Ajker Patrika

স্বতন্ত্র মানেই ডামি ক্যান্ডিডেট, যাদের নলও নাই গুলিও নাই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর প্রতিনিধি
স্বতন্ত্র মানেই ডামি ক্যান্ডিডেট, যাদের নলও নাই গুলিও নাই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী মানেই আওয়ামী লীগের ডামি ক্যান্ডিডেট, যাদের নলও নাই, গুলিও নাই। সেটি ফুটবেও না, কারও ক্ষতিও করবে না।’ 

আজ বুধবার মেহেরপুরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্যই তাদের দলের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে। যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ বিজয়ী না হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে একটি অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে দেশে হয়। এতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণ যোগ্যমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে আমাদের মেহেরপুর জেলা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। সেটি ইশতেহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হবে।’ 

এ সময় স্মৃতিসৌধে প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি-যুবদলের তিন নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ তদন্ত করছে।

লুৎফর রহমান যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (৫০), জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম (৪০) ও তানোর পৌর বিএনপির নেতা মো. ইয়াসিন (৫২)।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ২৩ অক্টোবর তানোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া এসেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিজানুর রহমান তাঁকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। পরে অন্য আসামিদের হুকুম দিয়ে বলেন, ‘...জনমের মতো সাংবাদিকতা শিখিয়ে দে।’ হুকুম পেয়ে রবিউল ইসলাম কুসুম তাঁর গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন।’

অভিযোগে সাংবাদিক লুৎফর লেখেন, ‘আমি অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়াসিন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফোলা ও কালশিরা জখম করেন। একপর্যায়ে কুসুম হুমকি দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে চিরদিনের মতো শেষ করে দে। যা হয় পরে দেখা যাবে।’ ইয়াসিন গলা চেয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। তখন মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, ধরা পড়ে যাবি।’ প্রায় ১০ মিনিট ধরে আসামিরা আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারার পর মিজানুর রহমান আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলেন, ‘এ মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে যাবি, নতুবা এখানেই তোর লাশ পড়ে যাবে।’ পরে অনেকে ছুটে এসে আমাকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করেন।’

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের কারণে আমি বাম কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলি।’ পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক লুৎফর রহমান।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও বিষয়টি জেনে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখব।’

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেদিন কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। লুৎফর রহমান বিএনপির লোক পরিচয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। তখন আমাদের লোকজন জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের বিএনপি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। দলের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি সেখানে ছিলাম বলে তাঁকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে তো তাঁকে মেরেই ফেলত।’

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। সেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, ক্ষোভে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী: র‍্যাব

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে হত্যা মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের মধুখালীতে হত্যা মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।

আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র‍্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।

তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।

হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা।

আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাদেক রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের ফুয়াদ রাতুল।

ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন বিষয়টি এআই নির্মিত বলে ধামাচাপা দেয়। লিখিত পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।’

অন্য অনশনরত শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ আমরণ অনশনে বসে না। যখন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এ পথ বেছে নেয়। আমরা মব সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুস্মিন আফসানা।

অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যেসব সংবাদ ও ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়ের বাড়িতে যাওয়া হলো না মায়ের

মাদারীপুর প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত