মমিনুল ইসলাম বাবু, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)
সংস্কার না করায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ডাকঘরটি স্যাঁতসেঁতে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ অবস্থায় ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।
পোস্টাল অপারেটর মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ডাকঘর ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থার কথা সবাই জানেন। কয়েকবার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত দল এসে পরিদর্শন করে গেছেন। তবে কবে কাজ হবে, সেটি কেউ জানে না। আমরা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছি। মাঝেমধ্যে ছাদের পলেস্তারা খসে গায়ে পড়ে। ভয় লাগে কিন্তু করার কিছুই নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকায় ডাকঘর ভবনটির বাইরে দেয়াল ঘেঁষে আবর্জনার স্তূপ। ভেতরে রংচটা ভবনের গায়ে লেখা ‘চিলমারী উপজেলা ডাকঘরটি’। ডাকঘরটিতে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা দিচ্ছেন। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে। ভেতরে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া।
পোস্টম্যান মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমি রমনা মডেল ইউনিয়নের জোরগাছ পোস্ট অফিস ও চিলমারী উপজেলা পোস্ট অফিসের জায়গায় দায়িত্ব পালন করছি। এই অফিসে ঢুকতে গেলেই ভয় লাগে। আমি কখনো ছাদের দিকে তাকাই না।’
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকা থেকে স্ট্যাম্প কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরির আবেদনের খামে স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হয়। এ জন্য প্রায় সময় এই ডাকঘরে যাওয়া-আসা করতে হয়। কিন্তু এই জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের দিকে তাকালে ভয় লাগে, কখন জানি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ভেতরের রড বের হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন রং না করায় ভবনটি দেখতে ভূতের বাড়ির মতো মনে হয়।
ডাকঘর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালে ২১ শতক জায়গার ওপর নির্মিত এই উপডাকঘর কার্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। তারপর থেকে এ ভবনের কোনো সংস্কারকাজ হয়নি।
উপজেলা পোস্টমাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সরকারি চিঠিপত্র, বিভিন্ন চাকরির প্রবেশপত্র ও পার্সেল ডাকঘরে মাঝেমধ্যে আসে। বেসরকারি ও ব্যক্তিগত চিঠিও কখনো কখনো আসে। তবে সংখ্যায় খুবই কম। এ ছাড়া কিছু গ্রাহক মাসে মাসে ‘ডাক জীবনবিমার’র টাকা জমা রাখেন। পুরো ভবনটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন জায়গার পলেস্তারা খসে পড়েছে। ডাক বিভাগের লোকজন এসে ভবনটি পরিদর্শন করে গেলেও সংস্কার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রদীপ কুমার বলেন, ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে ডাক অধিদপ্তর করে। ইতিমধ্যে ডাকঘরের বিষয়টি ডাক বিভাগকে জানানো হয়েছে।
সংস্কার না করায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ডাকঘরটি স্যাঁতসেঁতে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ অবস্থায় ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।
পোস্টাল অপারেটর মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ডাকঘর ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থার কথা সবাই জানেন। কয়েকবার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত দল এসে পরিদর্শন করে গেছেন। তবে কবে কাজ হবে, সেটি কেউ জানে না। আমরা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছি। মাঝেমধ্যে ছাদের পলেস্তারা খসে গায়ে পড়ে। ভয় লাগে কিন্তু করার কিছুই নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকায় ডাকঘর ভবনটির বাইরে দেয়াল ঘেঁষে আবর্জনার স্তূপ। ভেতরে রংচটা ভবনের গায়ে লেখা ‘চিলমারী উপজেলা ডাকঘরটি’। ডাকঘরটিতে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা দিচ্ছেন। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে। ভেতরে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া।
পোস্টম্যান মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমি রমনা মডেল ইউনিয়নের জোরগাছ পোস্ট অফিস ও চিলমারী উপজেলা পোস্ট অফিসের জায়গায় দায়িত্ব পালন করছি। এই অফিসে ঢুকতে গেলেই ভয় লাগে। আমি কখনো ছাদের দিকে তাকাই না।’
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকা থেকে স্ট্যাম্প কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরির আবেদনের খামে স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হয়। এ জন্য প্রায় সময় এই ডাকঘরে যাওয়া-আসা করতে হয়। কিন্তু এই জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের দিকে তাকালে ভয় লাগে, কখন জানি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ভেতরের রড বের হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন রং না করায় ভবনটি দেখতে ভূতের বাড়ির মতো মনে হয়।
ডাকঘর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালে ২১ শতক জায়গার ওপর নির্মিত এই উপডাকঘর কার্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। তারপর থেকে এ ভবনের কোনো সংস্কারকাজ হয়নি।
উপজেলা পোস্টমাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সরকারি চিঠিপত্র, বিভিন্ন চাকরির প্রবেশপত্র ও পার্সেল ডাকঘরে মাঝেমধ্যে আসে। বেসরকারি ও ব্যক্তিগত চিঠিও কখনো কখনো আসে। তবে সংখ্যায় খুবই কম। এ ছাড়া কিছু গ্রাহক মাসে মাসে ‘ডাক জীবনবিমার’র টাকা জমা রাখেন। পুরো ভবনটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন জায়গার পলেস্তারা খসে পড়েছে। ডাক বিভাগের লোকজন এসে ভবনটি পরিদর্শন করে গেলেও সংস্কার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রদীপ কুমার বলেন, ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে ডাক অধিদপ্তর করে। ইতিমধ্যে ডাকঘরের বিষয়টি ডাক বিভাগকে জানানো হয়েছে।
এবার আরও বড় পরিসরে শুরু হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা। বিভাগীয় প্রশাসন ও জাতীয় গণগ্রন্থাগারের যৌথ আয়োজনে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে শুরু হবে ৯ দিনব্যাপী এ বইমেলা। চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে...
৪৩ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৬ জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক নারী সদস্য জাহানারা বেগমের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
২ ঘণ্টা আগে১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া অধ্যাপক শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ
২ ঘণ্টা আগে