চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথ
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জনবলসংকটকে দায়ী করে নিজেদের ‘নিরুপায়’ বলছে নৌ পুলিশ। তাদের দাবি, তুলনামূলক কম গুরুত্ব পাওয়া দেশের এই নৌপথের নিরাপত্তায় জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নৌকার যাত্রীরা জানান, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জন ডাকাত যাত্রীবাহী নৌকা থামিয়ে সবকিছু লুটে নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই চলে যায়।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রৌমারী-চিলমারী নৌপথে মুসল্লিদের একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই নৌপথের অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ২০০ বিঘার চরের কাছে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে চলে যায় ১৬-১৭ জন সশস্ত্র ডাকাত।
কোনো ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। পুলিশও নিজ উদ্যোগে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
নৌপথটি চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এ পথ ব্যবহারকারীদের। এমনকি ডাকাতির ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেনি নৌ পুলিশ। যদিও মামলা না হওয়ার জন্য ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনাগ্রহকে দায়ী করেছে তারা।
শঙ্কা বেড়েছে ইজারাদার ও যাত্রীদের
এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডাকাতির ঘটনায় ওই নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। নৌপথের বিকল্প না থাকায় তারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বুধবার ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘১১ জন ডাকাতের বেশির ভাগের হাতে বন্দুক ছিল। সবার মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। ডিঙিতে করে আক্রমণের পর তারা সব লুটে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে নারী-পুরুষ সব যাত্রী ছিল অসহায়।’
চিলমারী নৌঘাটে কথা হয় নৌকার যাত্রী রুমি আক্তার ও রুজি বেগমের সঙ্গে।
ডাকাতির খবরে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান। রুমি আক্তার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নৌকায় যাতায়াত করি। নৌকায় ডাকাতির খবরে আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ডাকাতির কথা শুনলে বুকটা কেঁপে ওঠে। এই যে এখন রৌমারী যাচ্ছি। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব ভয়ে পারাপার হতে হয়। ভয় হয়, যদি আজকেও ডাকাতি হয়!’
রুজি বেগম বলেন, এই নদে ডাকাতির ঘটনা আগে ছিল না। কিন্তু এখন কী শুরু হলো! দিনের বেলাতেই ডাকাতেরা হামলা করছে। আমাদের নৌকাতেও যে ডাকাত পড়বে না, তার কোনো ঠিক নাই। আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?’
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘নদে নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতি হয়।’
শুধু যাত্রীরা নয়, ডাকাতির ঘটনায় ঘাট ইজারাদারও অসহায় হয়ে পড়েছেন। নৌপথের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তাঁরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
রমনা ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর বলেন, ‘রাজিবপুর যেতে যে জায়গাটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটি বরাবরই ফাঁকা থাকে। কড়াইবরিশাল থেকে নালতেখাতা পর্যন্ত জায়গাটা খারাপ। এই পথ ডাকাতের আস্তানা। সম্ভাব্য ওই জায়গাতেই ডাকাতি হয়। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেই
রৌমারী নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার মাঝি সবুর বলেন, ‘এর আগে ২০০০ সালের দিকে নৌ ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশকে অভিযোগ দিলেও কোনো ফল পাই নাই। শুধু শুধু কোর্টে গিয়া উল্টা আমরা হয়রানি হইছি। এ জন্য আর পুলিশে অভিযোগ দেই নাই।’ একই কারণ জানিয়েছেন গত বুধবার রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ও রফিকুল।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতির ঘটনায় কোনো যাত্রী মামলা করেনি। ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কোনো জিডিও নথিভুক্ত করা হয়নি।’
নিরুপায় পুলিশ
ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় নৌ পুলিশও নিরুপায়। এ জন্য জনবলসংকটকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
ফাঁড়ির এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে মাত্র ৬ জন সদস্য। এর মধ্যে ইনচার্জসহ দুই সদস্যকে ইজতেমার ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। এই জনবল নিয়ে নদে টহল দেওয়া এবং ফাঁড়ি পাহারা দিতে হচ্ছে।’
নৌপথটি রাজশাহী নৌ পুলিশের আওতাধীন। ডাকাতি ও নিরাপত্তার শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা মামলা না করায় আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু করতে পারছি না। এই অঞ্চলে নৌ পুলিশের জনবলও কম। এর মধ্যে চিলমারী ফাঁড়িতে আরও কম। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি; কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমরা নিরুপায়।’

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জনবলসংকটকে দায়ী করে নিজেদের ‘নিরুপায়’ বলছে নৌ পুলিশ। তাদের দাবি, তুলনামূলক কম গুরুত্ব পাওয়া দেশের এই নৌপথের নিরাপত্তায় জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নৌকার যাত্রীরা জানান, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জন ডাকাত যাত্রীবাহী নৌকা থামিয়ে সবকিছু লুটে নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই চলে যায়।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রৌমারী-চিলমারী নৌপথে মুসল্লিদের একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই নৌপথের অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ২০০ বিঘার চরের কাছে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে চলে যায় ১৬-১৭ জন সশস্ত্র ডাকাত।
কোনো ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। পুলিশও নিজ উদ্যোগে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
নৌপথটি চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এ পথ ব্যবহারকারীদের। এমনকি ডাকাতির ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেনি নৌ পুলিশ। যদিও মামলা না হওয়ার জন্য ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনাগ্রহকে দায়ী করেছে তারা।
শঙ্কা বেড়েছে ইজারাদার ও যাত্রীদের
এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডাকাতির ঘটনায় ওই নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। নৌপথের বিকল্প না থাকায় তারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বুধবার ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘১১ জন ডাকাতের বেশির ভাগের হাতে বন্দুক ছিল। সবার মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। ডিঙিতে করে আক্রমণের পর তারা সব লুটে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে নারী-পুরুষ সব যাত্রী ছিল অসহায়।’
চিলমারী নৌঘাটে কথা হয় নৌকার যাত্রী রুমি আক্তার ও রুজি বেগমের সঙ্গে।
ডাকাতির খবরে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান। রুমি আক্তার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নৌকায় যাতায়াত করি। নৌকায় ডাকাতির খবরে আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ডাকাতির কথা শুনলে বুকটা কেঁপে ওঠে। এই যে এখন রৌমারী যাচ্ছি। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব ভয়ে পারাপার হতে হয়। ভয় হয়, যদি আজকেও ডাকাতি হয়!’
রুজি বেগম বলেন, এই নদে ডাকাতির ঘটনা আগে ছিল না। কিন্তু এখন কী শুরু হলো! দিনের বেলাতেই ডাকাতেরা হামলা করছে। আমাদের নৌকাতেও যে ডাকাত পড়বে না, তার কোনো ঠিক নাই। আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?’
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘নদে নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতি হয়।’
শুধু যাত্রীরা নয়, ডাকাতির ঘটনায় ঘাট ইজারাদারও অসহায় হয়ে পড়েছেন। নৌপথের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তাঁরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
রমনা ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর বলেন, ‘রাজিবপুর যেতে যে জায়গাটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটি বরাবরই ফাঁকা থাকে। কড়াইবরিশাল থেকে নালতেখাতা পর্যন্ত জায়গাটা খারাপ। এই পথ ডাকাতের আস্তানা। সম্ভাব্য ওই জায়গাতেই ডাকাতি হয়। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেই
রৌমারী নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার মাঝি সবুর বলেন, ‘এর আগে ২০০০ সালের দিকে নৌ ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশকে অভিযোগ দিলেও কোনো ফল পাই নাই। শুধু শুধু কোর্টে গিয়া উল্টা আমরা হয়রানি হইছি। এ জন্য আর পুলিশে অভিযোগ দেই নাই।’ একই কারণ জানিয়েছেন গত বুধবার রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ও রফিকুল।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতির ঘটনায় কোনো যাত্রী মামলা করেনি। ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কোনো জিডিও নথিভুক্ত করা হয়নি।’
নিরুপায় পুলিশ
ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় নৌ পুলিশও নিরুপায়। এ জন্য জনবলসংকটকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
ফাঁড়ির এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে মাত্র ৬ জন সদস্য। এর মধ্যে ইনচার্জসহ দুই সদস্যকে ইজতেমার ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। এই জনবল নিয়ে নদে টহল দেওয়া এবং ফাঁড়ি পাহারা দিতে হচ্ছে।’
নৌপথটি রাজশাহী নৌ পুলিশের আওতাধীন। ডাকাতি ও নিরাপত্তার শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা মামলা না করায় আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু করতে পারছি না। এই অঞ্চলে নৌ পুলিশের জনবলও কম। এর মধ্যে চিলমারী ফাঁড়িতে আরও কম। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি; কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমরা নিরুপায়।’

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২৫ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
২৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
২৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
১ ঘণ্টা আগেমাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।
অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।
অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২৫ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
২৮ মিনিট আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা
মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৩টার দিকে মো. শফিউল বাসার হাসিব নিজ বসতঘরে কোরআন শরিফে আগুন দেন। ঘটনাটি তাঁর ফুফু হোসনেয়ারা হাসনাত (৫৬) প্রত্যক্ষ করেন। পরে সকালে হাসিবের বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম কোরআন শরিফের পোড়া পৃষ্ঠা ও ছাই পাশের ডোবায় ফেলে দেন।
ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। রাতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘেরাও করলে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে হেফাজতে নেন।
সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, হোসনেয়ারা হাসনাতের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আটক দুই আসামিকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাইফুল আলম জানান, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা
মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৩টার দিকে মো. শফিউল বাসার হাসিব নিজ বসতঘরে কোরআন শরিফে আগুন দেন। ঘটনাটি তাঁর ফুফু হোসনেয়ারা হাসনাত (৫৬) প্রত্যক্ষ করেন। পরে সকালে হাসিবের বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম কোরআন শরিফের পোড়া পৃষ্ঠা ও ছাই পাশের ডোবায় ফেলে দেন।
ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। রাতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘেরাও করলে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে হেফাজতে নেন।
সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, হোসনেয়ারা হাসনাতের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আটক দুই আসামিকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাইফুল আলম জানান, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২৫ মিনিট আগে
মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
২৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার...
১ ঘণ্টা আগে