Ajker Patrika

খুমেকে ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, সেবা ব্যাহত

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০১
খুমেকে ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, সেবা ব্যাহত

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), রেজিস্ট্রারসহ ৫১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে রোগীদের।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১৭ জন বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন।

অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় ওই ৫১ চিকিৎসক আজ বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেননি। এতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।

খুমেক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। এরপর তিনি দুটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আকতারুজ্জামানের সামনে দিয়ে তাঁকে চাপ ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাগজ দুটিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যার একটি ছিল আকতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি হলো তিনিসহ ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ চিকিৎসক কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নন।

এদিকে আজ দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদ হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণ–অবাঞ্ছিত কার্যক্রম সঠিক হয়নি। এতে হাসপাতালের শত শত মানুষের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যেসব চিকিৎসক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিরীহ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে বা যারা চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাদের সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে ঢালাওভাবে পদত্যাগ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপি সমর্থন করে না।’

এর আগে সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত অচল হয়ে যায়। বহির্বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ফিরে যায় চিকিৎসা না পেয়ে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরই মধ্যে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আর ৫১ চিকিৎসককেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসাসেবা।

সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর কক্ষের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর কক্ষের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর কক্ষের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর কক্ষের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. সুব্রত কুমার মণ্ডল, ২০৩ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর কক্ষের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর কক্ষের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর কক্ষের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর কক্ষের ডা. নিরুপম মণ্ডল, ২০৪ নম্বর কক্ষের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর কক্ষের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর কক্ষের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর কক্ষের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর কক্ষের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন।

নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কারণে তাঁরা হাসপাতালে আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া আন্তবিভাগে রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।

বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ‘ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে নির্ধারিত কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।’

প্রায় একই অভিযোগ ছিল আরও অন্তত ১০ জন রোগীর। যারা টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে না পেরে ফিরে গেছে।

এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তাঁদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সদ্য পদত্যাগে বাধ্য হওয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি গতকাল মঙ্গলবার কনফারেন্স রুমে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলে কয়েক শ মেডিকেল শিক্ষার্থী এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় বিভিন্ন গালি ও হুমকি দিয়ে জোর করে দুটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি আমার পদত্যাগ অন্যটি ৫১ জন চিকিৎসকের অবাঞ্ছিত ঘোষণা। আসলে সরকারি চাকরি করি কখনো কোনো দল করি নাই। এখন এভাবে লাঞ্ছিত হতে হলে কীভাবে চাকরি করব।’

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, ‘হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মোট ৫১ জন চিকিৎসককে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাঁদের হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এই ৫১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় দুই বাড়িতে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি

খুলনা প্রতিনিধি
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরীর দৌলতপুরের কার্তিক কূলে ও পশ্চিম পাড়ার খুঁটির ঘাট এলাকার দুটি বাড়িতে ফাঁকা গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে দুই বাড়িতে গুলি করা হয়। এর মধ্যে কুয়েট কর্মচারী হিটুর বাড়িতে ৬টি এবং ‘মাদক কারবারি’ কানা মেহেদির বাড়িতে ৯টি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। কে বা কারা এই গুলি ছুড়েছে, তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।

বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চারটি মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট পরিহিত বেশ কিছু যুবক বাড়ির প্রধান ফটকের একটু সামনে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কয়েকজন প্রধান ফটক দিয়ে মহসিন লিটুর রুম লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই সময় লিটু ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য পাশের মসজিদে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম বলেন, কুয়েটের কর্মচারী মহসিন লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মেহেদির বাড়িতেও ৯টি গুলি করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫ বছরেও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণ, কমনরুম ও ল্যাবে ক্লাস

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এত শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ, কিন্তু বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে আছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিস।

ঝিনাইদহ-২
ঝিনাইদহ-২

কক্ষসংকট দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে কিছু কাজ হলেও একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এখন কাজটি পুনরায় টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এদিকে কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলছে বিকল্প কক্ষে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কক্ষ মাত্র ১৪টি। ফলে পাঠদান করতে হচ্ছে ল্যাব, কমনরুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।’

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও বারবার বন্ধ রেখেছিল। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করেনি। নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ অক্টোবর ২০২১, কিন্তু তারা কাজ ফেলে রাখায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার করে নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পবিপ্রবি: নবনির্মিত শেডে উদ্বোধনের আগেই ফাটল, কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন

পবিপ্রবি সংবাদদাতা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে বাসশেডের স্ল্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।

এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালালেন প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশন

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত