Ajker Patrika

কুয়েটে ২৯ জুনের মধ্যে ভিসি নিয়োগের দাবি, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সংকট নিরসনের জন্য ২৯ জুনের মধ্যে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। অন্যথায় তাঁরা কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

চার মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা কুয়েটের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় গত ৪ মে থেকে একাডেমির কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি শিক্ষক সমিতি। গত সোমবার কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আগের মতো একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সমিতি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিভাবক (ভিসি) ছাড়া যেহেতু ক্লাস পরীক্ষাসহ কোনো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, তাই দ্রুত একজন যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। ২৯ জুনের মধ্যে ভিসি নিয়োগ করে চলমান সংকট নিরসনে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সমিতি পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষর রয়েছে।

এর আগে ৩ মে চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯ মে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিভাবকহীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ। ২৫ মে সংকট নিরসনের জন্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠান। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। ঈদ-পরবর্তী অফিস খোলার পরে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

শিক্ষক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতিমধ্যে ভিসি নিয়োগের জন্য ৪ জুন সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে শিক্ষক সমিতি বিস্মিত হয়। কেননা এমন ঘটনা দেশে এটাই প্রথম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যোগ্যতার মাপকাঠিতে এই ক্যাম্পাসে যেখানে ৬০ জনের বেশি অধ্যাপক বিদ্যমান, তবু মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি একটি দীর্ঘসূত্রতার পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে শিক্ষক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত