Ajker Patrika

দেশ ছাড়ার আগে স্ত্রীকে দেখতে এসে খুনের আসামি গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশ ছাড়ার আগে স্ত্রীকে দেখতে এসে খুনের আসামি গ্রেপ্তার 

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও ধামরাই উপজেলার গোয়ারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিন আলম। দুজনের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। আর এই বন্ধুত্বের পরিচয় থেকে শুরু এনজিও’র ঋণে ব্যবসা। সেই ব্যবসার টাকা আত্মসাৎ করতেই শহিদুলকে গলা কেটে হত্যা করে শাহিন আলম (৩৮)। এই হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পরে দেশ ছাড়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেন শাহিন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার বড়টিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০১ সালে আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় নিহত শহিদুল ইসলাম ও আসামি শাহিনের। পরবর্তীতে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। একটা সময়ে শাহিন এনজিও প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেয় শহিদুলকে। ২০০৪ সালে তারা ধামরাই থানার গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ‘বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তারা। সঞ্চয়, ঋণদান এবং ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তার শাহিন ও নিহত শহিদুল সমান অংশীদার থাকলেও শহিদুল এনজিওটির কর্মচারী এবং সদস্যদের কাছে তার কর্মদক্ষতা ও ভালো ব্যবহারের জন্য খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং একসময় তাদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশ কিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটি আত্মসাতের লোভে বন্ধু শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে শাহিন। 

ডিআইজি আরও বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহীদুলের সঙ্গে শাহিনের গভীর সম্পর্ক তৈরি করে। ঘটনার পূর্বে আসামি শাহিন তার মামাতো ভাই টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে শহিদুলকে হত্যার ছক তৈরি করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৬ সালের ২০ মে শাহিনের জন্য পাত্রীর দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহিদুলকে মাইক্রো বাসে তোলা হয়। সন্ত্রাসী রাজা মিয়াসহ সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার রশি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে গলা কেটে নিথর দেহ থেকে শহিদুলের মাথা আলাদা করে ফেলা হয় ৷ 

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, নিহতের মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে আসামিরা লাশ গুম করে আলামত লোপাট করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সাটুরিয়া উপজেলার কালামপুর এলাকার বেতুলিয়া ব্রিজের মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। আর মাথা নাগরপুরে জগতলা নামের অপর আরেকটি স্থানে কাদামাটিতে পুতে রাখে ঘাতকেরা। ওই হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পরে কুকুর মাটি খুঁড়ে ভিকটিমের মাথা ও নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত শহিদুলের ভাই নিখোঁজের ঘটনা উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে সাটুরিয়া থানায় মাথা ও নিথর দেহের ছবি দেখে নিহতকে চিনতে পারে। এই ঘটনায় এনজিওর দুই নারী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, শহিদুলের সঙ্গে শাহিনের এনজিওর মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। পরে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর থেকে ১০ বছর হাজত খেটে ২০১৬ সালে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় শাহিন। আদালতে শাহিন আলম, সাহেদ ও পলাতক আসামি রাজা মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার, রহম আলী ড্রাইভার ও মাইক্রোবাসের মালিক সেলিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে আদালত ১ ডিসেম্বর ২০২১ সালের পহেলা ডিসেম্বর শাহিনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামি শাহিন আত্মগোপনে থাকতে ছদ্মবেশ ধারণ করে। তিনি রংপুর, আশুলিয়া, পল্লবী, উত্তরা, টঙ্গীসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বারবার পেশা পরিবর্তন করত। বন্ধু শহিদুল হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এই ভয়ে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে শাহিন। গত সোমবার রাতে দেশে ছেড়ে যাওয়ার আগে শেষবার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এই সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। 

গ্রেপ্তারকৃত শাহিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাইবার সুরক্ষার মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহপাঠীকে যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের চকবাজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম রেডিটে করা পোস্টের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বুয়েটে বিক্ষোভ করে একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবির মুখে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র শ্রীশান্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

পরে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারায় রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন বুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন। ওই মামলায় শ্রীশান্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ।

শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেডিট ব্যবহার করে সহপাঠীকে যৌন হয়রানির হুমকি দিয়েছেন এবং নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। পাশাপাশি মুসলিম নারীদের পোশাক হিজাব নিয়েও নানা প্ল্যাটফর্মে বাজে মন্তব্য করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বুয়েটের ওই ছাত্রকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভে নামে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী। বিক্ষোভের মুখে রাতেই তাঁকে হেফাজতে নেয় চকবাজার থানা পুলিশ। চকবাজার থানায় আজ বুয়েটের মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাজাহান সিরাজ।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তিকে ব্ল‍্যাকমেইলিং বা যৌন হয়রানি বা রিভেঞ্জ পর্ন বা ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত উপাদান (চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ ম্যাটেরিয়াল) বা সেক্সটর্শন করবার অভিপ্রায়ে সৃষ্ট বা প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত কোনো তথ্য, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত, এডিটকৃত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত অথবা এডিটকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এইরূপ কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করার হুমকি প্রদান করেন; যা ক্ষতিকর বা ভীতি প্রদর্শক, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।

অন্যদিকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে বা ছদ্ম পরিচয়ে নিজের বা অন্যের আইডিতে অবৈধ প্রবেশ করিয়া এমন কোনো কিছু সাইবার স্পেসে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং যাহা সহিংসতা তৈরি বা উদ্বেগ সৃষ্টি করে বা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা করে, তাহা হইলে অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

এই দুই ধারায় সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, আসামির দায়ের কোপে শিশুর দাদি নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভা এলাকায় চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ঘাতকের দায়ের কোপে মারা গেছেন শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির (৬৫)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলপুর পৌরসভার আমুয়াকান্দা গ্রামের চার বছর বয়সী ওই শিশু গত সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটির পরিবার দ্রুত খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতেই জানা যায়, শিশুটিকে প্রতিবেশী আবুল রবিদাস (৪০) প্রলুব্ধ করে অপহরণ করেছেন এবং তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, এ খবর শুনে শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির তাঁর নাতিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। বৃদ্ধার এই সাহসিকতা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত আবুল রবিদাস।

তখন রবিদাস ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধ ফুলবাঁশির মাথায় সজোরে কোপ দেন। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফুলবাঁশিরকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার পরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রবিদাস। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভালুকার কাশর এলাকা থেকে আবুল রবিদাসকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল রাতে অভিযুক্ত আবুল রবিদাসকে (৪০) আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক দিবসে রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় পেছন থেকে গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। আজ বুধবার নগরীর শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দিন সারা দেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য-‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।’ আর এ দিনই রাজশাহীতে বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারান দুজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান খান (৪০) এবং একই উপজেলার কিচনিদহা গ্রামের সৈবুর রহমান (৪৫)। আজিজুর রহমান খান ঘটনাস্থলেই মারা যান। সৈবুর রহমানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী জানান, আজিজুর রহমান ও সৈবুর রহমান একই মোটরসাইকেলে চেপে রাজশাহী শহর থেকে বের হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। সিটিহাট এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় গ্রামীণ ট্রাভেলসের দ্রুতগতির একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের নিচে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

ওসি আরও জানান, বাসমালিকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। নিহত দুজনের একজনের আত্মীয় এই বাসের কাউন্টারে চাকরি করেন। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাঁরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।

পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়নি। তবে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ

নরসিংদী প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে খেলাধুলার চর্চা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হবে।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে প্রথম সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মসূচি অনুসারে জেলায় খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, এনএসসি থেকে পাওয়া ক্রীড়াসামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণের জন্য জেলা ক্রীড়া অফিসারকে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়।

জাতীয় পর্যায়ে নরসিংদীর অংশগ্রহণ আছে—এমন খেলোয়াড়দের একটি তালিকা করতেও বলা হয়। এ ছাড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থায় খেলাধুলার আয়োজন, যথাযথভাবে বাজেট প্রণয়ন ও খরচের বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়।

স্টেডিয়ামের দোকানগুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

নরসিংদীতে নতুন যোগ দেওয়া জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রথম সভা ছিল এটি। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার সাথী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লা, জাহিদুল কবীর ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত