ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরে সরকারি সড়কের জায়গা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বিরুদ্ধে। শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে বিএনপির এই নেতার নির্মাণাধীন সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ।
গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে সড়ক বিভাগ জানায়, জায়গাটি জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ বলছে, ‘বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ভবনের কাজ করা মিস্ত্রি বলেন, নলকূপটি জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ স্থাপন করেছেন।
সরেজমিন জানা গেছে, স্থানীয় বাস টার্মিনাল, কলাবাগান, স্টেডিয়ামপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের শহরে ঢোকার প্রধান প্রবেশ পথ হলো এইচএসএস সড়ক। জেলা শহরের উজির আলী স্কুলের বিপরীত পাশে ব্যস্ততম এই সড়কের পিচ থেকে তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে গভীর নলকূপ। এটি বসানো হয়েছে সড়ক ও ড্রেনজ ব্যবস্থার মাঝের স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নাম প্রথম দিকে দেওয়া ছিল ‘মজিদ টাওয়ার’। কয়েক দিন পর নাম বদলে দেওয়া হয় ‘সবুজ বাংলা টাওয়ার’। গত শনিবার দুপুর থেকে সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে সড়কের প্রায় দুই থেকে তিন ফুট দূরে শুরু হয় গভীর নলকূপ (সাবমার্সিবল পাম্প) বসানোর কাজ। শনিবার রাত পর্যন্ত চলে মাটি গর্ত করার কাজ। পরদিন রোববার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় পাইপ স্থাপনের কাজ। প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় পাইপ স্থাপন। এর পরপরই সেখান থেকে নলকূপ বসানোর কাজের মিস্ত্রিরা ও শ্রমিকেরা চলে যান।
ব্যস্ততম সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ স্থাপন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। জেলা বিএনপির সভাপতির ভবন হওয়াই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রশাসনের অবহেলায় এমন কাজ করা হচ্ছে। তারা যদি নজর দিত তাহলে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি স্থাপনা হতো না। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। সড়কের ধারে হওয়াই যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর নলকূপ স্থাপিত হয়েছে সড়ক ও ড্রেনের মাঝখানের জায়গায়। এটা কোনোভাবেই ব্যক্তি মালিকানা জায়গা হতে পারে না।
বিষয়টি জানতে ভবনের সামনের সবুজ বাংলা টাওয়ারের সাইন বোর্ডে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে ইকবাল মিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এটা জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ ভাইয়ের ভবন। নলকূপের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘আমি ওমরা করতে মক্কায় এসেছি। নলকূপের বিষয়ে আমি একটু খোঁজ নিয়ে নিই। এমন তো হওয়ার কথা না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জায়গাটি সড়ক বিভাগের নাকি জেলা পরিষদের তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি আমাদের হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘আমরা তাদের (ভবনের কর্তৃপক্ষ) বলে এসেছি জায়গাটি জেলা পরিষদের, এখানে কিছু না করার জন্য বলেছি। পরবর্তীতে তারা যদি আবার কিছু করে তাহলে আমাদের যে আইনি দিক আছে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘জেলা পরিষদকে আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। তাঁরা ক্ষতিয়ে দেখছে। তবে এতটুকু বলতে চাই আইনের বাইরে কিছুই হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’
ঝিনাইদহ শহরে সরকারি সড়কের জায়গা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বিরুদ্ধে। শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে বিএনপির এই নেতার নির্মাণাধীন সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ।
গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে সড়ক বিভাগ জানায়, জায়গাটি জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ বলছে, ‘বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ভবনের কাজ করা মিস্ত্রি বলেন, নলকূপটি জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ স্থাপন করেছেন।
সরেজমিন জানা গেছে, স্থানীয় বাস টার্মিনাল, কলাবাগান, স্টেডিয়ামপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের শহরে ঢোকার প্রধান প্রবেশ পথ হলো এইচএসএস সড়ক। জেলা শহরের উজির আলী স্কুলের বিপরীত পাশে ব্যস্ততম এই সড়কের পিচ থেকে তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে গভীর নলকূপ। এটি বসানো হয়েছে সড়ক ও ড্রেনজ ব্যবস্থার মাঝের স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নাম প্রথম দিকে দেওয়া ছিল ‘মজিদ টাওয়ার’। কয়েক দিন পর নাম বদলে দেওয়া হয় ‘সবুজ বাংলা টাওয়ার’। গত শনিবার দুপুর থেকে সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে সড়কের প্রায় দুই থেকে তিন ফুট দূরে শুরু হয় গভীর নলকূপ (সাবমার্সিবল পাম্প) বসানোর কাজ। শনিবার রাত পর্যন্ত চলে মাটি গর্ত করার কাজ। পরদিন রোববার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় পাইপ স্থাপনের কাজ। প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় পাইপ স্থাপন। এর পরপরই সেখান থেকে নলকূপ বসানোর কাজের মিস্ত্রিরা ও শ্রমিকেরা চলে যান।
ব্যস্ততম সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ স্থাপন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। জেলা বিএনপির সভাপতির ভবন হওয়াই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রশাসনের অবহেলায় এমন কাজ করা হচ্ছে। তারা যদি নজর দিত তাহলে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি স্থাপনা হতো না। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। সড়কের ধারে হওয়াই যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর নলকূপ স্থাপিত হয়েছে সড়ক ও ড্রেনের মাঝখানের জায়গায়। এটা কোনোভাবেই ব্যক্তি মালিকানা জায়গা হতে পারে না।
বিষয়টি জানতে ভবনের সামনের সবুজ বাংলা টাওয়ারের সাইন বোর্ডে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে ইকবাল মিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এটা জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ ভাইয়ের ভবন। নলকূপের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘আমি ওমরা করতে মক্কায় এসেছি। নলকূপের বিষয়ে আমি একটু খোঁজ নিয়ে নিই। এমন তো হওয়ার কথা না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জায়গাটি সড়ক বিভাগের নাকি জেলা পরিষদের তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি আমাদের হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘আমরা তাদের (ভবনের কর্তৃপক্ষ) বলে এসেছি জায়গাটি জেলা পরিষদের, এখানে কিছু না করার জন্য বলেছি। পরবর্তীতে তারা যদি আবার কিছু করে তাহলে আমাদের যে আইনি দিক আছে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘জেলা পরিষদকে আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। তাঁরা ক্ষতিয়ে দেখছে। তবে এতটুকু বলতে চাই আইনের বাইরে কিছুই হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’
অশিক্ষিত চাষা-ভূষারা এই সরকারের চাইতে ভালো দেশ চালাতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেছেন, ‘গরীবের ট্যক্সের টাকায় রাষ্ট্র-সরকার চলে, আর গরীব থাকে বঞ্চিত। অশিক্ষিত মূর্খ চাষা-ভূষারা এই সরকারের চাইতে ভালো দেশ চালাতে পারবে।’
৩ মিনিট আগেবরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে নিখোঁজের ১৯ দিন পর মরিয়ম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার কাজিরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে দেহ এবং আজ শনিবার সকালে মাথা ও হাত উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগেবাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, গত ১৭ বছর শিক্ষকদের ভোটে সিল মারার কাজে লাগানো হয়েছে। আর নিরীহ শিক্ষকদের নানাভাবে অসম্মানিত করা হয়েছে। তাই শিক্ষকদের সম্মান ফেরাতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
২৬ মিনিট আগেপাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত মো. হাদিস (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে
১ ঘণ্টা আগে