আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
কাউটিয়া আমাদের গ্রাম।
বানিয়াজুরী-ঘিওর পাকা সড়কের পুটিয়াজানী থেকে নেমে হাতের ডানে এগোলে দুপাশে সুশৃঙ্খল গাছগাছালির ছায়া। তারই মাঝে সুনিবিড় আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। এরপর বিশাল বট-পাকুড়ের জোড়বন্ধন। তিন শ বছর বয়সী এ গাছ দুটিতে ঝুলে থাকা শিকড়গুলোকেই একেকটা গাছ মনে হয়। পরিশ্রান্ত পথিক একটু জিরিয়ে নেন এই শীতল পরিবেশে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কাউটিয়া গ্রামের কোল ঘেঁষে বয়ে চলেছে স্বচ্ছ ধারার কালীগঙ্গা নদী। শরতের নীলাভ আকাশের বুকে শুভ্র আলপনা এঁকে যাওয়া মেঘমালার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে সেই জলে। ঝিরঝিরে মিষ্টি শীতল বাতাসে ভেসে বেড়ায় সাদা কাশফুল। পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে গ্রামবাসীর।
গাঁয়ে প্রবেশপথের বাঁয়ে দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল বাঁশের মাচার ঘর। চারপাশে দেশি জাতের ফসলের বৈচিত্র্য। প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছে প্রাণবৈচিত্র্যময় খামার। শরতের শেষ বিকেলে চকের বর্ষার স্বল্প পানিতে নৌকায় বেড়ানো, শাপলা-শালুকের সান্নিধ্যে শিশু-কিশোরদের উচ্ছলতায় এক অপার সৌন্দর্যের অবতারণা হয়। গ্রামের সারি সারি গাছপালা, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, ফসলের খেত, বাঁধানো পুকুর ঘাট দেখে মনে হয় এ যেন শিল্পীর রংতুলি দিয়ে আঁকা কোনো ছবি।
এ গ্রামে বাস করে সাত শতাধিক মানুষ। হিন্দু-মুসলমানের সহাবস্থান আর সাংস্কৃতিক-সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মিলনমেলায় এ গ্রাম উজ্জীবিত। ছোট্ট এই গ্রামটি শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর। রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, শরীরচর্চা ক্লাব।
পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাতে বটতলায় বসে লোকজ গানের আসর। গ্রামীণ মেলা, পালাগান, শিরনি, ভেলা ভাসানো উৎসবসহ গ্রামীণ খেলাধুলায় বেশ পারঙ্গম এ গাঁয়ের মানুষ। কোমর আলী ঠাকুরবাড়ি, বাচ্চু ফকির, গ্যাদা গায়েন, গোলাপ গাছি, আতাব আলী মাতবর এসব সাংস্কৃতিক আচারাদির পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
দুটি ঝুপড়ি দোকানের সামনে প্রবীণ পুরুষেরা জাল বোনেন আর উঠোনে নারীরা কাঁথা সেলাই ও সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। গ্রামের মাঠজুড়ে আমন-আউশ ধানের আইলে বিলি কেটে ছুটে চলছে হাঁস, বিভিন্ন পতঙ্গ।
কাউটিয়া গ্রামের সন্তান ঘিওর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহেলা কিংবা কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক-এর গবেষক এ গাঁয়ের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানা যায় কাউটিয়া গ্রাম আলোকিত করেছেন যাঁরা, তাঁদের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলম খানের কথা। কাউটিয়ায় জন্ম কম্পিউটার বিজ্ঞানী বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সাবেক সচিব মীর আবুল হোসেন, আদর্শ শিক্ষক আব্দুল খালেক, প্রফেসর আফিল উদ্দিন, সমাজসেবক রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, ফাইজুদ্দিন, আখের ফকির, ইয়াজ উদ্দিন ফকির, পুলিশ কর্মকর্তা মো. মিজান প্রমুখের।
একসময় সাঁঝের বেলায় ধূপের ধোঁয়ায় এই গ্রামে কীর্তনের আসর বসত, হতো গাজির গান। এখন লোকজ আয়োজন অনেক কমে এসেছে। রঙে ঢঙে গ্রামীণ যাত্রা, পালা গান শেষে মাঝরাতে জোনাকির উড়ে চলা পথ মাড়িয়ে হারিকেনের আলোয় বাড়ি ফিরত মানুষজন। এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত গোটা এলাকা।
অনেক কিছু হারিয়েছে গ্রাম, আবার পেয়েছেও অনেক কিছু।প্রযুক্তির সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ বাড়ছে বলে খুলে যাচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। এটাও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গ্রামটিকে।
কাউটিয়া আমাদের গ্রাম।
বানিয়াজুরী-ঘিওর পাকা সড়কের পুটিয়াজানী থেকে নেমে হাতের ডানে এগোলে দুপাশে সুশৃঙ্খল গাছগাছালির ছায়া। তারই মাঝে সুনিবিড় আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। এরপর বিশাল বট-পাকুড়ের জোড়বন্ধন। তিন শ বছর বয়সী এ গাছ দুটিতে ঝুলে থাকা শিকড়গুলোকেই একেকটা গাছ মনে হয়। পরিশ্রান্ত পথিক একটু জিরিয়ে নেন এই শীতল পরিবেশে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কাউটিয়া গ্রামের কোল ঘেঁষে বয়ে চলেছে স্বচ্ছ ধারার কালীগঙ্গা নদী। শরতের নীলাভ আকাশের বুকে শুভ্র আলপনা এঁকে যাওয়া মেঘমালার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে সেই জলে। ঝিরঝিরে মিষ্টি শীতল বাতাসে ভেসে বেড়ায় সাদা কাশফুল। পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে গ্রামবাসীর।
গাঁয়ে প্রবেশপথের বাঁয়ে দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল বাঁশের মাচার ঘর। চারপাশে দেশি জাতের ফসলের বৈচিত্র্য। প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছে প্রাণবৈচিত্র্যময় খামার। শরতের শেষ বিকেলে চকের বর্ষার স্বল্প পানিতে নৌকায় বেড়ানো, শাপলা-শালুকের সান্নিধ্যে শিশু-কিশোরদের উচ্ছলতায় এক অপার সৌন্দর্যের অবতারণা হয়। গ্রামের সারি সারি গাছপালা, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, ফসলের খেত, বাঁধানো পুকুর ঘাট দেখে মনে হয় এ যেন শিল্পীর রংতুলি দিয়ে আঁকা কোনো ছবি।
এ গ্রামে বাস করে সাত শতাধিক মানুষ। হিন্দু-মুসলমানের সহাবস্থান আর সাংস্কৃতিক-সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মিলনমেলায় এ গ্রাম উজ্জীবিত। ছোট্ট এই গ্রামটি শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর। রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, শরীরচর্চা ক্লাব।
পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাতে বটতলায় বসে লোকজ গানের আসর। গ্রামীণ মেলা, পালাগান, শিরনি, ভেলা ভাসানো উৎসবসহ গ্রামীণ খেলাধুলায় বেশ পারঙ্গম এ গাঁয়ের মানুষ। কোমর আলী ঠাকুরবাড়ি, বাচ্চু ফকির, গ্যাদা গায়েন, গোলাপ গাছি, আতাব আলী মাতবর এসব সাংস্কৃতিক আচারাদির পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
দুটি ঝুপড়ি দোকানের সামনে প্রবীণ পুরুষেরা জাল বোনেন আর উঠোনে নারীরা কাঁথা সেলাই ও সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। গ্রামের মাঠজুড়ে আমন-আউশ ধানের আইলে বিলি কেটে ছুটে চলছে হাঁস, বিভিন্ন পতঙ্গ।
কাউটিয়া গ্রামের সন্তান ঘিওর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহেলা কিংবা কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক-এর গবেষক এ গাঁয়ের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানা যায় কাউটিয়া গ্রাম আলোকিত করেছেন যাঁরা, তাঁদের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলম খানের কথা। কাউটিয়ায় জন্ম কম্পিউটার বিজ্ঞানী বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সাবেক সচিব মীর আবুল হোসেন, আদর্শ শিক্ষক আব্দুল খালেক, প্রফেসর আফিল উদ্দিন, সমাজসেবক রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, ফাইজুদ্দিন, আখের ফকির, ইয়াজ উদ্দিন ফকির, পুলিশ কর্মকর্তা মো. মিজান প্রমুখের।
একসময় সাঁঝের বেলায় ধূপের ধোঁয়ায় এই গ্রামে কীর্তনের আসর বসত, হতো গাজির গান। এখন লোকজ আয়োজন অনেক কমে এসেছে। রঙে ঢঙে গ্রামীণ যাত্রা, পালা গান শেষে মাঝরাতে জোনাকির উড়ে চলা পথ মাড়িয়ে হারিকেনের আলোয় বাড়ি ফিরত মানুষজন। এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত গোটা এলাকা।
অনেক কিছু হারিয়েছে গ্রাম, আবার পেয়েছেও অনেক কিছু।প্রযুক্তির সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ বাড়ছে বলে খুলে যাচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। এটাও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গ্রামটিকে।
এবার আরও বড় পরিসরে শুরু হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা। বিভাগীয় প্রশাসন ও জাতীয় গণগ্রন্থাগারের যৌথ আয়োজনে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে শুরু হবে ৯ দিনব্যাপী এ বইমেলা। চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে...
১৫ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৬ জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক নারী সদস্য জাহানারা বেগমের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
১ ঘণ্টা আগে১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া অধ্যাপক শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ
১ ঘণ্টা আগে