কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
স্থায়ী ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসের অচলাবস্থা নিরসন, শক্তিশালী ও কার্যকরী প্রশাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাস সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে উপাচার্যের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় অফিসসহ বেশ কয়েকটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলে আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০২৩ সালের ৩ মার্চ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের একটি বহুতল ভবনে অস্থায়ীভাবে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। নানা জটিলতায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ আটকে থাকায় এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও সে রকম কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বলেন, ‘আমরা একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হয়ে যা সুবিধা পাওয়া দরকার, তা পাচ্ছি না। আমরা অন্য একজনের হাতে বন্দী অবস্থায় থাকার মতো এখানে আছি। আমাদের প্রয়োজন মতো ল্যাব নেই। শ্রেণিকক্ষ সীমিত। এ ছাড়া একই ভবনে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কার্যক্রম চলায় তাদের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। ফলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। এসব কারণে আমাদের সেমিস্টার শেষ হতে সময় বেশি যাচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থা খুব নাজুক। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ কিংবা ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রমজান বলেন, ‘শিগগির আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই, শক্তিশালী প্রশাসন চাই। আমরা অভ্যন্তরীণ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, এসব পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আজকে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করছি। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। কোনো ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব আমরা করব না।’
কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. মাশরাফী মর্তুজা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের আবদুল হামিদ ভবনে গুটিকয়েক তলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলতেছে। স্টুডেন্ট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্লাস-সংকট বাড়ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের অনিশ্চয়তায় ভুগছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রশাসন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। গত দুই মাস এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস বন্ধ রাখে। এখন আবার অনার্সের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় তারা একই ভূমিকা নিচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের স্বাতন্ত্র্য হারাচ্ছে, প্রশাসনের ব্যর্থতা দৃষ্টিকটু লাগছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াছমীন বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ থেমে যায়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নতুন করে আবার প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। এর পর থেকে আমরা সার্ভেসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, যেন দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দ্রুত নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে চায়। শিক্ষার্থীদের আমরা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।’ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
স্থায়ী ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসের অচলাবস্থা নিরসন, শক্তিশালী ও কার্যকরী প্রশাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাস সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে উপাচার্যের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় অফিসসহ বেশ কয়েকটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলে আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০২৩ সালের ৩ মার্চ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের একটি বহুতল ভবনে অস্থায়ীভাবে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। নানা জটিলতায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ আটকে থাকায় এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও সে রকম কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বলেন, ‘আমরা একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হয়ে যা সুবিধা পাওয়া দরকার, তা পাচ্ছি না। আমরা অন্য একজনের হাতে বন্দী অবস্থায় থাকার মতো এখানে আছি। আমাদের প্রয়োজন মতো ল্যাব নেই। শ্রেণিকক্ষ সীমিত। এ ছাড়া একই ভবনে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কার্যক্রম চলায় তাদের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। ফলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। এসব কারণে আমাদের সেমিস্টার শেষ হতে সময় বেশি যাচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থা খুব নাজুক। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ কিংবা ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রমজান বলেন, ‘শিগগির আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই, শক্তিশালী প্রশাসন চাই। আমরা অভ্যন্তরীণ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, এসব পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আজকে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করছি। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। কোনো ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব আমরা করব না।’
কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. মাশরাফী মর্তুজা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের আবদুল হামিদ ভবনে গুটিকয়েক তলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলতেছে। স্টুডেন্ট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্লাস-সংকট বাড়ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের অনিশ্চয়তায় ভুগছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ প্রশাসন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। গত দুই মাস এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস বন্ধ রাখে। এখন আবার অনার্সের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় তারা একই ভূমিকা নিচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের স্বাতন্ত্র্য হারাচ্ছে, প্রশাসনের ব্যর্থতা দৃষ্টিকটু লাগছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াছমীন বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ থেমে যায়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নতুন করে আবার প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। এর পর থেকে আমরা সার্ভেসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, যেন দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দ্রুত নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে চায়। শিক্ষার্থীদের আমরা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।’ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৭ ঘণ্টা আগে