Ajker Patrika

ত্রিশালে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিলানী গণপিটুনিতে নিহত

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ১০
ত্রিশালে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিলানী গণপিটুনিতে নিহত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে গণপিটুনিতে হত্যা মামলা আসামি আব্দুল কাদির জিলানী (৫০) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের খাগাটি বাজারের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল কাদির জিলানী উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ববিরোধের জেরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজারে জিলানীর লোকজনের সঙ্গে মামুন-সোহাগের পক্ষ নেওয়া গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে আহত অবস্থায় জিলানীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিলানীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত হারুন অর রশিদ ও কবির মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই গোষ্ঠীর মামুন-সোহাগের সঙ্গে আব্দুল কাদির জিলানীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডও ঘটে। 

স্থানীয় কালাম খুনের মামলার বাদী সোহাগ মিয়া ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টারের ছেলে মাহামুদুল হাসান মামুন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা আবুল কালামকেও হত্যা করেন। এ নিয়ে মোট তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটায় জিলানী বাহিনী। আবুল কালাম ও দপ্তরি রফিকুল ইসলাম খুনের প্রধান আসামি জিলানী। মতিন মাস্টার খুনের পর থেকেই জিলানী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। এক খুনের সাক্ষীকে দমাতে পরপর দুটি খুন করে জিলানী বাহিনী। 

খুনের মামলার পলাতক আসামি জিলানী তাঁর ভাই ও ছেলেকে ২০২২ সালে  র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। গত দুই-তিন মাস আগে জিলানী জামিনে এসে আগের মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ওপর গতকাল শনিবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঈদগাহ বাজারে আবারও হামলা করেন। এতে অনেকেই আহত হন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গতকাল রাতে আগের বিরোধের জেরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আহত অবস্থায় জিলানীকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত