Ajker Patrika

মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি-ভিডিও ফাঁস করায় ‘ছাদ থেকে ফেলে প্রেমিককে হত্যা’, থানায় মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩: ১৬
ফয়সাল খান শুভ। ছবি: সংগৃহীত
ফয়সাল খান শুভ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ নগরীর একটি পাঁচতলা বাসার ছাদ থেকে পড়ে ফয়সাল খান শুভ (৩০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। গত ১০ নভেম্বরের এ ঘটনায় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।

নিহত ফয়সালের স্বজনেরা জানায়, ফয়সালের সঙ্গে একই গ্রামের সুলতান উদ্দিনের মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি ওই মেয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাকরি হয়। সেখান থেকে এক ট্রেনিংয়ে গিয়ে ব্যাচমেটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি এবং ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

এদিকে ব্যাচমেটের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। আজ শুক্রবার তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি ফয়সাল জানতে পেরে ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে কিছু ছবি-ভিডিও পাঠান। এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা সুলতান আহমেদ গত ১ নভেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ফয়সালসহ চারজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফয়সাল খান শুভ। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফয়সাল খান শুভ। ছবি: সংগৃহীত

ফয়সালের দুলাভাই মো. মোহসিনের দাবি, এ ঘটনার পর গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁর বাসায় আসে। এ সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে মেয়ের বাবা ও তাঁর দুই ভাইও আসেন। ডিবি পুলিশ এলে তিনি গেট খুলে দেন। এ সময় মেয়ের বাবা ও তাঁর দুই ভাই বাসার ছাদে গিয়ে ফয়সালকে পেয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরে ডিবি পুলিশসহ তাঁরা সবাই চলে যান। পরে প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফয়সালকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে ফয়সাল মারা যান।

মেয়ের পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে বাসায় গিয়েছি। বাসায় গেলে ফয়সালের বোন জামাই কেচি গেট খুলে দেন। ফয়সালকে না পেয়ে আমরা চলে এসেছি। আপনার কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পারেন, বের হওয়ার সময় পুলিশের কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। ফয়সাল ছাদ থেকে পড়েছে নাকি অন্য কিছু বিষয়টি আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারের ছয়জনকে আসামি করে ফয়সালের বাবা সেলিম খান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মায় ভাসছিল যুবকের লাশ, শরীরে কোপের আঘাত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
পদ্মা নদীতে লাশ পাওয়ার কথা শুনে সেখানে স্থানীয়রা ভিড় করে। ছবি : আজকের পত্রিকা
পদ্মা নদীতে লাশ পাওয়ার কথা শুনে সেখানে স্থানীয়রা ভিড় করে। ছবি : আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে লিটন (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা এলাকায় পদ্মা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় নৌ পুলিশ।

নিহত লিটন একই ইউনিয়নের রায়টা ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কাঁকন ও মণ্ডল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার জন্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ‘কাঁকন বাহিনী’কে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। এই সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে লিটনও নিখোঁজ ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, লিটন কাঁকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কসমেটিকস ব্যবসার আড়ালে কাঁকনের হয়ে নদীপথে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন লিটন। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তবে এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কাঁকন বা মণ্ডল বাহিনীর সদস্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাকে হত্যার পর বসতঘরে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া ওরফে ভেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া ওরফে ভেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সীট নাজিরদহ গ্রামে মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত জামিল মিয়া ওরফে ভেলন (২৫)।

দণ্ডপ্রাপ্ত জামিল মিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সীট নাজিরদহ (ময়নুদ্দিনটারী) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ওরফে লাল মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, জামিলের স্ত্রী কাকলী বেগমের সঙ্গে তাঁর মা জামিলা বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এতে জামিলের স্ত্রী কাকলী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। এ ঘটনায় মাকে দোষারোপ করতে থাকেন জামিল এবং তাঁকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।

ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে খাবার শেষে জামিল ও তাঁর মা একই ঘরে আলাদা বিছানায় শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জামিলা ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশচাপা দিয়ে মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জামিল। পরে হত্যার বিষয়টি গোপন রাখতে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখেন।

এদিকে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে জামিলাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর খোঁজ নিতে থাকেন। কয়েক দিন পর জামিলের মামাতো বোন রোজিনা ওই বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরে ঢোকেন এবং দুর্গন্ধ ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তাঁরা জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতঘরের মেঝে খুঁড়ে মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে এবং জামিলকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত জামিলার ভাই ছামসুল হক বাদী হয়ে জামিলকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আফতাব উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ছিলেন মো. শামীম আল মামুন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, একজন ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যু মানবিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়। আদালত আজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, অপরাধ করলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাত উঁচিয়ে ছিনতাইকারী বললেন, ‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব’

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ভাঙ্গা থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত
ভাঙ্গা থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আদালতে যাওয়ার সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। থানা চত্বর থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছিনতাইকারী হাত উঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘আবার আসব, ভাঙ্গা শহর তছনছ করে ফেলব।’ এ সময় গ্রেপ্তার আরও এক ছিনতাইকারীকে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বের হতে দেখা যায়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা চত্বরে এমন দৃশ্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে এবং গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজন সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের দেখে আবার ফিরে এসে শহর তছনছ করবেন বলে হুমকি দেন। একটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।   

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদি গ্রামের বাঁধন মাতুব্বর (২৩), পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের পার্থ মাতুব্বর (২৫), ঢাকার ধামরাই থানার আফজাল শেখের ছেলে সজিব (২২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার আকাশ (২১) এবং একই এলাকার সাকিব (১৯)।

ভাঙ্গা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে ফরিদ খান নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফরিদ খান ভাঙ্গা বাজার থেকে এক্সপ্রেসওয়ের লোকাল লেন হয়ে পুলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সলিলদিয়া নামের ফাঁকা জায়গায় ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা চালককে মারধর করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের ইতিহাসের দায়ভার আছে, তাদের সঙ্গে জোটে যেতে ভাবতে হবে: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’

নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’

এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’

নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’

জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা

বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।

‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’

একক সরকার টিকবে না

নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’

তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না

আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’

নিম্নকক্ষে পিআর নয়

জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’

আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’

জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত