Ajker Patrika

বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কাটালেন প্রধান শিক্ষক

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরের ডুমুরখালী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ বুধবার নরসুন্দর ডেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর চুল কাটান প্রধান শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের মনিরামপুরের ডুমুরখালী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ বুধবার নরসুন্দর ডেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর চুল কাটান প্রধান শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের মনিরামপুরের ডুমুরখালী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আজ বুধবার বিদ্যালয় চলাকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, একজন নরসুন্দরকে বিদ্যালয় চত্বরে চেয়ারে বসিয়ে একজন ছাত্রের চুল কাটানো হচ্ছে। পাশে লাঠি হাতে একজন শিক্ষক চেয়ার পেতে বসে রয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্যালয়ের একজন কর্মচারীসহ কয়েক ছাত্র।

ডুমুরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলছেন, ‘ছাত্রদের অনেক দিন ধরে চুল কেটে আসতে বলছি। তারা কথা শুনছে না। তা ছাড়া অনেক গরিব ছাত্র রয়েছে। এ জন্য বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে বিভিন্ন শ্রেণির ১০ জন ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে নরসুন্দরকে ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।’

ভারপ্রাপ্ত এ প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, ছাত্ররা আনন্দের সঙ্গে চুল কাটিয়েছে। তাদের বা অভিভাবকদের এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। এলাকাবাসী এতে খুশি।

যদিও এ বিষয়ে কোনো ছাত্র বা তাদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। পরে স্থানীয় বাজারের নরসুন্দরকে ডেকে কয়েকজন ছাত্রের চুল কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি নরসুন্দরের পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছি।’

এদিকে বিদ্যালয় চত্বরে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে তাতে মন্তব্য করেছেন। এস এম তৌহিদুর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ, শিক্ষা খাতে একটা মহৎ কাজ উপহার দেওয়ার জন্য।’

আবু বক্কর সিদ্দিক নামের আরেকজন লেখেন, ‘সভাপতিসহ প্রতিষ্ঠানের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

আমির হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘কাজটা প্রশংসার দাবিদার। তবে বিষয়টি অভিভাবকেরা কীভাবে নেবেন, সেটা দেখার বিষয়।’

বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার বিষয়ে আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে নরসুন্দর না ডেকে ছাত্রদের নরসুন্দরের দোকানে পাঠিয়ে চুল কাটার ব্যবস্থা করতে পারতেন।

মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কাটার বিষয়টি ছাত্ররা ভালোভাবে নিলে কাজটা ভালো। আর জোর করে করালে তিনি ঠিক করেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত