ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছায় এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে গমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ। মণপ্রতি গমের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা। কৃষকের অভিযোগ, গত বছর যে গমের দাম ছিল ২ হাজার টাকা, এবার তা ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি গম ৩০, ৩৩, বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের চাষ বেশি হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্লাস্টের কারণে গম চাষ নিষিদ্ধের আগে এ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হতো। গত দুই-তিন মৌসুমে আবার কৃষকেরা এই আবাদে ফিরেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ মাঠে গম কাটা হয়ে গেছে। অনেকে কেটে-ঝেড়ে গম বিক্রিও করেছেন। রোজার মাস চলায় ও ঈদ ঘনিয়ে আসায় কেনাকাটার প্রয়োজনে লোকসানেই গম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। বর্তমান যে বাজারদর, তাতে গত বছরের তুলনায় অনেক কম দামে গম বিক্রি করে চাষিরা লোকসান গুনছেন।
কথা হয় উপজেলার বল্লা গ্রামের ইজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলাম। খেতে চাষ দেওয়া, বীজ বপন, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, কীটনাশক দেওয়া, কাটা-বাঁধা, ঝাড়াসহ সাড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাড়ে ১১ মণ গম পেয়েছি। ১ হাজার ৩০০ টাকা করে মণ বিক্রি করেছি। তাতে যে টাকা হয়েছে, নিজের জমি তাই পিঠ বেঁচেছে। অথচ গতবারও ২ হাজার টাকা মণ পেয়েছিলাম।’
উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২১ শতক জমিতে ১৩ মণ গম পেয়েছি, যা আগে কখনো হয়নি। কিন্তু দাম কম থাকায় বিক্রি করিনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর তিনটি কারণে গমের ফলন ভালো হয়েছে। প্রধানত এই মৌসুমে মধ্য জানুয়ারিতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল, তাতে গমের উপকার হয়েছে। তা ছাড়া শীত বেশি দিন পড়েছে, তাতে গমের ফলন ভালো হয়েছে এবং এ বছর অধিকাংশ কৃষক বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের গম চাষ করেছেন। এই জাতের গম ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী।’
যশোরের ঝিকরগাছায় এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে গমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ। মণপ্রতি গমের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা। কৃষকের অভিযোগ, গত বছর যে গমের দাম ছিল ২ হাজার টাকা, এবার তা ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি গম ৩০, ৩৩, বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের চাষ বেশি হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্লাস্টের কারণে গম চাষ নিষিদ্ধের আগে এ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হতো। গত দুই-তিন মৌসুমে আবার কৃষকেরা এই আবাদে ফিরেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ মাঠে গম কাটা হয়ে গেছে। অনেকে কেটে-ঝেড়ে গম বিক্রিও করেছেন। রোজার মাস চলায় ও ঈদ ঘনিয়ে আসায় কেনাকাটার প্রয়োজনে লোকসানেই গম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। বর্তমান যে বাজারদর, তাতে গত বছরের তুলনায় অনেক কম দামে গম বিক্রি করে চাষিরা লোকসান গুনছেন।
কথা হয় উপজেলার বল্লা গ্রামের ইজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলাম। খেতে চাষ দেওয়া, বীজ বপন, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, কীটনাশক দেওয়া, কাটা-বাঁধা, ঝাড়াসহ সাড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাড়ে ১১ মণ গম পেয়েছি। ১ হাজার ৩০০ টাকা করে মণ বিক্রি করেছি। তাতে যে টাকা হয়েছে, নিজের জমি তাই পিঠ বেঁচেছে। অথচ গতবারও ২ হাজার টাকা মণ পেয়েছিলাম।’
উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২১ শতক জমিতে ১৩ মণ গম পেয়েছি, যা আগে কখনো হয়নি। কিন্তু দাম কম থাকায় বিক্রি করিনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর তিনটি কারণে গমের ফলন ভালো হয়েছে। প্রধানত এই মৌসুমে মধ্য জানুয়ারিতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল, তাতে গমের উপকার হয়েছে। তা ছাড়া শীত বেশি দিন পড়েছে, তাতে গমের ফলন ভালো হয়েছে এবং এ বছর অধিকাংশ কৃষক বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের গম চাষ করেছেন। এই জাতের গম ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে