বাকৃবি প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তাপসী রাবেয়া হলের এক শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ডেকে নিয়ে মুখ বেঁধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অপর দিকে হলের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে প্রভোস্ট বরাবর আরেকটি পত্র দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মুরছালিন মুস্তাকিন মাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোপাল দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে অভিযোগপত্রে কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। যেহেতু ঘটনাটি গতকাল রাতের তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত কমিটি গঠন করার পর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীকালে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় মুস্তাকিন মাফিকে হলের গেস্টরুমে ডেকে জোরপূর্বক তাঁর ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ফোনের লক খুলে দিতে বলে একই হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা। মাফি ফোনের লক খুলে দিতে না চাইলে ছয়-সাতজন ছাত্রী তাঁর হাত-চেপে ধরেন। এ সময় একজন ছাত্রী এসে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে ও গলা চেপে ধরার চেষ্টা করেন।
কোনো কারণ ছাড়াই তাঁকে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে তাঁর ওপর চড়াও হতে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ে চিৎকার করতে শুরু করলে ওড়না দিয়ে তাঁরা ভুক্তভোগীর মুখ বেঁধে রাখেন। অবস্থা খারাপ হলে মাফিকে ওয়াশ রুমে পাঠানো হয়। তখন মাফি ওয়াশ রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলে বাইরে থেকে ক্রমাগত দরজা ধাক্কাতে থাকে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলের ডাইনিংয়ের কুপনের টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এর পর থেকেই হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গতকাল গেস্টরুম চলাকালীন তাঁকে দুই-তিনবার ডাকতে পাঠানো হলেও তিনি যাননি এবং সে কারণে তাঁর ওপর রাত ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয়।
ছাত্রীরা জানান, হলের ডাইনিং পরিচালনা করে ছাত্রলীগের নেত্রীরা। তাঁরা ছাত্রীদের বাধ্য করে ডাইনিংয়ে খাওয়ার জন্য। এ ছাড়া একদিনের টোকেন পরের দিন ব্যবহার করতে ছাত্রীদের বাধা দেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় মাফির ওপরে চড়াও হয় হলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে হলের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, নির্যাতনের মূল নেতৃত্বে ছিলেন তাপসী রাবেয়া হলের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা তাসনিম।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘মেয়েটা কোনো প্রোগ্রামে আসে না বলে জানায় তার সহপাঠীরা। এমনকি ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে না যাওয়ার জন্যও অন্যদের নিরুৎসাহিত করে। সে অন্য দল করতেই পারে, তবে প্রোগ্রামে অন্যদের যেতে নিষেধ করার বিষয়ে জানার জন্যই তাকে ডাকা হয়। তবে থাপ্পড় মারা হয়নি, এটি গুজব, আরও অনেক গুজব ছাড়ানো হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আছে তারা ডাইনিং এবং হলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইন্ধন জুগিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।’
গোপন সূত্রে থেকে জানা যায়, একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা তাসনিম বলেন, ‘মাফি মেয়েটা জামাত-শিবিরের। ওর সাপোর্টে কিছু আপু ঝামেলা করতেছে। তোরা ওখানে কেউ যাস না। স্যার এবং ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আসতেছে। তারা এসে সমাধান করবে।’
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। বিষয়টি হলের অভ্যন্তরীণ। তাই আমি প্রভোস্ট স্যারকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।’
ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তাপসী রাবেয়া হলের এক শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ডেকে নিয়ে মুখ বেঁধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অপর দিকে হলের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে প্রভোস্ট বরাবর আরেকটি পত্র দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মুরছালিন মুস্তাকিন মাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোপাল দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে অভিযোগপত্রে কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। যেহেতু ঘটনাটি গতকাল রাতের তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত কমিটি গঠন করার পর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীকালে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় মুস্তাকিন মাফিকে হলের গেস্টরুমে ডেকে জোরপূর্বক তাঁর ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ফোনের লক খুলে দিতে বলে একই হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা। মাফি ফোনের লক খুলে দিতে না চাইলে ছয়-সাতজন ছাত্রী তাঁর হাত-চেপে ধরেন। এ সময় একজন ছাত্রী এসে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে ও গলা চেপে ধরার চেষ্টা করেন।
কোনো কারণ ছাড়াই তাঁকে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে তাঁর ওপর চড়াও হতে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ে চিৎকার করতে শুরু করলে ওড়না দিয়ে তাঁরা ভুক্তভোগীর মুখ বেঁধে রাখেন। অবস্থা খারাপ হলে মাফিকে ওয়াশ রুমে পাঠানো হয়। তখন মাফি ওয়াশ রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলে বাইরে থেকে ক্রমাগত দরজা ধাক্কাতে থাকে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলের ডাইনিংয়ের কুপনের টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এর পর থেকেই হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গতকাল গেস্টরুম চলাকালীন তাঁকে দুই-তিনবার ডাকতে পাঠানো হলেও তিনি যাননি এবং সে কারণে তাঁর ওপর রাত ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয়।
ছাত্রীরা জানান, হলের ডাইনিং পরিচালনা করে ছাত্রলীগের নেত্রীরা। তাঁরা ছাত্রীদের বাধ্য করে ডাইনিংয়ে খাওয়ার জন্য। এ ছাড়া একদিনের টোকেন পরের দিন ব্যবহার করতে ছাত্রীদের বাধা দেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় মাফির ওপরে চড়াও হয় হলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে হলের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, নির্যাতনের মূল নেতৃত্বে ছিলেন তাপসী রাবেয়া হলের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা তাসনিম।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘মেয়েটা কোনো প্রোগ্রামে আসে না বলে জানায় তার সহপাঠীরা। এমনকি ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে না যাওয়ার জন্যও অন্যদের নিরুৎসাহিত করে। সে অন্য দল করতেই পারে, তবে প্রোগ্রামে অন্যদের যেতে নিষেধ করার বিষয়ে জানার জন্যই তাকে ডাকা হয়। তবে থাপ্পড় মারা হয়নি, এটি গুজব, আরও অনেক গুজব ছাড়ানো হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আছে তারা ডাইনিং এবং হলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইন্ধন জুগিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।’
গোপন সূত্রে থেকে জানা যায়, একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা তাসনিম বলেন, ‘মাফি মেয়েটা জামাত-শিবিরের। ওর সাপোর্টে কিছু আপু ঝামেলা করতেছে। তোরা ওখানে কেউ যাস না। স্যার এবং ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আসতেছে। তারা এসে সমাধান করবে।’
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। বিষয়টি হলের অভ্যন্তরীণ। তাই আমি প্রভোস্ট স্যারকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।’
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৯ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে