সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে এবারের নির্বাচন ঘিরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন নির্বাচনী প্রচারসভায়। একই পরিবারের সদস্যরা যেভাবে একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন, তাতে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। এতে উদ্বিগ্ন সাধারণ ভোটাররা। তাঁদের আশঙ্কা, এই বিষোদ্গার গড়াতে পারে সহিংসতায়।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে লড়ছেন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সমর্থন দিয়েছেন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমার ছেলেরা ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগাইছে, সবগুলো পোস্টার ছিঁড়া ফালাইছে। পোস্টারের মধ্যে আগুন লাগাইয়া দিছে।’
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমি এইডা বিশ্বাসই করি না যে, বইন (সৈয়দা লিপি) হইয়া ভাইয়ের (সৈয়দ সাফায়েত) পোস্টারে আগুন লাগাইয়া দিছে। এরা চায় কিশোরগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হউক। এরা চায় কিশোরগঞ্জে মারামারি-খুনোখুনির অবস্থা তৈরি হউক।’
সৈয়দ পরিবারের এই নেতা আরও বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা যে ঘটাইতে চায়, এইটার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে। সেই ষড়যন্ত্রডা হইল, যদি কিশোরগঞ্জে মারামারি হানাহানি হইয়া একটা জীবন ঝইরা যায়, তাহলে মামলা হইব।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই মামলার আসামি কে হবে? তিনি নিজেই জবাব দিয়ে বলেন, ‘সৈয়দ পরিবারের মেজর জেনারেল সাফায়েতুল ইসলাম আর সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বানাইয়া দিলে, লাভডা কার হইব এইডা কন? হাততালি কেডা দিব? মুরুব্বি হাততালিডা দিব।’
এই মুরুব্বি কে—এ বিষয়ে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনারা বুঝে নিন।
উল্লেখ্য, এই আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে তিনি সমর্থন জানান সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে। তুহিন সমর্থন দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্ব। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তখন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন জানান চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তাঁরই চার ভাই-বোন। ওই সভায় সাফায়েতুল ইসলাম অস্ত্র আর টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন—এমন অভিযোগ তোলেন তাঁর ছোট ভাই ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।
সৈয়দ শরীফুল ইসলাম বড় ভাইকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা অস্ত্র আর টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমরা নেমেছি আদর্শ নিয়ে। আমরা সততার সঙ্গে রোজগার করে খাচ্ছি।’ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা পয়সা দেবে, আপনারা নেবেন। আর ভোটটা দেবেন নৌকায়।’ এ সময় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ‘দলছুট’ আখ্যা দিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমরা চার ভাইবোন একসঙ্গে আছি। ছোট বোন লিপির পক্ষে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছয় সন্তান। তাঁর চার ছেলে—সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এবং দুই মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিয়া নূর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা বলেন, ‘দুই ভাই মিলে হুলুস্থুল লাগিয়ে দিয়েছেন। পাগল ঈগল নিয়ে এসেছে। সঙ্গে আছে কিছু ছাগল। ঈগল প্রথমে ছাগলগুলোকে খাবে।’ এ সময় তিনি তাঁর দুই ভাইয়ের কর্মকাণ্ডের জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে না। আমার কাছে বইঠা আছে, আমি জানি নৌকা কীভাবে চালাইতে হয়। সৈয়দ আশরাফ মারা যাওয়ার পর তাঁর সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আমার একটাই কাজ; সৈয়দ নজরুল, সৈয়দ ওয়াহেদুল ও সৈয়দ আশরাফের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই।’ উল্লেখ্য, সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাই।
এদিকে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে চান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী চিকিৎসক মো. আব্দুল হাই। তিনি ভাই-বোনের দ্বন্দ্বকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের জনগণ একটা ভীতির মধ্যে আছে যে, তাঁরা (ক্ষমতায়) এলে কী হবে! এখনই এই অবস্থা।’
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ জন। যাচাইবাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোবারক হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই (লাঙল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম)। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৪১৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ জন।
ভাইবোনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে এবারের নির্বাচন ঘিরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন নির্বাচনী প্রচারসভায়। একই পরিবারের সদস্যরা যেভাবে একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন, তাতে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। এতে উদ্বিগ্ন সাধারণ ভোটাররা। তাঁদের আশঙ্কা, এই বিষোদ্গার গড়াতে পারে সহিংসতায়।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে লড়ছেন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সমর্থন দিয়েছেন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমার ছেলেরা ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগাইছে, সবগুলো পোস্টার ছিঁড়া ফালাইছে। পোস্টারের মধ্যে আগুন লাগাইয়া দিছে।’
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমি এইডা বিশ্বাসই করি না যে, বইন (সৈয়দা লিপি) হইয়া ভাইয়ের (সৈয়দ সাফায়েত) পোস্টারে আগুন লাগাইয়া দিছে। এরা চায় কিশোরগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হউক। এরা চায় কিশোরগঞ্জে মারামারি-খুনোখুনির অবস্থা তৈরি হউক।’
সৈয়দ পরিবারের এই নেতা আরও বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা যে ঘটাইতে চায়, এইটার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে। সেই ষড়যন্ত্রডা হইল, যদি কিশোরগঞ্জে মারামারি হানাহানি হইয়া একটা জীবন ঝইরা যায়, তাহলে মামলা হইব।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই মামলার আসামি কে হবে? তিনি নিজেই জবাব দিয়ে বলেন, ‘সৈয়দ পরিবারের মেজর জেনারেল সাফায়েতুল ইসলাম আর সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বানাইয়া দিলে, লাভডা কার হইব এইডা কন? হাততালি কেডা দিব? মুরুব্বি হাততালিডা দিব।’
এই মুরুব্বি কে—এ বিষয়ে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনারা বুঝে নিন।
উল্লেখ্য, এই আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে তিনি সমর্থন জানান সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে। তুহিন সমর্থন দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্ব। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তখন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন জানান চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তাঁরই চার ভাই-বোন। ওই সভায় সাফায়েতুল ইসলাম অস্ত্র আর টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন—এমন অভিযোগ তোলেন তাঁর ছোট ভাই ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।
সৈয়দ শরীফুল ইসলাম বড় ভাইকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা অস্ত্র আর টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমরা নেমেছি আদর্শ নিয়ে। আমরা সততার সঙ্গে রোজগার করে খাচ্ছি।’ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা পয়সা দেবে, আপনারা নেবেন। আর ভোটটা দেবেন নৌকায়।’ এ সময় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ‘দলছুট’ আখ্যা দিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমরা চার ভাইবোন একসঙ্গে আছি। ছোট বোন লিপির পক্ষে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছয় সন্তান। তাঁর চার ছেলে—সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এবং দুই মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিয়া নূর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা বলেন, ‘দুই ভাই মিলে হুলুস্থুল লাগিয়ে দিয়েছেন। পাগল ঈগল নিয়ে এসেছে। সঙ্গে আছে কিছু ছাগল। ঈগল প্রথমে ছাগলগুলোকে খাবে।’ এ সময় তিনি তাঁর দুই ভাইয়ের কর্মকাণ্ডের জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে না। আমার কাছে বইঠা আছে, আমি জানি নৌকা কীভাবে চালাইতে হয়। সৈয়দ আশরাফ মারা যাওয়ার পর তাঁর সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আমার একটাই কাজ; সৈয়দ নজরুল, সৈয়দ ওয়াহেদুল ও সৈয়দ আশরাফের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই।’ উল্লেখ্য, সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাই।
এদিকে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে চান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী চিকিৎসক মো. আব্দুল হাই। তিনি ভাই-বোনের দ্বন্দ্বকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের জনগণ একটা ভীতির মধ্যে আছে যে, তাঁরা (ক্ষমতায়) এলে কী হবে! এখনই এই অবস্থা।’
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ জন। যাচাইবাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোবারক হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই (লাঙল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম)। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৪১৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ জন।
ভাইবোনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
১ ঘণ্টা আগে
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেনার টাকা শোধের চাপ। গ্রেপ্তার টাইলস মিস্ত্রি মোরছালিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দেনা পরিশোধের জন্য টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে যোগেশ চন্দ্রের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
মোরছালিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুনের আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে তিন দিন কাজ করেন। এ কারণে যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি জানতেন। তিনি আট হাজার টাকা ঋণী ছিলেন। তিনি যোগেশের বাড়িতে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছিল ওই বাড়িতে টাকাপয়সা আছে। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চাপে পড়েন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে রহিমাপুর গ্রামে যান এবং যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে আলমারি ভাঙে। কিন্তু সেখানে টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আমগাছ বেয়ে বাথরুমের ছাদে উঠে নেমে পাশে থাকা পুকুরে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। যোগেশ চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা ছিল না।
সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের খবরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। মোরছালিন পুলিশকে দেখাচ্ছিল—কীভাবে তিনি হত্যার পর পালিয়ে যান।
যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার খুনিকে ধরা হয়েছে। আমি তৃপ্তি ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার বাবার হত্যাকারীর ফাঁসি যেন কার্যকর হয়—এটাই আমার চাওয়া।’
রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মোরছালিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথমে সুবর্ণা রায়কে, পরে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এরপর তাদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে। সেখানে দেখে টাকা আছে কি না। তার ভাষ্যমতে সে টাকা পায়নি। বাড়ির ভেতরে থাকা আমগাছ দিয়ে উঠে পেছনে থাকা কাঁঠালগাছ দিয়ে নেমে পাশে থাকা পুকুরে কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। পুকুর থেকে কুড়ালের হাতল উদ্ধার হয়েছে। সেখানে রক্ত লেগে আছে। লোহার অংশও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শ্যালো দিয়ে পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে বেলা ৩টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রামে মোরছালিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বোন রিমি আক্তার জানান, মোরছালিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রানীকে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেনার টাকা শোধের চাপ। গ্রেপ্তার টাইলস মিস্ত্রি মোরছালিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দেনা পরিশোধের জন্য টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে যোগেশ চন্দ্রের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
মোরছালিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুনের আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে তিন দিন কাজ করেন। এ কারণে যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি জানতেন। তিনি আট হাজার টাকা ঋণী ছিলেন। তিনি যোগেশের বাড়িতে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছিল ওই বাড়িতে টাকাপয়সা আছে। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চাপে পড়েন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে রহিমাপুর গ্রামে যান এবং যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে আলমারি ভাঙে। কিন্তু সেখানে টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আমগাছ বেয়ে বাথরুমের ছাদে উঠে নেমে পাশে থাকা পুকুরে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। যোগেশ চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা ছিল না।
সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের খবরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। মোরছালিন পুলিশকে দেখাচ্ছিল—কীভাবে তিনি হত্যার পর পালিয়ে যান।
যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার খুনিকে ধরা হয়েছে। আমি তৃপ্তি ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার বাবার হত্যাকারীর ফাঁসি যেন কার্যকর হয়—এটাই আমার চাওয়া।’
রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মোরছালিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথমে সুবর্ণা রায়কে, পরে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এরপর তাদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে। সেখানে দেখে টাকা আছে কি না। তার ভাষ্যমতে সে টাকা পায়নি। বাড়ির ভেতরে থাকা আমগাছ দিয়ে উঠে পেছনে থাকা কাঁঠালগাছ দিয়ে নেমে পাশে থাকা পুকুরে কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। পুকুর থেকে কুড়ালের হাতল উদ্ধার হয়েছে। সেখানে রক্ত লেগে আছে। লোহার অংশও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শ্যালো দিয়ে পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে বেলা ৩টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রামে মোরছালিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বোন রিমি আক্তার জানান, মোরছালিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রানীকে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
১ ঘণ্টা আগে
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হামলায় গুরুতর আহত এই নেতার জন্য ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তের দরকার বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা।
সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীর ওপর হামলার পরপরই বিবৃতি আসে বিএনপির পক্ষ থেকে।
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সমাজে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে হিংস্র সন্ত্রাসীরা পরিব্যাপ্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণতন্ত্রের বিজয়ের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি কুচক্রী মহল দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। নাশকতাকারীদের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পথচলাকে রুদ্ধ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপি দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে এবং গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির আশু সুস্থতা কামনা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হামলায় গুরুতর আহত এই নেতার জন্য ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তের দরকার বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা।
সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীর ওপর হামলার পরপরই বিবৃতি আসে বিএনপির পক্ষ থেকে।
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সমাজে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে হিংস্র সন্ত্রাসীরা পরিব্যাপ্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণতন্ত্রের বিজয়ের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি কুচক্রী মহল দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। নাশকতাকারীদের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পথচলাকে রুদ্ধ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপি দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে এবং গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির আশু সুস্থতা কামনা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগে
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাহিমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মুনসুর মিয়াসহ (৩২) পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের রঙ্গ মিয়ার ছেলে।
আর নিহত রাহিমা আক্তার একই গ্রামের মো. আবুল হাশেমের মেয়ে।
১০ বছর আগে মুনসুর মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাহিমার। তাঁদের সংসারে আট বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক রাহিমাকে মৃত ঘোষণা করলে মুনসুর ও পরিবারের লোকজন লাশ রেখে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে দৌড়ে হাসপাতালে যাই। পরে রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আজ সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরব। রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ‘রাহিমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। তিনি বিষ পান করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাহিমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মুনসুর মিয়াসহ (৩২) পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের রঙ্গ মিয়ার ছেলে।
আর নিহত রাহিমা আক্তার একই গ্রামের মো. আবুল হাশেমের মেয়ে।
১০ বছর আগে মুনসুর মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাহিমার। তাঁদের সংসারে আট বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক রাহিমাকে মৃত ঘোষণা করলে মুনসুর ও পরিবারের লোকজন লাশ রেখে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে দৌড়ে হাসপাতালে যাই। পরে রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আজ সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরব। রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ‘রাহিমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। তিনি বিষ পান করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি হামলার শিকার হন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন দুর্বৃত্ত এসে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন (ক্রিটিক্যাল) এবং বুলেটটি মাথার ভেতরে থাকায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিকেল ৫টার পর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (হাদি) মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তামানে অপারেশন থিয়েটারে তাঁর সার্জারি চলছে।’ হাদিকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগর আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’
এদিকে, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর দুর্বৃত্তদের এমন হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অবিলম্বে এই ঘটনার দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন হামলায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছে। তাঁর মাথার ভেতরে বুলেটটি আটকে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি হামলার শিকার হন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন দুর্বৃত্ত এসে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন (ক্রিটিক্যাল) এবং বুলেটটি মাথার ভেতরে থাকায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিকেল ৫টার পর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (হাদি) মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তামানে অপারেশন থিয়েটারে তাঁর সার্জারি চলছে।’ হাদিকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগর আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’
এদিকে, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর দুর্বৃত্তদের এমন হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অবিলম্বে এই ঘটনার দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন হামলায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
১ ঘণ্টা আগে
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে রহিমা অচেতন হয়ে গেলে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগে