Ajker Patrika

তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

খুলনা প্রতিনিধি
তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, দক্ষ চিকিৎসক তৈরি, স্বাস্থ্য খাতে আধুনিক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। কিন্তু গত সাড়ে তিন বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর জন্য জমি অধিগ্রহণ, পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসসহ অবকাঠামো নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খুলনাবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন পাস হয়। একই বছরের ৩ মে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর সাত মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ফিজিবিলিটি) পরিচালনার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়। আর উপ-প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নুরুল মোমেনকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে স্থায়ী ক্যাম্পাস ও আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণে একটি খসড়া প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ২০২৩ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগে দাখিল করা হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। পরে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে নকশা পরিবর্তন ছাড়া নানা কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। ২০২৪ সালের ৯ মে একনেক সভায় কিছু শর্তসাপেক্ষে ডিপিপি অনুমোদিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য শিক্ষাব্যবস্থার সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্যকরণ এবং স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট গবেষণাকে উৎসাহিত করা এ তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এ অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে শিগগিরই জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে এবং সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নিজেদের স্থায়ী ক্যাম্পাস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিশেষায়িত মেডিকেল কোর্সগুলো চালু করার চেষ্টা করা হবে।

খুলনা সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন থমকে না যায়, সে জন্য প্রত্যেককে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত