Ajker Patrika

ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় হাসি নেই গমচাষিদের মুখে

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৩: ৪৮
Thumbnail image

যশোরের ঝিকরগাছায় এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে গমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ। মণপ্রতি গমের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন তাঁরা। কৃষকের অভিযোগ, গত বছর যে গমের দাম ছিল ২ হাজার টাকা, এবার তা ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি গম ৩০, ৩৩, বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের চাষ বেশি হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্লাস্টের কারণে গম চাষ নিষিদ্ধের আগে এ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হতো। গত দুই-তিন মৌসুমে আবার কৃষকেরা এই আবাদে ফিরেছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ মাঠে গম কাটা হয়ে গেছে। অনেকে কেটে-ঝেড়ে গম বিক্রিও করেছেন। রোজার মাস চলায় ও ঈদ ঘনিয়ে আসায় কেনাকাটার প্রয়োজনে লোকসানেই গম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। বর্তমান যে বাজারদর, তাতে গত বছরের তুলনায় অনেক কম দামে গম বিক্রি করে চাষিরা লোকসান গুনছেন। 

কথা হয় উপজেলার বল্লা গ্রামের ইজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলাম। খেতে চাষ দেওয়া, বীজ বপন, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, কীটনাশক দেওয়া, কাটা-বাঁধা, ঝাড়াসহ সাড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাড়ে ১১ মণ গম পেয়েছি। ১ হাজার ৩০০ টাকা করে মণ বিক্রি করেছি। তাতে যে টাকা হয়েছে, নিজের জমি তাই পিঠ বেঁচেছে। অথচ গতবারও ২ হাজার টাকা মণ পেয়েছিলাম।’ 

উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২১ শতক জমিতে ১৩ মণ গম পেয়েছি, যা আগে কখনো হয়নি। কিন্তু দাম কম থাকায় বিক্রি করিনি।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর তিনটি কারণে গমের ফলন ভালো হয়েছে। প্রধানত এই মৌসুমে মধ্য জানুয়ারিতে বৃষ্টিপাত হয়েছিল, তাতে গমের উপকার হয়েছে। তা ছাড়া শীত বেশি দিন পড়েছে, তাতে গমের ফলন ভালো হয়েছে এবং এ বছর অধিকাংশ কৃষক বি-ডব্লিউএমআরআই-৩ জাতের গম চাষ করেছেন। এই জাতের গম ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত