Ajker Patrika

এইচএসসির ফল বিপর্যয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
ব্রাহ্মণপাড়ায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণপাড়ায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর জেরে এবং নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে এ বিক্ষোভ হয়।

জানা গেছে, সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তবে তাদের মধ্যে কেবল ১৫ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এতে ওই কলেজের পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে। কলেজটির এই ফলাফল বিপর্যয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ওই কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এ ছাড়া আরও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আজ সকালে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করে এবং তারা ক্লাস বর্জন করে।

শিক্ষার্থীরা বলে, ‘আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে এই কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর অদক্ষতার কারণে আজকে এইচএসসি পরীক্ষায় এ কলেজে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ক্লাস বর্জন করেছি, তাঁর পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।’

সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল ট্রেনিংয়ের কারণে ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি। এখানে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমার কলেজে এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। এর জন্য শিক্ষার্থীরা আমাকে দায়ী করছে। অথচ আমি তো ক্লাস নিই না।’

মো. হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের প্রধান কারণ, শিক্ষকেরা ঠিকমতো পাঠ দেননি এবং শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়াশোনা করেনি। আমাদের সহকারী অধ্যক্ষও তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি। এসবে আমার দায় থাকলেও এককভাবে আমাকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কারণ, আমি তো ক্লাস নিই না, আমি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করি আর একাডেমিক দায়িত্ব পালন করেন সহকারী অধ্যক্ষ।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাইরে ছিলাম। আপনাদের মাধ্যমে শুনতে পারলাম। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রাহকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়িতে জবি ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ

টিকটকে প্রেম, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে রাঙামাটিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক

৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১২১৯

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত