Ajker Patrika

নবজাতককে জিনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, পরে ঘটনা যা জানা গেল

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
নবজাতককে জিনে নিয়ে যাওয়ার কাহিনি শুনে গাংনী উপজেলার নওদা মটমুড়া গ্রামের এক বাড়িতে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নবজাতককে জিনে নিয়ে যাওয়ার কাহিনি শুনে গাংনী উপজেলার নওদা মটমুড়া গ্রামের এক বাড়িতে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জিনে মানুষ তুলে নিয়ে পরে ফেরত দিয়ে গেছে, জিন মানুষের ওপর ভর করেছে, আবার কখনো কখনো জিনে গাছের ডাল ভেঙে চলে গেছে এমন কত ধরনের গল্প, কাহিনি নানি-দাদিদের মুখ থেকে ছোটকাল থেকেই শুনে এনেছেন অনেকেই। তবে সম্প্রতি জিনে জোর করে বাচ্চা প্রসব করিয়ে প্রেসক্রিপশনসহ চুরি করে নিয়ে গেছে এমন একটি অভিযোগ ওই সব গল্প-কাহিনিকেও হার মানিয়েছে। যদিও পরে বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য।

ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদা মটমুড়া গ্রামে।

ওই নারীর বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় ছয় বছর আগে তার মেয়ে আজমিরা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার খাসমহল গ্রামের ছহির উদ্দিনের ছেলে মোকাদ্দেস আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর কাজের সুবাদে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় মুকাদ্দেস আলী। ছয় বছরের সংসার জীবনে একাধিকবার ছুটিতেও এসেছে জামাতা মোকাদ্দেস আলী। শেষবার প্রায় দশ মাস আগে ছুটি কাটিয়ে সে আবারও প্রবাসে ফিরে যায়। জামাতা বিদেশে যাওয়ার তিন মাস পর মেয়ে গর্ভবতী জানতে পেরে তাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গর্ভধারণের প্রায় চার মাস পর মেয়ে আজমিরা খাতুন তার পরিবারকে জানায় তার শোয়ার ঘরের মধ্যে দুটি সাপ দেখতে পেয়ে সাপ দুটিকে মেরে ফেলে। এরপর থেকে জিন প্রতিশোধ নিতে গর্ভের বাচ্চাকে মেরে ফেলা হবে বলে তাকে রাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে।

জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে আজমিরা খাতুনের প্রসব ব্যথা উঠেছে বুঝতে পেরে তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। আজমিরা খাতুন জানায় গোসল করে তারপরে ডাক্তারের কাছে যাবে। এ কথা বলে তোয়ালে নিতে সে গোসলখানায় যায়। ফিরতে দেরি দেখে তার মা ঘরের দিকে এগিয়ে যান। গিয়ে ভেতরের দিক থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকির একপর্যায়ে দরজা খুলে দেওয়া হয়। মা ভেতরে ঢুকেই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিতে থাকেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তার গর্ভে সন্তান নেই। এরপর থেকেই জিনে জোরপূর্বক প্রসব করিয়ে বাচ্চা ও প্রেগনেন্সি টেস্টের রিপোর্টগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে বলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজমিরা খাতুন গর্ভবতী অবস্থায় দুটি সাপ মেরেছিল। সে কারণেই হয়তো জিনেরা ছেলেকে নিয়ে গেছে এমন ঘটনা শুনতে পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যায়। সেখানেই ইউএনও  মহোদয় ও ডাক্তার এসেছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তা ছাড়া তার শরীরের হাতে, পায়ে ও গলায় নখের আঁচড়ের দাগ দেখা গেছে।

সংবাদ পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানসহ পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত অবস্থা জানা সম্ভব হবে বলে জানান তারা।  

এদিকে পরিবারের লোকজন আজমিরা খাতুনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বেরিয়ে আসে প্রকৃত তথ্য। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে তিনি গর্ভবতী ছিলেন না বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেছে আজমিরা খাতুন আদৌও গর্ভবতী ছিলেন না। এলাকায় আলোড়ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে যে ঘটনায় সেটা ছিল সম্পূর্ণটাই কাল্পনিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্থগিতাদেশ তুলে ব্রাকসুর নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ

বেরোবি সংবাদদাতা
স্থগিতাদেশ তুলে ব্রাকসুর নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের স্থগিতাদেশ তুলে নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামানসহ সকল কমিশনারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়াও এক‌ই সময়ে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে যৌথ বিবৃতিও দেয় কমিশন।

নতুন রোডম্যাপ অনুযায়ী, ৪ ও ৭ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ৭ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ, ৮ ও ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল (ডোপ টেস্টের রিপোর্টসহ), ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা এবং গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে‌।

ব্রাকসুর সকল কমিশনারের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকাকালে ভোটার তালিকায় উল্লেখযোগ্য অসংগতি শনাক্ত হ‌ওয়ায় নির্বাচন কমিশন নীতিগত কারণে নির্বাচনী কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। নির্বাচন কমিশন আগেও জানিয়েছে, এখনো স্পষ্ট বলছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, গ্রুপ বা পক্ষের চাপ বা প্রভাব ছিল না এবং এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, স্বশাসিত ও স্বতন্ত্র কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও আইনি মানসম্মত নির্বাচন আয়োজন করা কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। ভুল ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা করলে নির্বাচনপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি ছিল, তাই প্রয়োজনীয় সংশোধন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল।

কোনো পক্ষ, সংগঠন বা ব্যক্তির স্বার্থে কমিশন কখনোই কাজ করেনি এবং পরবর্তী সময়েও করবে না। কমিশন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি, ব্রাকসু ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের গঠনতন্ত্র, নির্বাচন নীতিমালা ও তথ্যভিত্তিক বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান—গুজব, অপপ্রচার ও ভুল তথ্য পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণ করুন। ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হ‌ওয়ামাত্রই নির্বাচন কমিশন পরবর্তী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, এর আগে ১ ডিসেম্বর বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকার কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার মামলায় চাটমোহর মহিলা দলের দুই নেত্রী গ্রেপ্তার

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার দুই নেত্রী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার দুই নেত্রী। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহরে ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে উপজেলা মহিলা দলের বহিষ্কৃত দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে চাটমোহর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মহিলা দল চাটমোহর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি (বহিষ্কৃত), পৌরসভার মধ্য শালিখা মহল্লার মৃত কোবাদ হোসেনের মেয়ে বুড়ি সরকার (৪২) এবং একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত), পৌরসভার বালুচর মহল্লার বিএনপি নেতা সেলিম রেজার স্ত্রী রহিমা রেজা (৪৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর উপজেলা মহিলা দলের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তামান্না আজিজা স্বর্ণা গত ২৩ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার আফ্রাতপাড়া এলাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পূর্ববিরোধের জেরে রহিমা রেজা ও বুড়ি সরকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। এতে স্বর্ণা আহত হন। পরে তিনি একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রহিমা রেজা ও বুড়ি সরকারকে পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে যুবকের লাশ হাসপাতালে রেখে পলায়ন, শরীরে পোড়া দাগ, গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে যুবকের লাশ হাসপাতালে রেখে পলায়ন, শরীরে পোড়া দাগ, গ্রেপ্তার ৩

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত বেল্লাল বরিশাল সদর উপজেলার পশ্চিম চর আইচা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। নিহত বেল্লালের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বেল্লালের বাবা শাহ আলম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (২৬) ও সাদিয়া (২৪)। পলাতক দুজন হলেন পলাশপুর বস্তির রিপন রানা এবং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সবুজ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে বেল্লালের লাশ সিঁড়ি বেয়ে নামাচ্ছিলেন এক যুবকসহ চার তরুণ-তরুণী। পরে তাঁরা লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সরে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা মো. টিপু বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর ভাড়া করা একটি রুমে প্রতিদিন কয়েকজন মদ্যপান করতেন। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপানের একপর্যায়ে বেল্লালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেল্লালের শরীরে মারধর ও পোড়ার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত চলছে।’

শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেল্লালের শরীরে পোড়া দাগ আছে। মনে হচ্ছে, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ দাবি: রাজনগরে দুজন ভুয়া সাংবাদিক আটক

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আটক দুই ভুয়া সাংবাদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক দুই ভুয়া সাংবাদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান (২৮) এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কোটালীপাড়া গ্রামের রুকন উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) নিজেদের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে তাঁরা আর্থিক সুবিধা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। পরে মনসুরনগর ইউনিয়নে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে।

খবর পেয়ে রাজনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।

রাজনগর থানার এএসআই হৃদয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত