। তদন্তের ১১ দিনেও প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই হয়তো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।

উপজেলার বাগবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে মাসে দু-এক দিন উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতার পুরো মাসের স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক। তখন প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও।

১ মার্চ ‘স্কুলে যান সপ্তাহে দুদিন, হাজিরা দেন পুরো মাসের’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

পরে ২ মার্চ ‘সপ্তাহে দুই দিন স্কুলে যাওয়া সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪ মার্চ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নিলুফার হাকিম সরেজমিন বিষয়টি তদন্তও করে আসেন। কিন্তু তদন্তের ১১ দিন পরও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। 

স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মিয়া, মো. উমর ফারুক ও মো. আল আমিন বলেন, ‘উপজেলা থেকে কর্মকর্তা আসেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য কি না যাচাই করতে। আমরা এলাকাবাসী একবাক্যে বলে দিয়েছি, অভিযোগ শতভাগ সত্য। শুধু তা-ই নয়, সবাই মিলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরও দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তদন্তের এত দিন পরও কোনো সিদ্ধান্ত হলো না। তাহলে কি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে?’

শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠি। ছবি: সংগৃহীতএ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নিলুফার হাকিম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। পারিপার্শ্বিক কারণে প্রতিবেদনটি এখনো জমা দেওয়া হয়নি। তদন্তে যা পেয়েছি, প্রতিবেদনে তাই উল্লেখ করে দ্রুত ইউএনও স্যারের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে দিব।’

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তের প্রতিবেদন দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য আমার দপ্তর থেকে তাগিদ দেওয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি এ কে এম ফরিদউল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত