মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’
গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’
গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’
এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’
তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’
এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’
আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’
গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’
গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’
এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’
তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’
এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’
আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’
গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’
গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’
এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’
তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’
এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’
আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’
গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’
গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’
গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’
এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’
তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’
এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’
আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।

ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস
১৮ অক্টোবর ২০২২
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস
১৮ অক্টোবর ২০২২
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৬ মিনিট আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস
১৮ অক্টোবর ২০২২
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস
১৮ অক্টোবর ২০২২
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে