খুলনা প্রতিনিধি
ঈদের কেনাকাটায় খুলনার বিপণিবিতানগুলো জমে উঠেছে। তবে অভিজাত মার্কেটের চেয়ে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বেচাবিক্রি বাড়বে। এবার ভারতীয় পোশাককে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি পোশাক। নারীদের সাজ পোশাকের তালিকা বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি থ্রি-পিস।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বড় বড় অভিজাত মার্কেটে ক্রেতা ভিড় দেখা গেলেও বেচাকেনা কম। দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ছোট ছোট মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি, সেই সঙ্গে বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা জানান, ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড় খুলনা শপিং সেন্টারে ক্রেতার চাপে ভেতরে প্রবেশ করা যেন দায়। দোকানে ক্রেতাদের সামাল দিতে মালিক ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। এসব দোকানে ইন্ডিয়ান পোশাকের সমারোহ কম দেখা গেলেও বেশি দেখা গেছে পাকিস্তানি পোষক। পোশাকগুলোর মধ্যে রয়েছে নুরস, মতিস, নিভাইস এবং তাওক্কাল থ্রি-পিস। উল্লেখিত এ পোশাকগুলো সাড়ে চার হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এক বিপণিবিতানের ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন হোসেন মিঠু বলেন, ক্রেতাদের আকর্ষণ এখন পাকিস্তানি পোশাকের প্রতি। টিস্যু এবং হালকা হওয়ার কারণে ক্রেতারা পাকিস্তানি পোশাক নিচ্ছেন বেশি।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বা ডিজাইনের যে আধিপত্য ছিল, তা এখন আর নেই। পাকিস্তান থেকে কিছু পণ্য এসেছে, তবে তা বড় আকারের নয়। পাকিস্তানি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। ভারতবিদ্বেষের কারণে সেখান থেকে তেমন পণ্য আসেনি। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের টেক্সটাইল খাত অনেক উন্নত। তাই ভারতীয় ডিজাইন ও কোয়ালিটির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দেশি কোম্পানিগুলো ভালো ভালো কাপড় তৈরি করছে। পাকিস্তানি পণ্যের পাশাপাশি দেশি কাপড়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
শিক্ষার্থী আইরিন ইসলাম বলেন, ‘খুলনা শপিং মলে দেড় ঘণ্টার মতো ঘুরে পাকিস্তানি পোশাক শারারা ও গারারা কিনেছি। এটি পাকিস্তানি পোশাক। বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে এ পোশাকটি পছন্দ করে কিনেছি।’
একই বিপণিকেন্দ্রের বিক্রয়কর্মী মো. রাজিব বলেন, ‘১০ রমাদানের পর থেকে বেচাকেনা বেশ ভালো হয়েছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা তত ভালো হচ্ছে। জিমিচু ফেব্রিকস এবং শারারা, গারারার বিক্রি বেশ ভালো। এ পোশাক কিনতে তরুণীদের বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। এসব পোশাক সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
অপর দিকে পাঞ্জাবির দোকানগুলোও ক্রেতায় ঠাসা। বিপণিবিতানকেন্দ্রের মালিক হুজাইফা বলেন, ‘১০ রমাদান থেকে পাঞ্জাবির বিকিকিনি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। নতুন মডেলের তেমন কোনো পাঞ্জাবি আসেনি। যা এসেছে তার মধ্যে রয়েছে স্টার ও টপ টেন। স্টার পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং টপ টেন ১ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
এ ছাড়া খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, মশিউর রহমান বিপণিবিতান, এম রহমান চেম্বার, দরবেশ চেম্বার, রব সুপার মার্কেট, সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতানসহ ছোট মার্কেটগুলোতে দেশি তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এসব মার্কেটে বিক্রি ভালো বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া ডাকবাংলা মোড়, ক্লে রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, কেডি ঘোষ রোডে হকারদের দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অভিজাত নিউমার্কেটে বেচাকেনা কম। এখানকার ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। পোশাক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘লাখ লাখ টাকার পোশাক উঠিয়েও বিক্রি করতে পারছি না। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বিক্রি ভালো হবে।’
এদিকে নগরীর অধিকাংশ টেইলার্সে ১০ রোজার পরে অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট টেইলার্সগুলোতে এখনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। বড় এক টেইলার্সের মালিক ওমর ফারুক জানান, তিনি এখন অর্ডার নিচ্ছেন না।
ঈদের কেনাকাটায় খুলনার বিপণিবিতানগুলো জমে উঠেছে। তবে অভিজাত মার্কেটের চেয়ে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বেচাবিক্রি বাড়বে। এবার ভারতীয় পোশাককে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি পোশাক। নারীদের সাজ পোশাকের তালিকা বাজার দখল করেছে পাকিস্তানি থ্রি-পিস।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বড় বড় অভিজাত মার্কেটে ক্রেতা ভিড় দেখা গেলেও বেচাকেনা কম। দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ছোট ছোট মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি, সেই সঙ্গে বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা জানান, ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড় খুলনা শপিং সেন্টারে ক্রেতার চাপে ভেতরে প্রবেশ করা যেন দায়। দোকানে ক্রেতাদের সামাল দিতে মালিক ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। এসব দোকানে ইন্ডিয়ান পোশাকের সমারোহ কম দেখা গেলেও বেশি দেখা গেছে পাকিস্তানি পোষক। পোশাকগুলোর মধ্যে রয়েছে নুরস, মতিস, নিভাইস এবং তাওক্কাল থ্রি-পিস। উল্লেখিত এ পোশাকগুলো সাড়ে চার হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এক বিপণিবিতানের ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন হোসেন মিঠু বলেন, ক্রেতাদের আকর্ষণ এখন পাকিস্তানি পোশাকের প্রতি। টিস্যু এবং হালকা হওয়ার কারণে ক্রেতারা পাকিস্তানি পোশাক নিচ্ছেন বেশি।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বা ডিজাইনের যে আধিপত্য ছিল, তা এখন আর নেই। পাকিস্তান থেকে কিছু পণ্য এসেছে, তবে তা বড় আকারের নয়। পাকিস্তানি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। ভারতবিদ্বেষের কারণে সেখান থেকে তেমন পণ্য আসেনি। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের টেক্সটাইল খাত অনেক উন্নত। তাই ভারতীয় ডিজাইন ও কোয়ালিটির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দেশি কোম্পানিগুলো ভালো ভালো কাপড় তৈরি করছে। পাকিস্তানি পণ্যের পাশাপাশি দেশি কাপড়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
শিক্ষার্থী আইরিন ইসলাম বলেন, ‘খুলনা শপিং মলে দেড় ঘণ্টার মতো ঘুরে পাকিস্তানি পোশাক শারারা ও গারারা কিনেছি। এটি পাকিস্তানি পোশাক। বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে এ পোশাকটি পছন্দ করে কিনেছি।’
একই বিপণিকেন্দ্রের বিক্রয়কর্মী মো. রাজিব বলেন, ‘১০ রমাদানের পর থেকে বেচাকেনা বেশ ভালো হয়েছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা তত ভালো হচ্ছে। জিমিচু ফেব্রিকস এবং শারারা, গারারার বিক্রি বেশ ভালো। এ পোশাক কিনতে তরুণীদের বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। এসব পোশাক সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
অপর দিকে পাঞ্জাবির দোকানগুলোও ক্রেতায় ঠাসা। বিপণিবিতানকেন্দ্রের মালিক হুজাইফা বলেন, ‘১০ রমাদান থেকে পাঞ্জাবির বিকিকিনি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। নতুন মডেলের তেমন কোনো পাঞ্জাবি আসেনি। যা এসেছে তার মধ্যে রয়েছে স্টার ও টপ টেন। স্টার পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং টপ টেন ১ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
এ ছাড়া খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, মশিউর রহমান বিপণিবিতান, এম রহমান চেম্বার, দরবেশ চেম্বার, রব সুপার মার্কেট, সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতানসহ ছোট মার্কেটগুলোতে দেশি তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এসব মার্কেটে বিক্রি ভালো বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া ডাকবাংলা মোড়, ক্লে রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, কেডি ঘোষ রোডে হকারদের দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অভিজাত নিউমার্কেটে বেচাকেনা কম। এখানকার ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। পোশাক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘লাখ লাখ টাকার পোশাক উঠিয়েও বিক্রি করতে পারছি না। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বিক্রি ভালো হবে।’
এদিকে নগরীর অধিকাংশ টেইলার্সে ১০ রোজার পরে অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট টেইলার্সগুলোতে এখনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। বড় এক টেইলার্সের মালিক ওমর ফারুক জানান, তিনি এখন অর্ডার নিচ্ছেন না।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মাছে ভাইরাস সংক্রমণ আর বন্যার কারণে মাছচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, ভাইরাসের কারণে মাছ মরছে। সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার অনেক ঘের, পুকুর, খালের মাছ ভেসে যাচ্ছে। মাছচাষিরা দাবি করছেন, তাঁদের অন্তত কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
৯ মিনিট আগেঝিনাইদহের মহেশপুরে বাল্যবিয়ে হওয়া সেই ছাত্রী অবশেষে স্কুলে ফিরতে পেরেছে। আজ বুধবার সকালে স্বরূপপুর-কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করে সে। এতে খুশি তার সহপাঠী ও পরিবার।
২১ মিনিট আগেঅবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে বান্দরবানের লামায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের পরিবারের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মাসখানেক আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন আরও এক এমপির কাছ থেকে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩৯ মিনিট আগে