Ajker Patrika

যশোরের হুজুর ইয়াসিন হত্যা মামলায় ৯ জনের নামে চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ২৮
Thumbnail image

নিজ এলাকায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও বাড়ি নির্মাণে ইট, বালুর ব্যবসা থেকে হিস্যা আদায়সহ বিভিন্ন দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হন যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুর ইয়াসিন (৩২)। তদন্ত শেষে এমনই তথ্য দিয়েছে ডিবি পুলিশ। এদিকে তদন্ত শেষে একই এলাকার স্বর্ণকার রানাসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন—শংকরপুর চোপদারপাড়ার তোরাব আলীর তিন ছেলে যথাক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে স্বর্ণকার রানা, রুবেল হোসেন ও হাফিজুর রহমান, রেজাউল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের ওরফে শান্ত, শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ আহমেদের ছেলে শফিক, একই এলাকার ময়না, বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার খবির আলী শিকদারের ছেলে জীবন শিকদার, শংকরপুর মাঠপড়ার আইয়ুব আলী মিস্ত্রির ছেলে সুমন ও বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার আব্দুল মজিদ ড্রাইভারের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নজু ডাকাত। এর মধ্যে সুমন, ময়না ও নজু ডাকাতকে পলাতক এবং বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণকার রানা কয়েক বছর আগে হুজুর ইয়াসিন গংয়ের হামলায় আহত হয়েছিলেন। এ কারণে স্বর্ণকার রানা ক্ষুব্ধ ছিলেন হুজুর ইয়াসিনের ওপর। এর প্রতিশোধ নিতে রানা গং পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করে। এই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতে পলাতক নজু ডাকাতসহ অন্যরা। 

এসআই আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ধারালো অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন অভিযুক্ত সুমন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শংকরপুর রেললাইনসংলগ্ন ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হন আলোচিত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুর ইয়াসিন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত