Ajker Patrika

শিক্ষিকাকে মারধর করা সেই যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ২১: ৩২
Thumbnail image

যশোরের মনিরামপুরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকাকে মারধর করার অভিযোগ গ্রেপ্তার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পৌর যুবলীগ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। 

আজ রোববার পৌর যুবলীগের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়েছে, ২৩ আগস্ট দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছালিমা বেগমকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় আপনাকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা যুবলীগের সংগঠনবিরোধী। যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা এ কাজ করতে পারেন না।যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে দেওয়া সাংগঠনিক নোটিশমিজানুর রহমান মনিরামপুর পৌর শহরের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পৌর শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। 

এদিকে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা-পুলিশ মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গত শুক্রবার দুপুরে তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির করে পুলিশ। বর্তমানে মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন। আজ রোববার তাঁর জামিনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আদালতে নির্ধারিত কক্ষে বিচারক না বসায় আগামী মঙ্গলবার পুনরায় জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 
 
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর থানা-পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) তৌহিদুল ইসলাম। 

মামলা ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। গত মঙ্গলবার দুষ্টামি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার ওই ছাত্রকে শাসন করেন। এরপর রাকিবুল বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে। তখন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে মারধর করেন রাকিবুলের বাবা, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যান মিজানুর। তখন অন্য শিক্ষকেরা এসে মিজানকে থামান। 

মারধরের শিকার শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাকিবুলের বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। শাসন করার ঘটনা সে বাড়িতে গিয়ে নালিশ করে। তখন ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজন স্কুলে ছুটে আসে। এ সময় আমি একটি কক্ষে দায়িত্বরত ছিলাম। মিজান এসে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে চুল ধরে টেনে মাঠে নিয়ে যায়।’

ছালিমা আক্তার আরও বলেন, ‘মিজানের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আমি মনিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। পরে এসে থানায় মামলা দিয়েছি।’

দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার ও অভিযুক্ত মিজানুরের বাড়ি পাশাপাশি। স্কুলের বেসিন ধরায় ছাত্র রাকিবুলকে “বাপ” তুলে কথা বলেন শিক্ষিকা। এরপর রাকিবুল বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে তার বাবা এসে শিক্ষিকাকে মারধর করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত