খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের (ভিসি) পদত্যাগের এক দফা দাবির পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা। আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে উপাচার্যকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন দমাতে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ছয়টি আবাসিক হলে ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টায় দুর্বার বাংলার পাদদেশে জড়ো হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তাঁরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘মেক কুয়েট ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এই ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ভিসি ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বন্ধ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি। এই ভিসিকে অপসারণ আমাদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
সমাবেশ থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হন। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এর প্রতিবাদে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও আগামী ২ মে আবাসিক হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গতকাল ছয়টি আবাসিক ভবনের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ সেন্টারের সামনে অবস্থান করছেন।
এদিকে বেলা ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মৌন মিছিল করেন। তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।
এ সময় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপাচার্যকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানান।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের (ভিসি) পদত্যাগের এক দফা দাবির পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা। আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে উপাচার্যকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন দমাতে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ছয়টি আবাসিক হলে ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টায় দুর্বার বাংলার পাদদেশে জড়ো হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তাঁরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘মেক কুয়েট ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এই ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ভিসি ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বন্ধ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি। এই ভিসিকে অপসারণ আমাদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
সমাবেশ থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হন। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এর প্রতিবাদে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও আগামী ২ মে আবাসিক হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গতকাল ছয়টি আবাসিক ভবনের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ সেন্টারের সামনে অবস্থান করছেন।
এদিকে বেলা ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মৌন মিছিল করেন। তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।
এ সময় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপাচার্যকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানান।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৩ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৩ ঘণ্টা আগে