মাদারীপুর প্রতিনিধি
এক সময়ে পথে পথে ছুটে চলা ‘লেইস ফিতা ফেরিওয়ালারা’ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহর ও গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে নারীদের শখের সাজসজ্জার জিনিস বিক্রি করতে এখন আর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ তা বিলুপ্তির পথে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় নারীদের সাজ সজ্জার জিনিস কেনার সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দের মাধ্যম ছিল লেইস ফিতা বিক্রি করা ফেরিওয়ালা। কাগজের কার্টুনের উপর সাদা বা লাল কাপড় পেঁচিয়ে পুটলি কাঁধে ঝুলিয়ে আর আরেক হাতে কাঠ ও কাচ দিয়ে তৈরি একটি বক্সের মধ্যে নারীদের সাজ সজ্জার নানা জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রি জন্য বের হতেন এই ফেরিওয়ালারা। সাজ সজ্জার জিনিসপত্রের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল, কানের দুল, কানের নোলক, নানা রঙ্গের চুলের ফিতা, ঝিনুক মালা, রেশমি চুড়ি, কাঁকন বালা, কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর, নেইল পলিস, লিভষ্টিক, গলার মালা, টিপ, আংটি, স্নো, পাউডার, সুগন্ধি তেল, সাবানসহ নানা প্রসাধনী। প্রতিদিন ভোরে ফেরিওয়ালারা বের হয়ে গ্রামের পথে পথে শহরের অলিগলি ঘুরতেন। লেইস ফিতার ডাক শুনে ঘর থেকে ছুটে আসতেন নারীরা। তারা দাম দর করে তাদের পছন্দের ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেন। এটা ছিল নারীদের সবচেয়ে প্রিয় কেনাকাটা। কালের বিবর্তনে আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিতার ছোঁয়ায় এখন নারীরা মার্কেট ও শপিং মলে গিয়ে তাদের কেনা কাটা করে থাকেন। এক সময় মাদারীপুরের কয়েক শ ফেরিওয়ালা থাকলেও আজ আছে হাতে গোনা কয়েকটি। তাও হয় তো এক সময় হারিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মের কাছে এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মাদারীপুর মস্তফাপুরের লেইস ফিতা ফেরিওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন আর আগের মতো কেউ চুরি ফিতা কিনে না। মার্কেটে সব রকম প্রসাধনী আর সাজাসজ্জর জিনিস পাওয়া যায়। সেখানে গিয়েই সবাই কিনে। বাবা-দাদার এই ব্যবসা ছাড়তে পারিনি। তাছাড়া অন্য কোনো কাজও শিখিনি। টাকাও নেই ব্যবসা করবো। তাই এখনও এই পুরোনো ব্যবসা নিয়েই পরে আছি।’
আরেক ফেরিওয়ালা কালাম মুন্সি বলেন, ‘সারা দিন ঘুরে ৩ থেকে ৪ শ টাকার জিনিসপত্র বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। এখন আর আমাদের কদর নেই।’
মাদারীপুর শহরের হাজীর হাওলা গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন মা, খালা, ফুপুদের দেখতাম ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে সাজ-সজ্জার জিনিসপত্র কিনতে। আমিও কিনেছি। কিন্তু এখন আর ফেরিওয়ালাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’
মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, এখন আর এই ফেরিওয়ালাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। যারা আগে এই ব্যবসা করতেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্য ব্যবসা করছেন। অনেকে দোকান খুলে চুড়ি ফিতা বিক্রির ব্যবসা করছেন।
মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, ‘ছোট বেলায় আমিও আমার মায়ের সাথে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কত কিছু কিনেছি। রেশমী চুরি, লাল ফিতা কিনে দিলে কি আনন্দ লাগতো। আর ঈদ এলে তো ঘরে ঘরে নারীরা অপেক্ষায় থাকতো, কখন লেইস ফিতার ডাক শুনবে। আজ সেই পছন্দেও ফেরিওয়ালা শুধু মাদারীপুর নয়, সারা দেশ থেকেই হারিয়ে যেতে বসেছে।’
এক সময়ে পথে পথে ছুটে চলা ‘লেইস ফিতা ফেরিওয়ালারা’ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহর ও গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে নারীদের শখের সাজসজ্জার জিনিস বিক্রি করতে এখন আর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ তা বিলুপ্তির পথে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় নারীদের সাজ সজ্জার জিনিস কেনার সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দের মাধ্যম ছিল লেইস ফিতা বিক্রি করা ফেরিওয়ালা। কাগজের কার্টুনের উপর সাদা বা লাল কাপড় পেঁচিয়ে পুটলি কাঁধে ঝুলিয়ে আর আরেক হাতে কাঠ ও কাচ দিয়ে তৈরি একটি বক্সের মধ্যে নারীদের সাজ সজ্জার নানা জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রি জন্য বের হতেন এই ফেরিওয়ালারা। সাজ সজ্জার জিনিসপত্রের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল, কানের দুল, কানের নোলক, নানা রঙ্গের চুলের ফিতা, ঝিনুক মালা, রেশমি চুড়ি, কাঁকন বালা, কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর, নেইল পলিস, লিভষ্টিক, গলার মালা, টিপ, আংটি, স্নো, পাউডার, সুগন্ধি তেল, সাবানসহ নানা প্রসাধনী। প্রতিদিন ভোরে ফেরিওয়ালারা বের হয়ে গ্রামের পথে পথে শহরের অলিগলি ঘুরতেন। লেইস ফিতার ডাক শুনে ঘর থেকে ছুটে আসতেন নারীরা। তারা দাম দর করে তাদের পছন্দের ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেন। এটা ছিল নারীদের সবচেয়ে প্রিয় কেনাকাটা। কালের বিবর্তনে আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিতার ছোঁয়ায় এখন নারীরা মার্কেট ও শপিং মলে গিয়ে তাদের কেনা কাটা করে থাকেন। এক সময় মাদারীপুরের কয়েক শ ফেরিওয়ালা থাকলেও আজ আছে হাতে গোনা কয়েকটি। তাও হয় তো এক সময় হারিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মের কাছে এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মাদারীপুর মস্তফাপুরের লেইস ফিতা ফেরিওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন আর আগের মতো কেউ চুরি ফিতা কিনে না। মার্কেটে সব রকম প্রসাধনী আর সাজাসজ্জর জিনিস পাওয়া যায়। সেখানে গিয়েই সবাই কিনে। বাবা-দাদার এই ব্যবসা ছাড়তে পারিনি। তাছাড়া অন্য কোনো কাজও শিখিনি। টাকাও নেই ব্যবসা করবো। তাই এখনও এই পুরোনো ব্যবসা নিয়েই পরে আছি।’
আরেক ফেরিওয়ালা কালাম মুন্সি বলেন, ‘সারা দিন ঘুরে ৩ থেকে ৪ শ টাকার জিনিসপত্র বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। এখন আর আমাদের কদর নেই।’
মাদারীপুর শহরের হাজীর হাওলা গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন মা, খালা, ফুপুদের দেখতাম ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে সাজ-সজ্জার জিনিসপত্র কিনতে। আমিও কিনেছি। কিন্তু এখন আর ফেরিওয়ালাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’
মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, এখন আর এই ফেরিওয়ালাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। যারা আগে এই ব্যবসা করতেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্য ব্যবসা করছেন। অনেকে দোকান খুলে চুড়ি ফিতা বিক্রির ব্যবসা করছেন।
মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, ‘ছোট বেলায় আমিও আমার মায়ের সাথে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কত কিছু কিনেছি। রেশমী চুরি, লাল ফিতা কিনে দিলে কি আনন্দ লাগতো। আর ঈদ এলে তো ঘরে ঘরে নারীরা অপেক্ষায় থাকতো, কখন লেইস ফিতার ডাক শুনবে। আজ সেই পছন্দেও ফেরিওয়ালা শুধু মাদারীপুর নয়, সারা দেশ থেকেই হারিয়ে যেতে বসেছে।’
অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে। তিনি নামার বাজার মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। এ ছাড়া তিনি ইসলামি যুব আন্দোলনের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবেও পরিচিত।
২৯ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিলে কচুরিপানার নিচে লুকানো অবস্থায় মো. নূরুজ্জামান (৩৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে বিলের পাশ থেকে তার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের লালপুরে স্ত্রী লতা খাতুনকে (২৭) হত্যার দায়ে স্বামী সিরাজুল ইসলামকে (৪১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সিরাজুল ইসলাম লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। এ সময় আদালত আসামী সিরাজুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান...
১ ঘণ্টা আগেযশোরের কেশবপুরে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বর্ণকারিগরসহ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে এবং গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে