নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
যশোর যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত বিএনপির রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার প্রধান আসামিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শহরের রেলরোড এলাকার ফরিদ মুন্সির ছেলে ও শামীম আহমেদ মানুয়ার ভাগ্নে মামলার দুই নম্বর আসামি রায়হান (২৪), শংকরপুর এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) এবং মামলার পাঁচ নম্বর আসামি আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫)।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহম্মেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধোনির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জেরে মানুয়ার মেয়ের জামাই ইয়াসিন হত্যা মামলায় ধোনিকে আসামি করা হয়। সর্বোপরি এলাকায় দলীয় কোন্দল আর রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে ধোনিকে হত্যা করা হয়। মানুয়ার নির্দেশে তাঁর ভাগনে রায়হান এই হত্যাকাণ্ডটির নেতৃত্ব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ধোনির বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও ছিলেন ধোনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের সামনে হত্যার শিকার হন ইয়াসিন আরাফাত। এই মামলায় মাসখানেক আগে ধোনি জেল থেকে বের হন। মানুয়া নামে বিএনপির যে নেতার সঙ্গে ধোনির বিরোধ ছিল, তিনি ইয়াসিন আরাফাতের শ্বশুর।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে যশোরের নাজির শংকরপুরে আকবরের মোড় এলাকায় ধোনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে পৌর বিএনপির নেতা শামীম আহমেদ মানুয়াসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫ / ৬ জনকেও আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন-শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের সামনে আশ্রম রোডের আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ (২৫), মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে ও বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ মানুয়ার ভাগ্নে (বোনের ছেলে) রায়হান (২৪), শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও যশোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়া (৪৮), টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের পাশের মিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে মন্টু ওরফে অপূর্ব ওরফে আলী রাজ (২২), টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫), আফসারের ছেলে মিলন (২৪), শংকরপুর হারান কলোনীর উত্তর পাশের বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) এবং চোপদারপাড়া রোডের মৃত হুজুর ইয়াসিনের বাড়ির পাশের লাভলুর ছেলে রিজভী (২৬)।
ধোনিকে হত্যার পর মানুয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তাঁর স্বজনরাও। তাঁদের অভিযোগ, পূর্ববিরোধের কারণে ধোনিকে লোক দিয়ে খুন করিয়েছেন শামীম আহমেদ মানুয়া নামে ওই বিএনপি নেতা। মানুয়া যশোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং একই সঙ্গে সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন। মানুয়ার সঙ্গে ধোনির বিরোধের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দও।
যশোর যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনিকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত বিএনপির রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার প্রধান আসামিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শহরের রেলরোড এলাকার ফরিদ মুন্সির ছেলে ও শামীম আহমেদ মানুয়ার ভাগ্নে মামলার দুই নম্বর আসামি রায়হান (২৪), শংকরপুর এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) এবং মামলার পাঁচ নম্বর আসামি আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫)।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহম্মেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধোনির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জেরে মানুয়ার মেয়ের জামাই ইয়াসিন হত্যা মামলায় ধোনিকে আসামি করা হয়। সর্বোপরি এলাকায় দলীয় কোন্দল আর রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে ধোনিকে হত্যা করা হয়। মানুয়ার নির্দেশে তাঁর ভাগনে রায়হান এই হত্যাকাণ্ডটির নেতৃত্ব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ধোনির বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও ছিলেন ধোনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের সামনে হত্যার শিকার হন ইয়াসিন আরাফাত। এই মামলায় মাসখানেক আগে ধোনি জেল থেকে বের হন। মানুয়া নামে বিএনপির যে নেতার সঙ্গে ধোনির বিরোধ ছিল, তিনি ইয়াসিন আরাফাতের শ্বশুর।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে যশোরের নাজির শংকরপুরে আকবরের মোড় এলাকায় ধোনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে পৌর বিএনপির নেতা শামীম আহমেদ মানুয়াসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫ / ৬ জনকেও আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন-শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের সামনে আশ্রম রোডের আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ (২৫), মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে ও বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ মানুয়ার ভাগ্নে (বোনের ছেলে) রায়হান (২৪), শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও যশোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়া (৪৮), টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের পাশের মিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে মন্টু ওরফে অপূর্ব ওরফে আলী রাজ (২২), টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫), আফসারের ছেলে মিলন (২৪), শংকরপুর হারান কলোনীর উত্তর পাশের বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) এবং চোপদারপাড়া রোডের মৃত হুজুর ইয়াসিনের বাড়ির পাশের লাভলুর ছেলে রিজভী (২৬)।
ধোনিকে হত্যার পর মানুয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তাঁর স্বজনরাও। তাঁদের অভিযোগ, পূর্ববিরোধের কারণে ধোনিকে লোক দিয়ে খুন করিয়েছেন শামীম আহমেদ মানুয়া নামে ওই বিএনপি নেতা। মানুয়া যশোর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং একই সঙ্গে সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন। মানুয়ার সঙ্গে ধোনির বিরোধের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দও।
‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
২ ঘণ্টা আগেবইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। ঝকঝকে নতুন স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো এরই মধ্যে দর্শক-ক্রেতার পদচারণে মুখর। নতুন বইয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বই অবশ্য আসা শুরু হয়েছে মাত্র। প্রকাশকদের ভাষ্য, সব বই মেলায়...
২ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার রাজধানীর চারটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থী, জুলাই অভ্যুত্থানের আহত ছাত্র-জনতা এবং চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। এতে মহানগরীর বড় এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা। সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে তারা অবস্থান নেন। এর কয়েক মিনিট পরই আহতদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী
৩ ঘণ্টা আগে