কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে চালক হিসেবে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম। আদালতে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় কমপক্ষে দেড় ডজন লোককে করতে হয়েছে হাজতবাস। মামলাগুলোর বেশির ভাগের বাদী হয়েছেন সাইফুলের স্ত্রী, বোন ও শ্যালিকা। তাঁর এমন অত্যাচার থেকে বাদ পড়েননি পরিবারের সদস্যরাও। সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা সাক্ষ্য দেওয়া লোকজনকেও করা হয়েছে বিভিন্ন মামলার আসামি।
১৯৯৬ সালে চালক পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সাইফুল। ২০০০ সালে তাঁর পারিবারিক একটি বিরোধ মেটাতে যান তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েক ব্যক্তি। সালিসের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে না যাওয়ায় ওই সময়ে সালিসদের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এনে ঠুকে দেন মামলা। এখান থেকে মামলাবাজি শুরু হয় সাইফুলের। এরপর সহোদর সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯টি এবং সৎ-ভাগনে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন ১০টি মামলা। এর মধ্যে বেশির ভাগ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসও পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে মামলার হুমকি দিয়ে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি সাইফুল ইসলামের সৎ-বোনের ছেলে। খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর জায়গাজমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে সেটি সাইফুল ইসলাম দখল করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে করা হয়েছে মানববন্ধনও। তার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি অসহায় পরিবারটি।
সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
শুধু তাঁরা নন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, সৎ ভাতিজা, তিন ভাগনে, সৎ-বোনের স্বামী, বিয়াই ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে করেছেন বেশ কিছু মামলা। সাইফুলের অন্যায়-অত্যাচার আর হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সালিস ও তদন্তে সাক্ষ্য দিয়ে আকলিমা আক্তার নামের এক নারী মামলার শিকার হন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর আকলিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী শহীদুল ইসলামকে আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের ছোট বোন রেহেনা খাতুন।
খাইরুলের মা ছাড়া এই এলাকায় তাঁদের আর কেউ নেই। এ পর্যন্ত যাঁরা তাঁর পক্ষে প্রতিবাদ করেছে, তাঁদের করা হয়েছে মামলার আসামি। এই ভয়ে কেউই কথা বলতে চান না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আউয়াল।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে ফেরার পর সাইফুলের কাছে সম্পদের ভাগ দাবি করেন সহোদর সিরাজুল ইসলাম। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মিথ্যা মামলা। বিগত পাঁচ বছরে তিনি ৯টি মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের। তিনি বলেন, এসব মামলায় বছরে তিন থেকে চার মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে তাঁকে। মাসে কমপক্ষে পাঁচবার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। ৯টি মামলার মধ্যে ৮টিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকেও মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের।
মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ (৭০) বলেন, বিগত ২৫ বছর সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন লোককে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে হতে হয় মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, শুধু জজকোর্টের চাকরির প্রভাবে স্থানীয় ব্যক্তিদের হয়রানি করে যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। এই গ্রামের সবাই তাঁর বিষয়ে অবগত বলেও জানান আব্দুল লতিফ।
তবে জেলা জজকোর্টের চালক সাইফুল ইসলামের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে তাঁর স্ত্রী বা বোন কখন কার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা করেছেন—এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি কাজের চাপে খুব একটা বাড়িতে যেতে পারি না। মাঝেমধ্যে গেলেও কিছুক্ষণ থেকে শহরে চলে আসি। এই সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে; তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে চালক হিসেবে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম। আদালতে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় কমপক্ষে দেড় ডজন লোককে করতে হয়েছে হাজতবাস। মামলাগুলোর বেশির ভাগের বাদী হয়েছেন সাইফুলের স্ত্রী, বোন ও শ্যালিকা। তাঁর এমন অত্যাচার থেকে বাদ পড়েননি পরিবারের সদস্যরাও। সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা সাক্ষ্য দেওয়া লোকজনকেও করা হয়েছে বিভিন্ন মামলার আসামি।
১৯৯৬ সালে চালক পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সাইফুল। ২০০০ সালে তাঁর পারিবারিক একটি বিরোধ মেটাতে যান তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েক ব্যক্তি। সালিসের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে না যাওয়ায় ওই সময়ে সালিসদের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এনে ঠুকে দেন মামলা। এখান থেকে মামলাবাজি শুরু হয় সাইফুলের। এরপর সহোদর সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯টি এবং সৎ-ভাগনে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন ১০টি মামলা। এর মধ্যে বেশির ভাগ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসও পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে মামলার হুমকি দিয়ে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি সাইফুল ইসলামের সৎ-বোনের ছেলে। খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর জায়গাজমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে সেটি সাইফুল ইসলাম দখল করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে করা হয়েছে মানববন্ধনও। তার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি অসহায় পরিবারটি।
সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
শুধু তাঁরা নন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, সৎ ভাতিজা, তিন ভাগনে, সৎ-বোনের স্বামী, বিয়াই ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে করেছেন বেশ কিছু মামলা। সাইফুলের অন্যায়-অত্যাচার আর হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সালিস ও তদন্তে সাক্ষ্য দিয়ে আকলিমা আক্তার নামের এক নারী মামলার শিকার হন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর আকলিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী শহীদুল ইসলামকে আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের ছোট বোন রেহেনা খাতুন।
খাইরুলের মা ছাড়া এই এলাকায় তাঁদের আর কেউ নেই। এ পর্যন্ত যাঁরা তাঁর পক্ষে প্রতিবাদ করেছে, তাঁদের করা হয়েছে মামলার আসামি। এই ভয়ে কেউই কথা বলতে চান না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আউয়াল।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে ফেরার পর সাইফুলের কাছে সম্পদের ভাগ দাবি করেন সহোদর সিরাজুল ইসলাম। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মিথ্যা মামলা। বিগত পাঁচ বছরে তিনি ৯টি মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের। তিনি বলেন, এসব মামলায় বছরে তিন থেকে চার মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে তাঁকে। মাসে কমপক্ষে পাঁচবার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। ৯টি মামলার মধ্যে ৮টিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকেও মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের।
মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ (৭০) বলেন, বিগত ২৫ বছর সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন লোককে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে হতে হয় মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, শুধু জজকোর্টের চাকরির প্রভাবে স্থানীয় ব্যক্তিদের হয়রানি করে যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। এই গ্রামের সবাই তাঁর বিষয়ে অবগত বলেও জানান আব্দুল লতিফ।
তবে জেলা জজকোর্টের চালক সাইফুল ইসলামের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে তাঁর স্ত্রী বা বোন কখন কার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা করেছেন—এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি কাজের চাপে খুব একটা বাড়িতে যেতে পারি না। মাঝেমধ্যে গেলেও কিছুক্ষণ থেকে শহরে চলে আসি। এই সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে; তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে চালক হিসেবে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম। আদালতে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় কমপক্ষে দেড় ডজন লোককে করতে হয়েছে হাজতবাস। মামলাগুলোর বেশির ভাগের বাদী হয়েছেন সাইফুলের স্ত্রী, বোন ও শ্যালিকা। তাঁর এমন অত্যাচার থেকে বাদ পড়েননি পরিবারের সদস্যরাও। সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা সাক্ষ্য দেওয়া লোকজনকেও করা হয়েছে বিভিন্ন মামলার আসামি।
১৯৯৬ সালে চালক পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সাইফুল। ২০০০ সালে তাঁর পারিবারিক একটি বিরোধ মেটাতে যান তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েক ব্যক্তি। সালিসের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে না যাওয়ায় ওই সময়ে সালিসদের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এনে ঠুকে দেন মামলা। এখান থেকে মামলাবাজি শুরু হয় সাইফুলের। এরপর সহোদর সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯টি এবং সৎ-ভাগনে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন ১০টি মামলা। এর মধ্যে বেশির ভাগ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসও পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে মামলার হুমকি দিয়ে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি সাইফুল ইসলামের সৎ-বোনের ছেলে। খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর জায়গাজমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে সেটি সাইফুল ইসলাম দখল করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে করা হয়েছে মানববন্ধনও। তার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি অসহায় পরিবারটি।
সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
শুধু তাঁরা নন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, সৎ ভাতিজা, তিন ভাগনে, সৎ-বোনের স্বামী, বিয়াই ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে করেছেন বেশ কিছু মামলা। সাইফুলের অন্যায়-অত্যাচার আর হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সালিস ও তদন্তে সাক্ষ্য দিয়ে আকলিমা আক্তার নামের এক নারী মামলার শিকার হন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর আকলিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী শহীদুল ইসলামকে আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের ছোট বোন রেহেনা খাতুন।
খাইরুলের মা ছাড়া এই এলাকায় তাঁদের আর কেউ নেই। এ পর্যন্ত যাঁরা তাঁর পক্ষে প্রতিবাদ করেছে, তাঁদের করা হয়েছে মামলার আসামি। এই ভয়ে কেউই কথা বলতে চান না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আউয়াল।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে ফেরার পর সাইফুলের কাছে সম্পদের ভাগ দাবি করেন সহোদর সিরাজুল ইসলাম। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মিথ্যা মামলা। বিগত পাঁচ বছরে তিনি ৯টি মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের। তিনি বলেন, এসব মামলায় বছরে তিন থেকে চার মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে তাঁকে। মাসে কমপক্ষে পাঁচবার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। ৯টি মামলার মধ্যে ৮টিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকেও মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের।
মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ (৭০) বলেন, বিগত ২৫ বছর সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন লোককে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে হতে হয় মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, শুধু জজকোর্টের চাকরির প্রভাবে স্থানীয় ব্যক্তিদের হয়রানি করে যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। এই গ্রামের সবাই তাঁর বিষয়ে অবগত বলেও জানান আব্দুল লতিফ।
তবে জেলা জজকোর্টের চালক সাইফুল ইসলামের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে তাঁর স্ত্রী বা বোন কখন কার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা করেছেন—এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি কাজের চাপে খুব একটা বাড়িতে যেতে পারি না। মাঝেমধ্যে গেলেও কিছুক্ষণ থেকে শহরে চলে আসি। এই সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে; তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে চালক হিসেবে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম। আদালতে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় কমপক্ষে দেড় ডজন লোককে করতে হয়েছে হাজতবাস। মামলাগুলোর বেশির ভাগের বাদী হয়েছেন সাইফুলের স্ত্রী, বোন ও শ্যালিকা। তাঁর এমন অত্যাচার থেকে বাদ পড়েননি পরিবারের সদস্যরাও। সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা সাক্ষ্য দেওয়া লোকজনকেও করা হয়েছে বিভিন্ন মামলার আসামি।
১৯৯৬ সালে চালক পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সাইফুল। ২০০০ সালে তাঁর পারিবারিক একটি বিরোধ মেটাতে যান তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েক ব্যক্তি। সালিসের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে না যাওয়ায় ওই সময়ে সালিসদের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এনে ঠুকে দেন মামলা। এখান থেকে মামলাবাজি শুরু হয় সাইফুলের। এরপর সহোদর সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯টি এবং সৎ-ভাগনে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন ১০টি মামলা। এর মধ্যে বেশির ভাগ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসও পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে মামলার হুমকি দিয়ে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি সাইফুল ইসলামের সৎ-বোনের ছেলে। খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর জায়গাজমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে সেটি সাইফুল ইসলাম দখল করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে করা হয়েছে মানববন্ধনও। তার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি অসহায় পরিবারটি।
সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
শুধু তাঁরা নন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, সৎ ভাতিজা, তিন ভাগনে, সৎ-বোনের স্বামী, বিয়াই ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে করেছেন বেশ কিছু মামলা। সাইফুলের অন্যায়-অত্যাচার আর হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সালিস ও তদন্তে সাক্ষ্য দিয়ে আকলিমা আক্তার নামের এক নারী মামলার শিকার হন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর আকলিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী শহীদুল ইসলামকে আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের ছোট বোন রেহেনা খাতুন।
খাইরুলের মা ছাড়া এই এলাকায় তাঁদের আর কেউ নেই। এ পর্যন্ত যাঁরা তাঁর পক্ষে প্রতিবাদ করেছে, তাঁদের করা হয়েছে মামলার আসামি। এই ভয়ে কেউই কথা বলতে চান না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আউয়াল।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে ফেরার পর সাইফুলের কাছে সম্পদের ভাগ দাবি করেন সহোদর সিরাজুল ইসলাম। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মিথ্যা মামলা। বিগত পাঁচ বছরে তিনি ৯টি মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের। তিনি বলেন, এসব মামলায় বছরে তিন থেকে চার মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে তাঁকে। মাসে কমপক্ষে পাঁচবার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। ৯টি মামলার মধ্যে ৮টিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকেও মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের।
মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ (৭০) বলেন, বিগত ২৫ বছর সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন লোককে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে হতে হয় মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, শুধু জজকোর্টের চাকরির প্রভাবে স্থানীয় ব্যক্তিদের হয়রানি করে যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। এই গ্রামের সবাই তাঁর বিষয়ে অবগত বলেও জানান আব্দুল লতিফ।
তবে জেলা জজকোর্টের চালক সাইফুল ইসলামের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে তাঁর স্ত্রী বা বোন কখন কার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা করেছেন—এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি কাজের চাপে খুব একটা বাড়িতে যেতে পারি না। মাঝেমধ্যে গেলেও কিছুক্ষণ থেকে শহরে চলে আসি। এই সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে; তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক আলামিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুল জলিলের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে একই এলাকার আবু খতিবের ছেলে আলামিন নিহতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নাজমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ১৫ দিন আগে প্রবাস থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন আব্দুল জলিল।
অভিযোগ রয়েছে, রোববার বিকেলে স্ত্রী ও ওই গৃহকর্মী মিলে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জলিলকে গলা টিপে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে যায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক আলামিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুল জলিলের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে একই এলাকার আবু খতিবের ছেলে আলামিন নিহতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নাজমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ১৫ দিন আগে প্রবাস থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন আব্দুল জলিল।
অভিযোগ রয়েছে, রোববার বিকেলে স্ত্রী ও ওই গৃহকর্মী মিলে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জলিলকে গলা টিপে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে যায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১২ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট হতে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৪০ মিনিটের জন্য মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ডিএমটিসিএল সাময়িক অসুবিধার জন্য যাত্রীসাধারণের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। যাত্রীদের এই সময়সূচি মেনে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট হতে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৪০ মিনিটের জন্য মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ডিএমটিসিএল সাময়িক অসুবিধার জন্য যাত্রীসাধারণের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। যাত্রীদের এই সময়সূচি মেনে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলামনি আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হবে। পরে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ জানান, এই ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করেছেন নোবেল। তাঁরা সংসার করছেন।
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন কলেজের ওই ছাত্রী। নোবেলকে গ্রেপ্তার করার পর কারাগারে পাঠানো হলে বিয়ের শর্তে তিনি জামিন পান। ১৯ জুন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নোবেল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় নোবেলের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তাঁর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রাখেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন। এরপর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে ছয় মাস ধরে ডেমরার ওই বাসায় আটকে রাখা হয়, মারধর করা হতো প্রায়ই। দু-তিন জনের সহায়তায় বাদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন নোবেল। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়ালে বাদীর বাবা-মা তাঁকে চিনতে পারেন। এরপর পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাঁকে ১৯ মে উদ্ধার করে এবং পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নোবেল বাদীকে আটক রেখে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। বাসায় না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাঁকে মারপিট করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি নোবেল জামিনে আছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে আরও বলেছেন, বাদীকে মারধর ও ধর্ষণে আসামিকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এখন কী হবে:
নোবেলের আইনজীবী বলেছেন, নোবেল মামলার বাদীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। তাই এই অভিযোগপত্রে নোবেলের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারিক ট্রাইব্যুনালে বাদী আপসনামা দেওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তি হবে। খালাস পাবেন নোবেল।
উল্লেখ্য, ভারতের সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা’ দিয়ে পরিচিতি পান এই গায়ক। এর আগে মাদকে আসক্ত হয়ে সংগীত ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শ্রোতাদের সামনে হাজির হন। সেবার নোবেল জানিয়েছিলেন, তিনি আর কখনো দর্শকদের হতাশ করবেন না। সব অতীত পেছনে ফেলে নিয়মিত গান উপহার দেবেন।
কিন্তু ২০২৩ সালে অগ্রিম টাকা নিয়ে গান গাইতে না যাওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জানা যায়, ওই বছর ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়ার প্রতারণায় অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। সে সময় একদিন রিমান্ডেও ছিলেন এই গায়ক। পরে আপসের মাধ্যমে ওই মামলা থেকে অব্যাহতিও পান নোবেল।

বাসায় আটকে রেখে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ডেমরা থানার উপপরিদর্শক এসআই মুরাদ হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলামনি আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হবে। পরে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ জানান, এই ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করেছেন নোবেল। তাঁরা সংসার করছেন।
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন কলেজের ওই ছাত্রী। নোবেলকে গ্রেপ্তার করার পর কারাগারে পাঠানো হলে বিয়ের শর্তে তিনি জামিন পান। ১৯ জুন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নোবেল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় নোবেলের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তাঁর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ছাত্রীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আটকে রাখেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন। এরপর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে ছয় মাস ধরে ডেমরার ওই বাসায় আটকে রাখা হয়, মারধর করা হতো প্রায়ই। দু-তিন জনের সহায়তায় বাদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন নোবেল। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়ালে বাদীর বাবা-মা তাঁকে চিনতে পারেন। এরপর পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাঁকে ১৯ মে উদ্ধার করে এবং পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নোবেল বাদীকে আটক রেখে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। বাসায় না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাঁকে মারপিট করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি নোবেল জামিনে আছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে আরও বলেছেন, বাদীকে মারধর ও ধর্ষণে আসামিকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এখন কী হবে:
নোবেলের আইনজীবী বলেছেন, নোবেল মামলার বাদীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। তাই এই অভিযোগপত্রে নোবেলের কোনো সমস্যা হবে না। বিচারিক ট্রাইব্যুনালে বাদী আপসনামা দেওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তি হবে। খালাস পাবেন নোবেল।
উল্লেখ্য, ভারতের সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা’ দিয়ে পরিচিতি পান এই গায়ক। এর আগে মাদকে আসক্ত হয়ে সংগীত ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শ্রোতাদের সামনে হাজির হন। সেবার নোবেল জানিয়েছিলেন, তিনি আর কখনো দর্শকদের হতাশ করবেন না। সব অতীত পেছনে ফেলে নিয়মিত গান উপহার দেবেন।
কিন্তু ২০২৩ সালে অগ্রিম টাকা নিয়ে গান গাইতে না যাওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জানা যায়, ওই বছর ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়ার প্রতারণায় অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। সে সময় একদিন রিমান্ডেও ছিলেন এই গায়ক। পরে আপসের মাধ্যমে ওই মামলা থেকে অব্যাহতিও পান নোবেল।

সাইফুল ইসলামের সৎ-বোন সালেহা বেগম। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন আয়া পদে। এই নারীর অভিযোগ, কোনো রকমে একটি মামলা শেষ হতে না হতেই হয়ে যায় আরেকটি মামলা। প্রতিনিয়ত ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়, আইনজীবীর চেম্বারে। বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীহারা সালেহা।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার বামনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে এক প্রবাসফেরত স্বামীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (৪৫)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের বাসিন্দা।
১৯ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে