কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে গতকাল রোববার মামলাটি করেন হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত এক নারী কর্মচারী।
আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জনের অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। পরে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী ও বিবাদী দুজনই বিবাহিত। বাদীর স্বামী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। চাকরির পাশাপাশি তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বাদীকে বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। তিনি বিবাহিত, পিতার বয়সী ও অন্য ধর্মের বলেও রেহাই পাননি। অনেক অর্থবিত্তের মালিক ও প্রয়োজনে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে হলেও তাঁকে বিয়ে করতে চান বলে বাদীকে আশ্বস্ত করেন। কারণে-অকারণে বিভিন্ন সময় তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে শরীরে হাত ও কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হলে চাকরিচ্যুতি এমনকি গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দিতেন। মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ মেসেজও পাঠাতেন তিনি। বিষয়টি হেলিশ রঞ্জনের স্ত্রী জানার পর তিনিও তাঁকে শাসিয়েছেন।
গত ২১ আগস্ট স্ত্রীর সামনে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে বাদীকে হাসপাতালের কোয়ার্টারে ডেকে নেন হেলিশ রঞ্জন। কিন্তু কোয়ার্টারে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পাননি। এই অবস্থায় কোয়ার্টারে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বাদীকে। চাকরিচ্যুতির ভয় ও স্বামীর লিভার সিরোসিসের কথা চিন্তা করে মুখ খোলেননি তিনি। পরে ২৬ আগস্ট বিকেলে বাদীকে অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ডাকচিৎকার শুরু করলে হাসপাতালের স্টাফ ও দর্শনার্থীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এ সময় হেলিশ রঞ্জন তাঁকে বিবাহিত স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। বিষয়টি তিন দিনের মধ্যে সমাধান করার কথা বলে বাদীকে বিদায় করেন। কিন্তু পরে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদী। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি উল্লেখ করে তিনি জানান, বাধ্য হয়ে আদালতে মামলাটি করেছেন।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। গরিব ওই নারীকে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। ইদানীং হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বেশ কয়েকটা টেন্ডার হয়েছে। অনেকে টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন। যাঁরা টেন্ডার পাননি, আমার ধারণা তাঁরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) একরাম হোসেনের দুর্নীতির বিষয়ে ডিজি বরাবর আমি একটা অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি হাসপাতালে আসেন না। দিনের পর দিন বায়োমেট্রিক হাজিরাও দেন না। হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে কোটি কোটি টাকা তিনি লুটপাট করেছেন। হাসপাতালের প্রশাসনের কাউকে মানেন না তিনি। তাঁর ৩৫ বছরের চাকরিজীবনে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। আমি ধারণা করছি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনিও যুক্ত থাকতে পারেন। চোখের চিকিৎসার জন্য আমি এখন ঢাকায় আছি। আমি আইনগত ও নৈতিকভাবে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি।’ বাদী থানায় মামলা করতে গেলে আপনি মামলা নেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এটা মিথ্যা কথা। তিনি থানায় আসেননি।
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে গতকাল রোববার মামলাটি করেন হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত এক নারী কর্মচারী।
আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জনের অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। পরে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী ও বিবাদী দুজনই বিবাহিত। বাদীর স্বামী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। চাকরির পাশাপাশি তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বাদীকে বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। তিনি বিবাহিত, পিতার বয়সী ও অন্য ধর্মের বলেও রেহাই পাননি। অনেক অর্থবিত্তের মালিক ও প্রয়োজনে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে হলেও তাঁকে বিয়ে করতে চান বলে বাদীকে আশ্বস্ত করেন। কারণে-অকারণে বিভিন্ন সময় তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে শরীরে হাত ও কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হলে চাকরিচ্যুতি এমনকি গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দিতেন। মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ মেসেজও পাঠাতেন তিনি। বিষয়টি হেলিশ রঞ্জনের স্ত্রী জানার পর তিনিও তাঁকে শাসিয়েছেন।
গত ২১ আগস্ট স্ত্রীর সামনে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে বাদীকে হাসপাতালের কোয়ার্টারে ডেকে নেন হেলিশ রঞ্জন। কিন্তু কোয়ার্টারে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পাননি। এই অবস্থায় কোয়ার্টারে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বাদীকে। চাকরিচ্যুতির ভয় ও স্বামীর লিভার সিরোসিসের কথা চিন্তা করে মুখ খোলেননি তিনি। পরে ২৬ আগস্ট বিকেলে বাদীকে অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ডাকচিৎকার শুরু করলে হাসপাতালের স্টাফ ও দর্শনার্থীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এ সময় হেলিশ রঞ্জন তাঁকে বিবাহিত স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। বিষয়টি তিন দিনের মধ্যে সমাধান করার কথা বলে বাদীকে বিদায় করেন। কিন্তু পরে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদী। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি উল্লেখ করে তিনি জানান, বাধ্য হয়ে আদালতে মামলাটি করেছেন।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। গরিব ওই নারীকে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। ইদানীং হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বেশ কয়েকটা টেন্ডার হয়েছে। অনেকে টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন। যাঁরা টেন্ডার পাননি, আমার ধারণা তাঁরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) একরাম হোসেনের দুর্নীতির বিষয়ে ডিজি বরাবর আমি একটা অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি হাসপাতালে আসেন না। দিনের পর দিন বায়োমেট্রিক হাজিরাও দেন না। হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে কোটি কোটি টাকা তিনি লুটপাট করেছেন। হাসপাতালের প্রশাসনের কাউকে মানেন না তিনি। তাঁর ৩৫ বছরের চাকরিজীবনে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। আমি ধারণা করছি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনিও যুক্ত থাকতে পারেন। চোখের চিকিৎসার জন্য আমি এখন ঢাকায় আছি। আমি আইনগত ও নৈতিকভাবে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি।’ বাদী থানায় মামলা করতে গেলে আপনি মামলা নেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এটা মিথ্যা কথা। তিনি থানায় আসেননি।
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
১৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
২০ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
৩০ মিনিট আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
১ ঘণ্টা আগে