Ajker Patrika

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের জন্য ঘর নির্মাণ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়ায় আজ চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়ায় আজ চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘর পরিদর্শন করে জড়িত সব ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ঘর নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার গড়পাড়া ঘোষের বাজার এলাকায় মানবেন্দ্রের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এই শিল্পীর জন্য ঘর নির্মাণসহ সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

দুপুর ১২টার দিকে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। এ সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মানবেন্দ্র ঘোষের পুড়ে যাওয়া বাড়িটি তাঁদের ইচ্ছেমতো নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তাঁরা যে ডিজাইন (নকশা) দেবেন, সে অনুযায়ী করা হবে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষণিক গতকাল বুধবার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান নাজমুল হাসান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেজবা-উল-সাবেরিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দায়িত্ববোধ থেকে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে এসেছি। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তাতে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়। পুলিশ এরই মধ্যে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাঁদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, তা-ও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অতিরিক্ত ডিআইজির সঙ্গে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোসাম্মৎ ইয়াসমিন খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র বলেন, ‘আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, এটা অনেক বড় ধরনের ক্ষতি। আমার পরিবার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। শিল্প সত্ত্বা চরমভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমি জানি না, ভবিষ্যতে আমি সচেতনভাবে শিল্পচর্চা করতে পারব কি না। আমি চাই, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পান। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

মানবেন্দ্র ঘোষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী। এবারের পয়লা বৈশাখে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’র মোটিফ বানিয়েছিলেন তিনি। ‘ফ্যাসিবাদের’ মুখাকৃতি বানানোয় কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি পাচ্ছিলেন বলে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কয়েক ঘণ্টা পরেই আড়াইটার দিকে বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

আগুনে ঘরের ভেতর রাখা মানবেন্দ্রের দীর্ঘদিনের গচ্ছিত কাঠের ও ফাইবার গ্লাসের তৈরি নানা ধরনের শিল্পকর্ম, একটি মোটরসাইকেল, জেনারেটর, আইপিএসসহ বেশ কিছু প্রতিমাসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চোখ উপড়ানো নারীর পরিচয় শনাক্ত, ৮ ঘণ্টা পর প্রেমিক গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
গ্রেপ্তার সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা নলিচাপাড়া এলাকার কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া চোখ উপড়ানো অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. সোহেল রানা (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ জানান, নিহত নারীর নাম মোছা. মরিয়ম বেগম (৪৮)। তিনি সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল রানা সদর উপজেলার গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম প্রবাসে থাকতেন। প্রায় দুই-তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সোহেলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহেল তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে মরিয়ম সময় নিতে চাইলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি অন্যত্র সম্পর্ক তৈরি করেন বলে পুলিশের ধারণা।

পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর তাঁরা দুজন কাশিয়াহাটা এলাকায় দেখা করেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সোহেল মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ কলাবাগানের ড্রেনে ফেলে রেখে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে মানিক হোসেন সদর থানায় মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানুজ্জামানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় লোকজন কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের একটি কলাবাগানে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা

রংপুর প্রতিনিধি
নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন। নিহত যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে বাড়িতে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায়সহ তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ বলছে, তাঁরা অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছেন।

তারাগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘নতুন ইউএনওকে রোববার ফুল দিয়ে বরণ করা জন্য আমরা উপজেলায় আসি। সেখানে যোগেশের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা কাল থেকেই এখানে। বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হত্যা করা লজ্জাজনক। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।’

ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকালে সরেজমিন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে ঘুরে এসেছি। তাঁর লাশ এখনো আসেনি। মরদেহ আসলে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছিনতাই প্রতিরোধের দাবিতে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে থানা ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে বিক্ষুব্ধরা থানা ফটক ছেড়ে ভেতরে প্রবেশ করে স্লোগান দেন।

‎‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে গাজীপুরা বাসস্টেশন পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার সকালে বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর বাটাগেট অংশের উড়ালসেতুর ওপর ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হন। এভাবে প্রতিনিয়তই জীবন হারাচ্ছে মানুষ। ছিনতাই আতঙ্কে রয়েছে টঙ্গীর প্রতিটি মানুষ। পুলিশ ছিনতাই রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ আমরা থানা ঘেরাও করেছি। পরবর্তীকালে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।’

‎জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে টঙ্গীর হাজি মাজার বস্তি এলাকা থেকে ইমরান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। তাঁকে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মো. আতিকুর রহমান বলেন, র‍্যাব ইমরানকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে টঙ্গীর কয়েক শ এলাকাবাসী থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরে পুলিশের দিয়ে আশ্বাসে তাঁরা ফিরে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত, আহত ১০

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার নিলক্কিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে মামুন আহত হন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মামুন মারা গেছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষের সময় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত