Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৩: ৫০
কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে দিনের পর দিন রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্রে (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি হাসপাতালের সামনেই চলছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সম্প্রতি সরেজমিনে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের সামনে, পেছনে বা পাশেই গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছেই বিধিবহির্ভূতভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।

জানা গেছে, জেলায় ১৭৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে; যার মধ্যে লাইসেন্স নেই ১০টির। বন্ধ আছে দুটি। জেলায় ৫১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে; যার মধ্যে তিনটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এটি শুধু সেই পরিসংখ্যান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তালিকায় থাকা বেশির ভাগ বৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নেই। নেই প্যাথলজিক্যাল স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়নি। তার পরও এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিভাগের নিবন্ধন পেয়েছে, নবায়নও হচ্ছে।

সম্প্রতি জেলা শহরের স্টেশন রোডে অবস্থিত মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও যমুনা ডায়াগনস্টিক এবং কনসালটেশন সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট দিয়ে রোগ নির্ণয় পরীক্ষার দায়ে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট পাওয়া যায়।

এদিকে গত বছর অস্ত্রোপচারের সময় ভুল চিকিৎসায় রুপালী আক্তার (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া আল-হেরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালটি আবারও চালু হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল মামুন, সজিব হোসাইন, জহিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রোগী জানান, দোকানের মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের আশপাশে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সৈয়দ ইয়াছিন বলেন, সময় এসেছে প্রতি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দৃশ্যমান স্থানে সরকারি নীতিমালা বড় করে টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা।

কিশোরগঞ্জ সোসাইটি অব হেলথ সার্ভিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান খুকু বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের সংগঠনের সভায় প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল এবং ক্লিনিক মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা খাতে সেবাগ্রহীতাদের প্রতিকার দেওয়ার এখতিয়ার খুবই সীমিত।’

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে নিয়েই আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি; যাতে মানুষকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায়। আমাদের সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এর আগেও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেছি। এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি  
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের আশুরা বেগম (৬৫), রবিউল ইসলাম (৫৫), শাহিন মিয়া (২৩), শরীফ মিয়া (২২), খাসা মিয়া (৫২), চেরাগপুরের রওহাবুল মিয়া (৩২), দ্বারিয়াপুরের শিল্পী (২৮), মামুন (১৬) ও খোরশেদ ইসলাম (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী ৪ অক্টোবর অসুস্থ গরু জবাই করে ১৮টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন। পরে ১১ অক্টোবর দ্বারিয়াপুর গ্রামের টুটুল মিয়াও অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গরুর মাংস খেয়ে বা কাটাকাটির সময় সংস্পর্শে এসে তাঁরা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত শিল্পী, মামুন ও খোরশেদ জানান, গরু জবাইয়ের পরপরই কয়েকজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে একজনসহ জেলায় ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য এখনো ওই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১১। তবে সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। তিনি বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স রোগীর শরীরে কাঁচা ঘা না থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা যায় না, তাই অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।’ এদিকে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে গাইবান্ধায়ও একাধিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাড়াশে কীটনাশকের দোকান থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র চুরি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রাতের আঁধারে সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে মালিকের।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাস্তা বাজারে মেসার্স জিসা এন্টারপ্রাইজে এই ঘটনা ঘটে।

দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম দাবি করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে এসে দেখি দোকানের পেছনের টিন কাটা। দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার কীটনাশক ও অন্য মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চুরির বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।

জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আগে থেকেই সমালোচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তাঁর ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তাঁরা এখনো ভুগছেন সেই ঘর পোড়ানোর মামলায়। বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন তিনি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন।

সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমি ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।

জানতে চাইলে বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’

এসব নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না—যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাউয়াছড়া বন থেকে টহল দলের সদস্যের লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাউয়াছড়া বনের জানকিছড়া এলাকায় বন পাহারায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে খবর পাওয়া যায়, লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে সিপিজি ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের সদস্যরা।

জানতে চাইলে লাউয়াছড়া বনের বনবিট কর্মকর্তা মারজুক হোসেন বলেন, ‘নিহত সিরাজ মিয়ার ডিউটি শেষ হয়েছিল ভোর ৫টার দিকে। সকাল ৬টার দিকে খবর পাই, তাঁর মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহের পাশে গ্লাস ভাঙা টুকরো পাওয়া গেছে।’

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত