Ajker Patrika

মজুতের ২৫ গুণ নিবন্ধন

জিয়াউল হক, যশোর
মজুতের ২৫ গুণ নিবন্ধন

যশোরে করোনার টিকার জন্য এ পর্যন্ত ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৯ জন নিবন্ধন করলেও পেয়েছেন মাত্র ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৯ জন। ফলে এখনো এক ডোজও টিকা পাননি ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ জন প্রত্যাশী। তাঁদের সবাই টিকার জন্য খুদে বার্তা পাননি।

এর বিপরীতে জেলার সবগুলো উপজেলা মিলে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত টিকা মজুত ছিল মাত্র ২১ হাজার ৪২০ ডোজ। সেই হিসাবে নিবন্ধকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মজুতের ২৫ গুণ।

তবে প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, নিবন্ধন করলেই টিকা পাওয়া যাবে বিষয়টি এমন নয়। যারা নিবন্ধন করেছেন তাঁদের তথ্য যাচাইবাছাই করে টিকা নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দেওয়া হবে। তবেই টিকা নিতে পারবেন আগ্রহীরা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পুরো জেলায় টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৯ জন।

তাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৯ জন। আর এদের মধ্য থেকে দুই ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

যশোর সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি জানান, জেলায় গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৭টি আবেদন পড়েছে সদর উপজেলায়। এ ছাড়া অভয়নগরে ৬০ হাজার ৬৫ টি, বাঘারপাড়ায় ৫০ হাজার ৪০৫ টি, চৌগাছায় ৫ হাজার ৫৮৮ টি, ঝিকরগাছায় ৫১ হাজার ৫৬১ টি, কেশবপুরে ৭৮ হাজার ৮৪৩ টি, মনিরামপুরে ৯৫ হাজার ৭০৪টি এবং শার্শায় ৯৬ হাজার ৭১৬টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে।

ডা. রেহেনেওয়াজ রনি জানান, নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৯ জন প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে মোট ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অভয়নগরে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২২ হাজার ১০৪ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ হাজার ৩০২ জন। বাঘারপাড়ায় প্রথম ডোজ নিয়েছে ১৮ হাজার ৯১৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১০ হাজার ১৭৮ জন। চৌগাছায় প্রথম ডোজ নিয়েছে ১৭ হাজার ৮৬৬ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ হাজার ১৪৫ জন। সদর উপজেলায় প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫১০ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৩৭ জন। ঝিকরগাছায় প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার তিনজন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯ হাজার ২৫৩ জন। কেশবপুরে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৬ হাজার ১৭২ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ হাজার ২৩৯ জন। মনিরামপুরে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৩১৫ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬৬ জন। শার্শায় প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৫ হাজার ৩৫৪ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ হাজার ১৭৯ জন।

সিভিল সার্জনের মুখপাত্র জানান, ২৪ আগস্ট পর্যন্ত যশোর সদরে ১৪ হাজার ৮৮৭, অভয়নগরে ৮৪৯, বাঘারপাড়ায় ১ হাজার ৪১০, চৌগাছায় ৮৬৪, ঝিকরগাছায় ১ হাজার ১৫১, কেশবপুরে ৫৩৯, মনিরামপুরে ৮৩৪ এবং শার্শায় ৮৮৬ ডোজ টিকা মজুত রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বার্তাপ্রাপ্তদের দেওয়া হচ্ছে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, নিবন্ধন করলেই টিকা পাবে বিষয়টি এমন না। যারা আবেদন করেছেন তাঁদের সবাইকেই টিকা নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দেওয়া হবে। 
শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোরে যে পরিমাণ টিকা এসেছে তার চেয়ে নিবন্ধন বেশি হয়েছে। এ কারণে সবাইকে টিকা দিতে একটু সময় লাগছে। তবে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী 
জেলায় খুব শিগগিরই টিকা চলে আসবে। সে অনুযায়ী সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত