Ajker Patrika

শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যার হাসপাতাল

নামেই শুধু হাসপাতাল, সেবা মেলে না কিছুই

  • মেডিকেল অফিসারসহ প্রয়োজন ৩০ জন চিকিৎসক, আছেন ১১ জন।
  • গাইনি চিকিৎসক ছুটিতে, এক মাস ধরে বন্ধ অন্তঃসত্ত্বাদের অস্ত্রোপচার।
  • অকেজো পড়ে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন।
মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭: ৩৬
৫০ শয্যাবিশিষ্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা
৫০ শয্যাবিশিষ্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।

এ ছাড়া অকেজো পড়ে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই, কারিগরি সমস্যা লেগেই থাকে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিষয়হীন) ছয়জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন সাতজনের জায়গায় আছেন একজন। সিনিয়র স্টাফ নার্স পদ শূন্য সাতটি, ফার্মাসিস্ট পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এসআই) পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদ শূন্য একটি। এ ছাড়া হাসপাতালে পরিসংখ্যানবিদ একটি পদ শূন্য, কার্ডিওগ্রাফার পদ শূন্য একটি, কম্পিউটার অপারেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ শূন্য একটি, স্বাস্থ্য সহকারী পদ শূন্য চারটি, হেলথ এডুকেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহায়ক পদ শূন্য দুটি, ওয়ার্ড বয় পদ শূন্য দুটি, আয়া পদ শূন্য একটি, বাবুর্চি পদ শূন্য একটি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদ শূন্য রয়েছে তিনটি। চিকিৎসক-সংকটের কারণে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের চারজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে ইমার্জেন্সি ডিউটি করানো হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের নারী, শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডের কোনো শয্যা খালি নেই। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বারের বাইরে রোগীদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিবর্তে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন রোগীদের। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সেবা নিতে এসে ঘুরে যান।

হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী বলেন, শ্রীমঙ্গলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেই বললে চলে। মাঝেমধ্যে নার্স এলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে কম। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয়। টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। সুস্থ মানুষ এই হাসপাতালে এলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আবুল হাসনাত নামের একজন বলেন, ‘আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এখানে এসে জানলাম, গাইনি ডাক্তার নেই। আমরা গরিব মানুষ, প্রাইভেটে ডাক্তার দেখানোর টাকা নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক স্টাফ বলেন, ‘প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাইনি চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। সার্জন ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এসে ঘুরে যান। এটা আমাদেরও খারাপ লাগে। চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা রোগীর তুলনায় কম হওয়ায় খুব চাপের মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিনথিয়া তাসমিন বলেন, ‘৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রচুর চাপ যাচ্ছে। এভাবে একটা হাসপাতাল চালানো অনেক কষ্টের। এখানে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। জনবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছি।’

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসক-সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সার্জন ছুটিতে থাকায় শ্রীমঙ্গলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। তিনি ছুটিতে থেকে আবার ছুটি চেয়েছেন, এটা কাম্য নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল বাড়ানোর জন্য। এই অল্প জনবল দিয়ে সেবা দেওয়া অনেক কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত ৩

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর মাধবদীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর রাইনাদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের রাইনাদী গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে সিয়াম মিয়া (২২), আলতাফ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও রবিউল ইসলামের ছেলে অটোচালক ফাহিম মিয়া (৩০)।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, রাতে ইজিবাইকে করে তিনজন মাধবদীর দিক থেকে রাইনাদী এলাকায় যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী দ্রুতগতির বাসটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এ সময় দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা গেছেন। ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাসটি জব্দ করা হলেও পালিয়ে গেছেন বাসের চালক ও তাঁর সহযোগী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামীকাল শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল ও নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গোছাতে মাছঘাটগুলোতে এখন তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশা করছেন, এবার ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি হবে।

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দুই শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়।

অভিযানকালে প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ১০টি নৌকা ও প্রায় ১ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার জন্য জেলেরা এখন নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছেন। জেলেরা জানান, এবারের অভিযান কঠোর ছিল এবং তারা সরকারের আইন মেনেই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলেন। তবে তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময় বরাদ্দকৃত চাল (৪৪ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি হারে মোট ১ হাজার ১৪ মেট্রিক টন) কিছু ক্ষেত্রে অন্য পেশার লোকজনকে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তারা পুরোদমে আবার মাছ ধরা শুরু করবেন।

লক্ষীপুর-২
লক্ষীপুর-২

এবারের অভিযান সফল হয়েছে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "গতবারের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। " তিনি আশা করেন, এ বছর লক্ষ্মীপুরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেট্রিক টন হবে, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের কঠোর অভিযান অব্যাহত ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ও আওয়ামী লীগের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিএনপিতে যোগদান

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন নেত-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন নেত-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমনিরহাট জেলার মুখপাত্র সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকও বিএনপিতে যোগদান করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামত’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে। জনসভার প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রোকন উদ্দিন বাবুলের হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বিধান চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সবুজ, আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এইচএম ইদ্রীস আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহারিয়ার আলম রনি, কৃষক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম এবং কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মতিনুর রহমান মতিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চার যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইসলামি সম্মেলনে চারটি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় শহীদ মিনার মঞ্চে মানবকল্যাণ সংস্থা ‘ইনসাফ’-এর আয়োজনে এই বিয়ে চারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পূর্ণ বিনা যৌতুকে ও নামমাত্র খরচে আয়োজিত এই বিয়ের আয়োজন স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল উলামা নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি মাওলানা উবায়দুর রহমান। বিয়ের খুতবা ও আকদ পরিচালনা করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আবদুল হামিদ।

ইনসাফ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে বিয়েতে অযথা আড়ম্বর ও ব্যয়বহুল আয়োজনের কারণে অনেক যুবক বিয়ে করতে সাহস পান না। এই পরিস্থিতিতে ইসলামি রীতি মেনে, স্বল্প খরচে ও সম্পূর্ণ যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন শুরু করেছে সংস্থাটি।

যৌতুকবিহীন বিয়েতে অংশ নেন চার যুগল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন,

প্রথম যুগল—পশ্চিম শিমুলতলা গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ও ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী এবং বাগিচাপুর গ্রামের বজলুর রশিদের মেয়ে আলেমা মোছাম্মদ হাবিবা।

দ্বিতীয় যুগল—নাকশী গ্রামের সাইফুল আলমের ছেলে ও ইনসাফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হাসান এবং ফুলপুর বান্দেরবাজার গ্রামের রূপচাঁদ মিয়ার মেয়ে মোছা. ইভা ইসলাম।

তৃতীয় যুগল—বাইপাস দক্ষিণ কালিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং গাজির খামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রেশমা।

চতুর্থ যুগল—ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলি আহসান মোজাহিদ এবং ফুলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জাকিয়া খাতুন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আল্লামা মুফতি ওয়াহিদুল আলম, মুফতি শহীদুল্লাহ মাহমুদ এবং নালিতাবাড়ী নূর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আরিফুর রহমান।

ইনসাফের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী বলেন, ‘যৌতুক প্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় ও সমাজের জন্য অভিশাপ। সমাজ থেকে এই প্রথার অবসান ঘটাতে ইনসাফ যৌতুকবিহীন বিবাহের এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত