Ajker Patrika

শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

খুবি প্রতিনিধি
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী চত্বরে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা অনশন পালন করেছেন  শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য এখনো শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ না করে বরং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনশনের ১১৫ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। ফলে যেকোনো সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

অনশনরত বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'একজন উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা যে অভিভাবককে চায় না তাহলে তিনি কীভাবে থাকেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে একজন ভিসি কতটা নিষ্ঠুর, কতটা স্বৈরাচারী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হামলা করতে পারে। আমরা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাই।'

ইংরেজি ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ বলেন, 'শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে একটি ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমরা মনে করি তিনি এখন তার পদে থাকার জন্য যোগ্য নয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। আমরা অতি শিগগিরই তার পদত্যাগ চাই।'

অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'শাবিপ্রবি ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি না চায় তাহলে শাবিপ্রবির ভিসি একদিনও তার পদে থাকতে পারেন না। আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত শাহজালালের ভিসি পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে।'

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার শরীরে জ্বর। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যেও এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনড় তাঁরা। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন কয়েকজন অনশনকারী শিক্ষার্থী।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় সংকট উত্তরণের আভাস পাওয়া যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাড়াশে দুম্বার মাংস ছিনতাই, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সৌদি সরকারের পাঠানো দুস্থদের জন্য দুম্বার মাংস ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রধান আসামি লিটন মির্জাকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত লিটন তাড়াশ পৌর সদরের থানাপাড়া মহল্লার মৃত নাজু মির্জার ছেলে।

জানা গেছে, ২৯ অক্টোবর তাড়াশ উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য সৌদি সরকারের পাঠানো দুস্থদের জন্য ১৬৪ কার্টন দুম্বার মাংস বিতরণ করা হয়। এদিন দক্ষিণ মথুরাপুর দারুল নাজাত হাফিজিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত এক কার্টন দুম্বার মাংস ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সুলতান মাহমুদ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মাংসের কার্টন নিয়ে উপজেলা মসজিদের কাছে পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ-সংক্রান্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামিদের শনাক্ত করে। পরে দক্ষিণ মথুরাপুর দারুল নাজাত হাফিজিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার মহতামিম মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি লিটন মির্জাকে গ্রেপ্তার করে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, মামলার মূল আসামি লিটন মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগুনে ৮ দোকান ভস্মীভূত, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি দাবি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ও নাগেশ্বরী সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে আগুন লেগে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে আগুন লেগে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। আজ শুক্রবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী অধির চন্দ্র সাহার ১৭ লাখ, সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডার্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদিদোকানি মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফণিচন্দ্র শীলের ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালপত্র পুড়ে যায়।

স্থানীয় আশিকুর রহমান বলেন, ‘ভোর পৌনে ৫টার দিকে উঠে দেখি বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। মানুষজনকে ডাকাডাকি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’ খাইরুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে কচাকাটা বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন দুই পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অধিরচন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘রাতে বাবা দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। ভোরে মানুষের হইচই শুনে বাজারে এসে দেখি দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে।’

এ বিষয়ে কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ খ ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে কাজ করে। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে ২০১ বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টির মামলা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইডবিরোধী আন্দোলনকারী ২০১ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ‘মব সৃষ্টির’ মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নেসকো ঈশ্বরদী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর নূর। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক আ ফ ম রাজিবুল আলমকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিবাদী রাজিবুল আলম ইভানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ব্যক্তি অফিস চত্বরে মব ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপন করা মিটারগুলো খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় অফিসের গ্লাসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। এতে ক্ষতির মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।

এদিকে নেসকোর পক্ষ থেকে কলেজশিক্ষকসহ ২০১ জনের নামে মামলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এখানকার গ্রাহকেরা। এর প্রতিবাদ জানাতে আগামী রোববার সকালে আবারও গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনের আরও এক সংগঠক মাহবুবুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও আশিকুর রহমান লুলুর সঞ্চালনায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত সবাই ২০১ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের দিন নেসকো অফিস ভাঙচুর, নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তাসহ ৬৫ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঈশ্বরদীতে গত বুধবার গ্রাহকের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ রাখা হবে বলে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। এর আগে অফিসে গ্রাহকদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঝগড়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিনেতা এ আর মন্টুর বাড়িতে অভিযান, উদ্ধার বিদেশি অস্ত্র, ইয়াবা ও মদ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ কার্তুজ, গুলি, ইয়াবা বড়ি, গাঁজা ও মদ পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করার পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আশুলিয়ার জামগড়া সেনাক্যাম্প। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট ও কান্দাইল এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গভীর রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় কয়েকটি ফাঁকা গুলির আওয়াজে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে অভিনেতা এ আর মন্টুর বাসভবনে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ৮টি গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৭টি শটগানের কার্তুজ, ১৬টি পিস্তলের কার্তুজ, ৪টি দেশি অস্ত্র, প্রায় সাড়ে ৩ হাজারটি ইয়াবা বড়ি, ৭০০ গ্রাম গাঁজা, ৪ লিটার দেশি মদ ও তিনটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অভিনেতা এ আর মন্টুর ছোট ছেলে মেহেদী হাসান মিঠুন (২৪), মোজাম্মেল ভূঁইয়া (৪৪), জাহিদুল আলম (২৪), মাসুমা আক্তার রিয়া (২২)। এ ছাড়া আরও একটি অভিযানে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন রাজশাহীর জামিরা হাটপাড়া এলাকার নায়ন আলী (২৮), আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার বাবর হোসেন বাবুল (৪৫) এবং বগুড়ার ফুলবাড়ী এলাকার গোলাম রাব্বি (১৮)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে কান্দাইলের রাজা-বাদশা মার্কেট এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিল কিছু দুর্বৃত্ত। এরই জেরে একাধিক অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি দেশি অস্ত্র, ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করার পর দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত