মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভাবেই আক্ষেপের স্মরে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী মো. সোহেল মিয়া। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পুম্বাইল গ্রামে।
সোহেলের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে সোহেল বলেন, ‘অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লাইগ্যাই তাহে। বাড়িত গেলে হুনি ঘরে তেল নাই, চাউল নাই, সাবান নাই, এইডা নাই, হেইডা নাই! খালি নাই আর নাই! এমুন অবস্থা যে ঘরের সুখ-শান্তি আর নাই।’
শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা যায়—চাল, ডাল, তেল, লবণ, শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাধ্যের বাইরে। অন্য দিকে অতিবৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে শাকসবজির দাম। ৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো একটি সবজিও।
বাজারের একটি দোকান থেকে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার (এলপিজি) কিনে বাসায় ফিরছিলেন শফিউল্লাহ সুমন নামে পৌর এলাকার এক যুবক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। আজ দোকানে গিয়ে শোনেন ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে।
ঘর্মাক্ত শরীরে কাঁধে গামছা ঝুলিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া। হাতে বাজারের ব্যাগ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম শুনে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, সারা দিনে কামাই মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টেহা। এর মধ্যে গাড়ির প্রতিদিন দেওয়া লাগে ৩০০, এরপরে আছে রুট খরচ, দুপুরের খাওন, এইডা-সেইডা! দিন শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ টেহার বেশি তাহেনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এই টেহা দিয়া কী অয় কইন? চাউল, ডাইল, তেল কিনলে তরিতরকারি কিনতে পারি না, আবার তরিতরকারি কিনলে মসলাপাতির টেহা তাহেনা। তার ওপর পুলা-মাইয়্যার পড়ালেহার খরচ, অসুখ-বিসুখ তো লাইগ্যাই আছে।’
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে ক্ষুব্ধ হোটেল কর্মচারী রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়া কেমনে কেমনে চলি কইতে পারেন? মাসে বেতন পাই সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সাদা ভাত আর সবজি খাইলে খরচ যায় ১২ থেকে ১৪ হাজার। এমন কোনো জিনিস বাকি নাই, যার দাম দুইগুণ থাকি তিনগুণ বাড়ে বাড়ে নাই। দাম বাড়ে কিন্তু কমেও না! এহন সংসার চালাইতে প্রতি মাসেই ধার দেনা করোন লাগে। এমনে চললে ধার দেনার জালে আটকাইয়া গলায় দড়ি দেওন লাগব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার করতে আসা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বেতন পেতাম ১৫ হাজার। এখনো তা ই পাই। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, তিনগুণ। আগের তুলনায় অর্ধেকও বাজার করি না। আগে সংসার চলার একটা ধারা ছিল। বর্তমানে সেই ধারার ব্যাপক ছন্দপতন ঘটেছে। ছেলে-মেয়েদের আবদার তো দূরের কথা, সংসার চালাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের কাছে দিন দিনই নিজের মুখটা ছোট হয়ে আসছে।’
কথা হয় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। তারা জানালেন খুব বেশি লাভে তারাও ব্যবসা করছেন না। একেকটির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অন্যগুলো সম্পৃক্ত।
পৌর এলাকার ব্রয়লার মুরগির খুচরা বিক্রেতারা জানান, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। খাদ্যের দাম না কমলে মাংসের দাম কমার সুযোগ নেই।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া, বাবুল মিয়া, ফারুক, আজিজুল হক, শাহজাহানসহ অনেকেই আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে যে শীতকালীন সবজিগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক দাম দিয়ে আমদানি করা। যে কারণে কম টাকায় বিক্রি করতে পারার সুযোগও নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে এ উপজেলায় এখনো শীতকালীন সবজি আবাদ শুরু হয়নি। যেগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সারা বছরই ফলানো হয়। আর সিজন ছাড়া শাক-সবজির দাম একটু বেশিই থাকে’।
রবি মৌসুমের সবজি বাজারে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘মুদি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কি না, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে কি না, এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা বাজারদরের অধিক দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভাবেই আক্ষেপের স্মরে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী মো. সোহেল মিয়া। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পুম্বাইল গ্রামে।
সোহেলের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে সোহেল বলেন, ‘অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লাইগ্যাই তাহে। বাড়িত গেলে হুনি ঘরে তেল নাই, চাউল নাই, সাবান নাই, এইডা নাই, হেইডা নাই! খালি নাই আর নাই! এমুন অবস্থা যে ঘরের সুখ-শান্তি আর নাই।’
শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা যায়—চাল, ডাল, তেল, লবণ, শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাধ্যের বাইরে। অন্য দিকে অতিবৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে শাকসবজির দাম। ৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো একটি সবজিও।
বাজারের একটি দোকান থেকে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার (এলপিজি) কিনে বাসায় ফিরছিলেন শফিউল্লাহ সুমন নামে পৌর এলাকার এক যুবক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। আজ দোকানে গিয়ে শোনেন ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে।
ঘর্মাক্ত শরীরে কাঁধে গামছা ঝুলিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া। হাতে বাজারের ব্যাগ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম শুনে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, সারা দিনে কামাই মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টেহা। এর মধ্যে গাড়ির প্রতিদিন দেওয়া লাগে ৩০০, এরপরে আছে রুট খরচ, দুপুরের খাওন, এইডা-সেইডা! দিন শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ টেহার বেশি তাহেনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এই টেহা দিয়া কী অয় কইন? চাউল, ডাইল, তেল কিনলে তরিতরকারি কিনতে পারি না, আবার তরিতরকারি কিনলে মসলাপাতির টেহা তাহেনা। তার ওপর পুলা-মাইয়্যার পড়ালেহার খরচ, অসুখ-বিসুখ তো লাইগ্যাই আছে।’
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে ক্ষুব্ধ হোটেল কর্মচারী রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়া কেমনে কেমনে চলি কইতে পারেন? মাসে বেতন পাই সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সাদা ভাত আর সবজি খাইলে খরচ যায় ১২ থেকে ১৪ হাজার। এমন কোনো জিনিস বাকি নাই, যার দাম দুইগুণ থাকি তিনগুণ বাড়ে বাড়ে নাই। দাম বাড়ে কিন্তু কমেও না! এহন সংসার চালাইতে প্রতি মাসেই ধার দেনা করোন লাগে। এমনে চললে ধার দেনার জালে আটকাইয়া গলায় দড়ি দেওন লাগব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার করতে আসা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বেতন পেতাম ১৫ হাজার। এখনো তা ই পাই। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, তিনগুণ। আগের তুলনায় অর্ধেকও বাজার করি না। আগে সংসার চলার একটা ধারা ছিল। বর্তমানে সেই ধারার ব্যাপক ছন্দপতন ঘটেছে। ছেলে-মেয়েদের আবদার তো দূরের কথা, সংসার চালাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের কাছে দিন দিনই নিজের মুখটা ছোট হয়ে আসছে।’
কথা হয় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। তারা জানালেন খুব বেশি লাভে তারাও ব্যবসা করছেন না। একেকটির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অন্যগুলো সম্পৃক্ত।
পৌর এলাকার ব্রয়লার মুরগির খুচরা বিক্রেতারা জানান, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। খাদ্যের দাম না কমলে মাংসের দাম কমার সুযোগ নেই।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া, বাবুল মিয়া, ফারুক, আজিজুল হক, শাহজাহানসহ অনেকেই আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে যে শীতকালীন সবজিগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক দাম দিয়ে আমদানি করা। যে কারণে কম টাকায় বিক্রি করতে পারার সুযোগও নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে এ উপজেলায় এখনো শীতকালীন সবজি আবাদ শুরু হয়নি। যেগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সারা বছরই ফলানো হয়। আর সিজন ছাড়া শাক-সবজির দাম একটু বেশিই থাকে’।
রবি মৌসুমের সবজি বাজারে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘মুদি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কি না, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে কি না, এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা বাজারদরের অধিক দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভাবেই আক্ষেপের স্মরে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী মো. সোহেল মিয়া। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পুম্বাইল গ্রামে।
সোহেলের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে সোহেল বলেন, ‘অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লাইগ্যাই তাহে। বাড়িত গেলে হুনি ঘরে তেল নাই, চাউল নাই, সাবান নাই, এইডা নাই, হেইডা নাই! খালি নাই আর নাই! এমুন অবস্থা যে ঘরের সুখ-শান্তি আর নাই।’
শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা যায়—চাল, ডাল, তেল, লবণ, শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাধ্যের বাইরে। অন্য দিকে অতিবৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে শাকসবজির দাম। ৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো একটি সবজিও।
বাজারের একটি দোকান থেকে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার (এলপিজি) কিনে বাসায় ফিরছিলেন শফিউল্লাহ সুমন নামে পৌর এলাকার এক যুবক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। আজ দোকানে গিয়ে শোনেন ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে।
ঘর্মাক্ত শরীরে কাঁধে গামছা ঝুলিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া। হাতে বাজারের ব্যাগ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম শুনে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, সারা দিনে কামাই মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টেহা। এর মধ্যে গাড়ির প্রতিদিন দেওয়া লাগে ৩০০, এরপরে আছে রুট খরচ, দুপুরের খাওন, এইডা-সেইডা! দিন শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ টেহার বেশি তাহেনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এই টেহা দিয়া কী অয় কইন? চাউল, ডাইল, তেল কিনলে তরিতরকারি কিনতে পারি না, আবার তরিতরকারি কিনলে মসলাপাতির টেহা তাহেনা। তার ওপর পুলা-মাইয়্যার পড়ালেহার খরচ, অসুখ-বিসুখ তো লাইগ্যাই আছে।’
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে ক্ষুব্ধ হোটেল কর্মচারী রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়া কেমনে কেমনে চলি কইতে পারেন? মাসে বেতন পাই সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সাদা ভাত আর সবজি খাইলে খরচ যায় ১২ থেকে ১৪ হাজার। এমন কোনো জিনিস বাকি নাই, যার দাম দুইগুণ থাকি তিনগুণ বাড়ে বাড়ে নাই। দাম বাড়ে কিন্তু কমেও না! এহন সংসার চালাইতে প্রতি মাসেই ধার দেনা করোন লাগে। এমনে চললে ধার দেনার জালে আটকাইয়া গলায় দড়ি দেওন লাগব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার করতে আসা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বেতন পেতাম ১৫ হাজার। এখনো তা ই পাই। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, তিনগুণ। আগের তুলনায় অর্ধেকও বাজার করি না। আগে সংসার চলার একটা ধারা ছিল। বর্তমানে সেই ধারার ব্যাপক ছন্দপতন ঘটেছে। ছেলে-মেয়েদের আবদার তো দূরের কথা, সংসার চালাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের কাছে দিন দিনই নিজের মুখটা ছোট হয়ে আসছে।’
কথা হয় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। তারা জানালেন খুব বেশি লাভে তারাও ব্যবসা করছেন না। একেকটির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অন্যগুলো সম্পৃক্ত।
পৌর এলাকার ব্রয়লার মুরগির খুচরা বিক্রেতারা জানান, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। খাদ্যের দাম না কমলে মাংসের দাম কমার সুযোগ নেই।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া, বাবুল মিয়া, ফারুক, আজিজুল হক, শাহজাহানসহ অনেকেই আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে যে শীতকালীন সবজিগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক দাম দিয়ে আমদানি করা। যে কারণে কম টাকায় বিক্রি করতে পারার সুযোগও নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে এ উপজেলায় এখনো শীতকালীন সবজি আবাদ শুরু হয়নি। যেগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সারা বছরই ফলানো হয়। আর সিজন ছাড়া শাক-সবজির দাম একটু বেশিই থাকে’।
রবি মৌসুমের সবজি বাজারে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘মুদি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কি না, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে কি না, এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা বাজারদরের অধিক দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভাবেই আক্ষেপের স্মরে কথাগুলো বলছিলেন রাজমিস্ত্রির সহকারী মো. সোহেল মিয়া। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পুম্বাইল গ্রামে।
সোহেলের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। আলাপকালে সোহেল বলেন, ‘অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লাইগ্যাই তাহে। বাড়িত গেলে হুনি ঘরে তেল নাই, চাউল নাই, সাবান নাই, এইডা নাই, হেইডা নাই! খালি নাই আর নাই! এমুন অবস্থা যে ঘরের সুখ-শান্তি আর নাই।’
শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা যায়—চাল, ডাল, তেল, লবণ, শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাধ্যের বাইরে। অন্য দিকে অতিবৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে শাকসবজির দাম। ৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো একটি সবজিও।
বাজারের একটি দোকান থেকে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার (এলপিজি) কিনে বাসায় ফিরছিলেন শফিউল্লাহ সুমন নামে পৌর এলাকার এক যুবক। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। আজ দোকানে গিয়ে শোনেন ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে।
ঘর্মাক্ত শরীরে কাঁধে গামছা ঝুলিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া। হাতে বাজারের ব্যাগ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম শুনে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, সারা দিনে কামাই মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টেহা। এর মধ্যে গাড়ির প্রতিদিন দেওয়া লাগে ৩০০, এরপরে আছে রুট খরচ, দুপুরের খাওন, এইডা-সেইডা! দিন শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ টেহার বেশি তাহেনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এই টেহা দিয়া কী অয় কইন? চাউল, ডাইল, তেল কিনলে তরিতরকারি কিনতে পারি না, আবার তরিতরকারি কিনলে মসলাপাতির টেহা তাহেনা। তার ওপর পুলা-মাইয়্যার পড়ালেহার খরচ, অসুখ-বিসুখ তো লাইগ্যাই আছে।’
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে ক্ষুব্ধ হোটেল কর্মচারী রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়া কেমনে কেমনে চলি কইতে পারেন? মাসে বেতন পাই সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সাদা ভাত আর সবজি খাইলে খরচ যায় ১২ থেকে ১৪ হাজার। এমন কোনো জিনিস বাকি নাই, যার দাম দুইগুণ থাকি তিনগুণ বাড়ে বাড়ে নাই। দাম বাড়ে কিন্তু কমেও না! এহন সংসার চালাইতে প্রতি মাসেই ধার দেনা করোন লাগে। এমনে চললে ধার দেনার জালে আটকাইয়া গলায় দড়ি দেওন লাগব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার করতে আসা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বেতন পেতাম ১৫ হাজার। এখনো তা ই পাই। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, তিনগুণ। আগের তুলনায় অর্ধেকও বাজার করি না। আগে সংসার চলার একটা ধারা ছিল। বর্তমানে সেই ধারার ব্যাপক ছন্দপতন ঘটেছে। ছেলে-মেয়েদের আবদার তো দূরের কথা, সংসার চালাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের কাছে দিন দিনই নিজের মুখটা ছোট হয়ে আসছে।’
কথা হয় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও। তারা জানালেন খুব বেশি লাভে তারাও ব্যবসা করছেন না। একেকটির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অন্যগুলো সম্পৃক্ত।
পৌর এলাকার ব্রয়লার মুরগির খুচরা বিক্রেতারা জানান, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। খাদ্যের দাম না কমলে মাংসের দাম কমার সুযোগ নেই।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া, বাবুল মিয়া, ফারুক, আজিজুল হক, শাহজাহানসহ অনেকেই আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে যে শীতকালীন সবজিগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক দাম দিয়ে আমদানি করা। যে কারণে কম টাকায় বিক্রি করতে পারার সুযোগও নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে এ উপজেলায় এখনো শীতকালীন সবজি আবাদ শুরু হয়নি। যেগুলো বাজারে উঠেছে, সেগুলো অন্যান্য অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সারা বছরই ফলানো হয়। আর সিজন ছাড়া শাক-সবজির দাম একটু বেশিই থাকে’।
রবি মৌসুমের সবজি বাজারে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘মুদি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কি না, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে কি না, এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবসায়ীরা বাজারদরের অধিক দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
৯ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক আলামিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুল জলিলের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে একই এলাকার আবু খতিবের ছেলে আলামিন নিহতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নাজমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ১৫ দিন আগে প্রবাস থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন আব্দুল জলিল।
অভিযোগ রয়েছে, রোববার বিকেলে স্ত্রী ও ওই গৃহকর্মী মিলে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জলিলকে গলা টিপে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে যায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক আলামিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুল জলিলের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে একই এলাকার আবু খতিবের ছেলে আলামিন নিহতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নাজমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ১৫ দিন আগে প্রবাস থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন আব্দুল জলিল।
অভিযোগ রয়েছে, রোববার বিকেলে স্ত্রী ও ওই গৃহকর্মী মিলে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জলিলকে গলা টিপে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে যায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
৯ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট হতে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৪০ মিনিটের জন্য মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ডিএমটিসিএল সাময়িক অসুবিধার জন্য যাত্রীসাধারণের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। যাত্রীদের এই সময়সূচি মেনে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট হতে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৪০ মিনিটের জন্য মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ডিএমটিসিএল সাময়িক অসুবিধার জন্য যাত্রীসাধারণের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। যাত্রীদের এই সময়সূচি মেনে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
৯ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৬ মিনিট আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলামনি আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হবে। পরে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ জানান, এই ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করেছেন নোবেল। তাঁরা সংসার করছেন।
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন কলেজের ওই ছাত্রী। নোবেলকে গ্রেপ্তার করার পর কারাগারে পাঠানো হলে বিয়ের শর্তে তিনি জামিন পান। ১৯ জুন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নোবেল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় নোবেলের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তাঁর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রাখেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন। এরপর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে ছয় মাস ধরে ডেমরার ওই বাসায় আটকে রাখা হয়, মারধর করা হতো প্রায়ই। দু-তিন জনের সহায়তায় বাদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন নোবেল। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়ালে বাদীর বাবা-মা তাঁকে চিনতে পারেন। এরপর পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাঁকে ১৯ মে উদ্ধার করে এবং পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নোবেল বাদীকে আটক রেখে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। বাসায় না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাঁকে মারপিট করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি নোবেল জামিনে আছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে আরও বলেছেন, বাদীকে মারধর ও ধর্ষণে আসামিকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এখন কী হবে:
নোবেলের আইনজীবী বলেছেন, নোবেল মামলার বাদীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। তাই এই অভিযোগপত্রে নোবেলের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারিক ট্রাইব্যুনালে বাদী আপসনামা দেওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তি হবে। খালাস পাবেন নোবেল।
উল্লেখ্য, ভারতের সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা’ দিয়ে পরিচিতি পান এই গায়ক। এর আগে মাদকে আসক্ত হয়ে সংগীত ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শ্রোতাদের সামনে হাজির হন। সেবার নোবেল জানিয়েছিলেন, তিনি আর কখনো দর্শকদের হতাশ করবেন না। সব অতীত পেছনে ফেলে নিয়মিত গান উপহার দেবেন।
কিন্তু ২০২৩ সালে অগ্রিম টাকা নিয়ে গান গাইতে না যাওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জানা যায়, ওই বছর ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়ার প্রতারণায় অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। সে সময় একদিন রিমান্ডেও ছিলেন এই গায়ক। পরে আপসের মাধ্যমে ওই মামলা থেকে অব্যাহতিও পান নোবেল।

বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলামনি আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হবে। পরে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ জানান, এই ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করেছেন নোবেল। তাঁরা সংসার করছেন।
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন কলেজের ওই ছাত্রী। নোবেলকে গ্রেপ্তার করার পর কারাগারে পাঠানো হলে বিয়ের শর্তে তিনি জামিন পান। ১৯ জুন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নোবেল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় নোবেলের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তাঁর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রাখেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন। এরপর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে ছয় মাস ধরে ডেমরার ওই বাসায় আটকে রাখা হয়, মারধর করা হতো প্রায়ই। দু-তিন জনের সহায়তায় বাদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন নোবেল। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়ালে বাদীর বাবা-মা তাঁকে চিনতে পারেন। এরপর পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাঁকে ১৯ মে উদ্ধার করে এবং পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নোবেল বাদীকে আটক রেখে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। বাসায় না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাঁকে মারপিট করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি নোবেল জামিনে আছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে আরও বলেছেন, বাদীকে মারধর ও ধর্ষণে আসামিকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এখন কী হবে:
নোবেলের আইনজীবী বলেছেন, নোবেল মামলার বাদীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। তাই এই অভিযোগপত্রে নোবেলের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারিক ট্রাইব্যুনালে বাদী আপসনামা দেওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তি হবে। খালাস পাবেন নোবেল।
উল্লেখ্য, ভারতের সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা’ দিয়ে পরিচিতি পান এই গায়ক। এর আগে মাদকে আসক্ত হয়ে সংগীত ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শ্রোতাদের সামনে হাজির হন। সেবার নোবেল জানিয়েছিলেন, তিনি আর কখনো দর্শকদের হতাশ করবেন না। সব অতীত পেছনে ফেলে নিয়মিত গান উপহার দেবেন।
কিন্তু ২০২৩ সালে অগ্রিম টাকা নিয়ে গান গাইতে না যাওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জানা যায়, ওই বছর ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়ার প্রতারণায় অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। সে সময় একদিন রিমান্ডেও ছিলেন এই গায়ক। পরে আপসের মাধ্যমে ওই মামলা থেকে অব্যাহতিও পান নোবেল।

‘দেশ তো এহন বড়লোকের! আমরার মতো দিনমজুরের কপালে সুখ-শান্তি উইট্টা গেছে। গায়ে গতরে খাইট্টা (খেটে) যেই টেহা কামাই করি, সেই টেহা নিয়া বাজারে গিয়া জিনিসপাতির দাম হুনলে মাথা ঘুরে। বুক ফাইট্টা কান্দন (কান্না) আইয়ে। কইতেও পারি না, সইতেও পারি না।’ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে কাজের ফাঁকে এভ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
৯ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে