চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মেয়ে তাজিন জান্নাত ইরা। পরপর দুটি বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—দৃঢ় মনোবল আর পারিবারিক সমর্থন থাকলে কোনো বাধাই গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে বাধা হতে পারে না। ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে এবং সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।
মৃত আলী হোসেন এবং মোছা. সেলিনা বেগমের বড় মেয়ে ইরা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানার শ্যামপুর গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলাম জনির স্ত্রী। তার এই সাফল্যের পেছনের গল্প, প্রস্তুতি কৌশল ও অনুপ্রেরণা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।’
ইরা তার বিসিএস-এর স্বপ্নযাত্রার শুরুটা তুলে ধরেন গভীর আবেগ নিয়ে। তার বাবা চাইতেন, তার মেয়ে আরও দশটা মেয়ের আদর্শ হবে। বাবা বলতেন, ‘মানুষ ছেলের পেছনে টাকা বিনিয়োগ করে, আর আমি মেয়েকে মানুষ করে দেখাবো মেয়েরাও পারে’।’ কিন্তু খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর সেই স্বপ্নের হাল ধরেন তার মা।
তাজিন জান্নাত ইরা বলেন, ‘আমার মা বাবার স্বপ্নটা আমার চোখে আঁকতেন। যা আমি পারি না, মা সেটাও বলে আমার মেয়ে পারবেই। আমার প্রতি মায়ের বিশ্বাস এবং আমাদের জন্য করা কষ্টগুলো আমাকে পড়াশোনায় উৎসাহী করে তুলতো। এইচএসসির রেজাল্টের পর বিয়ে হয়, যখন স্বামীকে আমার স্বপ্নের কথা জানাই, তখন অনেকেই তাকে নিরুৎসাহিত করতো। তবুও কারো কথা কানে না নিয়ে সে পাশে থেকেছে। সে শুধু আমার জীবনসঙ্গী না, সে আমার সহযোদ্ধা। আমার প্রতি মা এবং স্বামীর বিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় পরিশ্রমী করে তুলেছিল এবং আমি জানতাম আমাকে পারতেই হবে।”
ইরা তার প্রস্তুতিতে লিখিত পরীক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার ওপর নির্ভর করে।’ প্রথমে তিনি সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিয়ে গুরুত্বের ভিত্তিতে একটি রুটিন তৈরি করেন। বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারের ভিত্তি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি। নিয়মিত অল্প অল্প করে ভোকাবুলারি পড়তেন এবং নোট করতেন, যা পরের দিন রিভাইজ দেওয়ার মাধ্যমে ঝালাই করতেন। পড়া ভুলে যাওয়ার সমস্যা কাটাতে তিনি প্রচুর লিখতেন। কঠিন বিষয়গুলো কয়েকবার দেখে দেখে লিখলেই মুখস্থ হতে থাকতো। ভুল হলে আবার দেখে নিতেন। যে বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেগুলোর জন্য ইউটিউবকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। টপিক ধরে সার্চ করে ভালো লেকচার দেখে ধারণাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে নিতেন।
তিনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে জানান, ‘অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি বিসিএস-এর জন্য অল্প অল্প করে পড়তেন। তাই চতুর্থ বর্ষের আগেই তার সিলেবাস মোটামুটি শেষ হয়েছিল। এর ফলে তিনি লিখিত প্রস্তুতির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছিলেন, যা লেখার গতি বৃদ্ধি এবং ভুল বুঝতে সহায়ক হয়েছে।’
বিসিএস-এর আগে তাজিন জান্নাত ইরা বাংলাদেশ ব্যাংক এডি (সহকারী পরিচালক) পদে কেবল একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। এবং তিনি সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরিও পেয়েছিলেন। নবীন বিসিএস প্রার্থীদের জন্য ইরার পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি পড়া শেষ হলো, সেইটা নিয়মিত রিভাইজ দিতে হবে। নিয়মিত নিজে নিজেই ঘড়ির টাইম ধরে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে পরীক্ষাতে সময়ের ব্যাপারটা আয়ত্ব হবে, আবার ভুলগুলোও বুঝতে পারবেন। কয়েকদিন পড়াশোনা না করে একদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়ে হবে না, নিয়মিত ৫-৬ ঘণ্টা পড়তে হবে।’

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মেয়ে তাজিন জান্নাত ইরা। পরপর দুটি বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—দৃঢ় মনোবল আর পারিবারিক সমর্থন থাকলে কোনো বাধাই গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে বাধা হতে পারে না। ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে এবং সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।
মৃত আলী হোসেন এবং মোছা. সেলিনা বেগমের বড় মেয়ে ইরা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানার শ্যামপুর গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলাম জনির স্ত্রী। তার এই সাফল্যের পেছনের গল্প, প্রস্তুতি কৌশল ও অনুপ্রেরণা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।’
ইরা তার বিসিএস-এর স্বপ্নযাত্রার শুরুটা তুলে ধরেন গভীর আবেগ নিয়ে। তার বাবা চাইতেন, তার মেয়ে আরও দশটা মেয়ের আদর্শ হবে। বাবা বলতেন, ‘মানুষ ছেলের পেছনে টাকা বিনিয়োগ করে, আর আমি মেয়েকে মানুষ করে দেখাবো মেয়েরাও পারে’।’ কিন্তু খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর সেই স্বপ্নের হাল ধরেন তার মা।
তাজিন জান্নাত ইরা বলেন, ‘আমার মা বাবার স্বপ্নটা আমার চোখে আঁকতেন। যা আমি পারি না, মা সেটাও বলে আমার মেয়ে পারবেই। আমার প্রতি মায়ের বিশ্বাস এবং আমাদের জন্য করা কষ্টগুলো আমাকে পড়াশোনায় উৎসাহী করে তুলতো। এইচএসসির রেজাল্টের পর বিয়ে হয়, যখন স্বামীকে আমার স্বপ্নের কথা জানাই, তখন অনেকেই তাকে নিরুৎসাহিত করতো। তবুও কারো কথা কানে না নিয়ে সে পাশে থেকেছে। সে শুধু আমার জীবনসঙ্গী না, সে আমার সহযোদ্ধা। আমার প্রতি মা এবং স্বামীর বিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় পরিশ্রমী করে তুলেছিল এবং আমি জানতাম আমাকে পারতেই হবে।”
ইরা তার প্রস্তুতিতে লিখিত পরীক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার ওপর নির্ভর করে।’ প্রথমে তিনি সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিয়ে গুরুত্বের ভিত্তিতে একটি রুটিন তৈরি করেন। বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারের ভিত্তি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি। নিয়মিত অল্প অল্প করে ভোকাবুলারি পড়তেন এবং নোট করতেন, যা পরের দিন রিভাইজ দেওয়ার মাধ্যমে ঝালাই করতেন। পড়া ভুলে যাওয়ার সমস্যা কাটাতে তিনি প্রচুর লিখতেন। কঠিন বিষয়গুলো কয়েকবার দেখে দেখে লিখলেই মুখস্থ হতে থাকতো। ভুল হলে আবার দেখে নিতেন। যে বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেগুলোর জন্য ইউটিউবকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। টপিক ধরে সার্চ করে ভালো লেকচার দেখে ধারণাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে নিতেন।
তিনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে জানান, ‘অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি বিসিএস-এর জন্য অল্প অল্প করে পড়তেন। তাই চতুর্থ বর্ষের আগেই তার সিলেবাস মোটামুটি শেষ হয়েছিল। এর ফলে তিনি লিখিত প্রস্তুতির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছিলেন, যা লেখার গতি বৃদ্ধি এবং ভুল বুঝতে সহায়ক হয়েছে।’
বিসিএস-এর আগে তাজিন জান্নাত ইরা বাংলাদেশ ব্যাংক এডি (সহকারী পরিচালক) পদে কেবল একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। এবং তিনি সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরিও পেয়েছিলেন। নবীন বিসিএস প্রার্থীদের জন্য ইরার পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি পড়া শেষ হলো, সেইটা নিয়মিত রিভাইজ দিতে হবে। নিয়মিত নিজে নিজেই ঘড়ির টাইম ধরে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে পরীক্ষাতে সময়ের ব্যাপারটা আয়ত্ব হবে, আবার ভুলগুলোও বুঝতে পারবেন। কয়েকদিন পড়াশোনা না করে একদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়ে হবে না, নিয়মিত ৫-৬ ঘণ্টা পড়তে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মেয়ে তাজিন জান্নাত ইরা। পরপর দুটি বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—দৃঢ় মনোবল আর পারিবারিক সমর্থন থাকলে কোনো বাধাই গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে বাধা হতে পারে না। ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে এবং সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।
মৃত আলী হোসেন এবং মোছা. সেলিনা বেগমের বড় মেয়ে ইরা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানার শ্যামপুর গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলাম জনির স্ত্রী। তার এই সাফল্যের পেছনের গল্প, প্রস্তুতি কৌশল ও অনুপ্রেরণা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।’
ইরা তার বিসিএস-এর স্বপ্নযাত্রার শুরুটা তুলে ধরেন গভীর আবেগ নিয়ে। তার বাবা চাইতেন, তার মেয়ে আরও দশটা মেয়ের আদর্শ হবে। বাবা বলতেন, ‘মানুষ ছেলের পেছনে টাকা বিনিয়োগ করে, আর আমি মেয়েকে মানুষ করে দেখাবো মেয়েরাও পারে’।’ কিন্তু খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর সেই স্বপ্নের হাল ধরেন তার মা।
তাজিন জান্নাত ইরা বলেন, ‘আমার মা বাবার স্বপ্নটা আমার চোখে আঁকতেন। যা আমি পারি না, মা সেটাও বলে আমার মেয়ে পারবেই। আমার প্রতি মায়ের বিশ্বাস এবং আমাদের জন্য করা কষ্টগুলো আমাকে পড়াশোনায় উৎসাহী করে তুলতো। এইচএসসির রেজাল্টের পর বিয়ে হয়, যখন স্বামীকে আমার স্বপ্নের কথা জানাই, তখন অনেকেই তাকে নিরুৎসাহিত করতো। তবুও কারো কথা কানে না নিয়ে সে পাশে থেকেছে। সে শুধু আমার জীবনসঙ্গী না, সে আমার সহযোদ্ধা। আমার প্রতি মা এবং স্বামীর বিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় পরিশ্রমী করে তুলেছিল এবং আমি জানতাম আমাকে পারতেই হবে।”
ইরা তার প্রস্তুতিতে লিখিত পরীক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার ওপর নির্ভর করে।’ প্রথমে তিনি সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিয়ে গুরুত্বের ভিত্তিতে একটি রুটিন তৈরি করেন। বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারের ভিত্তি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি। নিয়মিত অল্প অল্প করে ভোকাবুলারি পড়তেন এবং নোট করতেন, যা পরের দিন রিভাইজ দেওয়ার মাধ্যমে ঝালাই করতেন। পড়া ভুলে যাওয়ার সমস্যা কাটাতে তিনি প্রচুর লিখতেন। কঠিন বিষয়গুলো কয়েকবার দেখে দেখে লিখলেই মুখস্থ হতে থাকতো। ভুল হলে আবার দেখে নিতেন। যে বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেগুলোর জন্য ইউটিউবকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। টপিক ধরে সার্চ করে ভালো লেকচার দেখে ধারণাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে নিতেন।
তিনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে জানান, ‘অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি বিসিএস-এর জন্য অল্প অল্প করে পড়তেন। তাই চতুর্থ বর্ষের আগেই তার সিলেবাস মোটামুটি শেষ হয়েছিল। এর ফলে তিনি লিখিত প্রস্তুতির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছিলেন, যা লেখার গতি বৃদ্ধি এবং ভুল বুঝতে সহায়ক হয়েছে।’
বিসিএস-এর আগে তাজিন জান্নাত ইরা বাংলাদেশ ব্যাংক এডি (সহকারী পরিচালক) পদে কেবল একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। এবং তিনি সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরিও পেয়েছিলেন। নবীন বিসিএস প্রার্থীদের জন্য ইরার পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি পড়া শেষ হলো, সেইটা নিয়মিত রিভাইজ দিতে হবে। নিয়মিত নিজে নিজেই ঘড়ির টাইম ধরে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে পরীক্ষাতে সময়ের ব্যাপারটা আয়ত্ব হবে, আবার ভুলগুলোও বুঝতে পারবেন। কয়েকদিন পড়াশোনা না করে একদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়ে হবে না, নিয়মিত ৫-৬ ঘণ্টা পড়তে হবে।’

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মেয়ে তাজিন জান্নাত ইরা। পরপর দুটি বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—দৃঢ় মনোবল আর পারিবারিক সমর্থন থাকলে কোনো বাধাই গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে বাধা হতে পারে না। ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে এবং সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।
মৃত আলী হোসেন এবং মোছা. সেলিনা বেগমের বড় মেয়ে ইরা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানার শ্যামপুর গ্রামের মো. খাদেমুল ইসলাম জনির স্ত্রী। তার এই সাফল্যের পেছনের গল্প, প্রস্তুতি কৌশল ও অনুপ্রেরণা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।’
ইরা তার বিসিএস-এর স্বপ্নযাত্রার শুরুটা তুলে ধরেন গভীর আবেগ নিয়ে। তার বাবা চাইতেন, তার মেয়ে আরও দশটা মেয়ের আদর্শ হবে। বাবা বলতেন, ‘মানুষ ছেলের পেছনে টাকা বিনিয়োগ করে, আর আমি মেয়েকে মানুষ করে দেখাবো মেয়েরাও পারে’।’ কিন্তু খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর সেই স্বপ্নের হাল ধরেন তার মা।
তাজিন জান্নাত ইরা বলেন, ‘আমার মা বাবার স্বপ্নটা আমার চোখে আঁকতেন। যা আমি পারি না, মা সেটাও বলে আমার মেয়ে পারবেই। আমার প্রতি মায়ের বিশ্বাস এবং আমাদের জন্য করা কষ্টগুলো আমাকে পড়াশোনায় উৎসাহী করে তুলতো। এইচএসসির রেজাল্টের পর বিয়ে হয়, যখন স্বামীকে আমার স্বপ্নের কথা জানাই, তখন অনেকেই তাকে নিরুৎসাহিত করতো। তবুও কারো কথা কানে না নিয়ে সে পাশে থেকেছে। সে শুধু আমার জীবনসঙ্গী না, সে আমার সহযোদ্ধা। আমার প্রতি মা এবং স্বামীর বিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় পরিশ্রমী করে তুলেছিল এবং আমি জানতাম আমাকে পারতেই হবে।”
ইরা তার প্রস্তুতিতে লিখিত পরীক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার ওপর নির্ভর করে।’ প্রথমে তিনি সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিয়ে গুরুত্বের ভিত্তিতে একটি রুটিন তৈরি করেন। বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারের ভিত্তি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি। নিয়মিত অল্প অল্প করে ভোকাবুলারি পড়তেন এবং নোট করতেন, যা পরের দিন রিভাইজ দেওয়ার মাধ্যমে ঝালাই করতেন। পড়া ভুলে যাওয়ার সমস্যা কাটাতে তিনি প্রচুর লিখতেন। কঠিন বিষয়গুলো কয়েকবার দেখে দেখে লিখলেই মুখস্থ হতে থাকতো। ভুল হলে আবার দেখে নিতেন। যে বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেগুলোর জন্য ইউটিউবকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। টপিক ধরে সার্চ করে ভালো লেকচার দেখে ধারণাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে নিতেন।
তিনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে জানান, ‘অনার্স প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি বিসিএস-এর জন্য অল্প অল্প করে পড়তেন। তাই চতুর্থ বর্ষের আগেই তার সিলেবাস মোটামুটি শেষ হয়েছিল। এর ফলে তিনি লিখিত প্রস্তুতির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছিলেন, যা লেখার গতি বৃদ্ধি এবং ভুল বুঝতে সহায়ক হয়েছে।’
বিসিএস-এর আগে তাজিন জান্নাত ইরা বাংলাদেশ ব্যাংক এডি (সহকারী পরিচালক) পদে কেবল একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। এবং তিনি সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরিও পেয়েছিলেন। নবীন বিসিএস প্রার্থীদের জন্য ইরার পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি পড়া শেষ হলো, সেইটা নিয়মিত রিভাইজ দিতে হবে। নিয়মিত নিজে নিজেই ঘড়ির টাইম ধরে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে পরীক্ষাতে সময়ের ব্যাপারটা আয়ত্ব হবে, আবার ভুলগুলোও বুঝতে পারবেন। কয়েকদিন পড়াশোনা না করে একদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়ে হবে না, নিয়মিত ৫-৬ ঘণ্টা পড়তে হবে।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
২৪ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত বেল্লাল বরিশাল সদর উপজেলার পশ্চিম চর আইচা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। নিহত বেল্লালের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বেল্লালের বাবা শাহ আলম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (২৬) ও সাদিয়া (২৪)। পলাতক দুজন হলেন পলাশপুর বস্তির রিপন রানা এবং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সবুজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে বেল্লালের লাশ সিঁড়ি বেয়ে নামাচ্ছিলেন এক যুবকসহ চার তরুণ-তরুণী। পরে তাঁরা লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সরে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা মো. টিপু বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর ভাড়া করা একটি রুমে প্রতিদিন কয়েকজন মদ্যপান করতেন। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপানের একপর্যায়ে বেল্লালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।
নিহত ব্যক্তির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেল্লালের শরীরে মারধর ও পোড়ার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত চলছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেল্লালের শরীরে পোড়া দাগ আছে। মনে হচ্ছে, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত বেল্লাল বরিশাল সদর উপজেলার পশ্চিম চর আইচা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। নিহত বেল্লালের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বেল্লালের বাবা শাহ আলম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (২৬) ও সাদিয়া (২৪)। পলাতক দুজন হলেন পলাশপুর বস্তির রিপন রানা এবং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সবুজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে বেল্লালের লাশ সিঁড়ি বেয়ে নামাচ্ছিলেন এক যুবকসহ চার তরুণ-তরুণী। পরে তাঁরা লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সরে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা মো. টিপু বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর ভাড়া করা একটি রুমে প্রতিদিন কয়েকজন মদ্যপান করতেন। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপানের একপর্যায়ে বেল্লালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।
নিহত ব্যক্তির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেল্লালের শরীরে মারধর ও পোড়ার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত চলছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেল্লালের শরীরে পোড়া দাগ আছে। মনে হচ্ছে, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল।

আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক...
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান (২৮) এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কোটালীপাড়া গ্রামের রুকন উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) নিজেদের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে তাঁরা আর্থিক সুবিধা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। পরে মনসুরনগর ইউনিয়নে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
রাজনগর থানার এএসআই হৃদয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান (২৮) এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কোটালীপাড়া গ্রামের রুকন উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) নিজেদের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে তাঁরা আর্থিক সুবিধা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। পরে মনসুরনগর ইউনিয়নে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
রাজনগর থানার এএসআই হৃদয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক...
৩ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
২৪ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান মাসুদের স্ত্রী সান্ত্বনা খাতুনকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সায়মা আক্তার ছাবা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। আশপাশের পুকুর, বাড়িসহ সব জায়গায় খুঁজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন মাইকিং করা হয়েছে। পরে রাতে সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী সান্ত্বনা খাতুনের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মেয়ে ঘুম থেকে তুলে আমার মুখে চুমু দেয়। আর বলে আব্বু কাজে যাবা না? আমার জন্য মিষ্টি কিনে আনতে হবে না। তার কথা শুনে আমি দ্রুত উঠে পড়ি। পরে ভ্যান নিয়ে কাজে বের হওয়ার সময় মেয়েকে ভ্যানে চড়িয়ে একটু ঘুরিয়ে নামিয়ে দিই। পরে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে বলেছে, আম্মু তুমি ভাত রান্না করো। রান্না শেষে আমাকে ডাক দিয়ো, আমি বাইরে খেলছি। পরে আমার স্ত্রী মেয়েকে ডাক দিয়ে আর পায় না; তখন আমার ছেলে আমাকে জানায় ছাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরসহ আশপাশের সব জায়গায় খুঁজে কোথাও পাইনি। পরে থানায় জিডি করি, মাইকিং করি। তবু মেয়েকে পাই না। পরে আমি প্রতিবেশী আখতারুজ্জামান মাসুদের বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন মাসুদের স্ত্রী আমাকে জানায়, আমার মেয়ে তাদের বাড়িতে যায়নি। আমার সন্দেহ হলো। পাড়ার সবাই আমার মেয়েকে খুঁজছে, কিন্তু মাসুদের স্ত্রী আসছে না, কোনো খোঁজও করছে না। পরে রাতে পুকুরপাড়ে আবারও যাই, সে সময় দেখি মাসুদের স্ত্রী একটি বস্তা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে; তখন আমি চিৎকার দিলে সে আবার ঘরে দৌড়ে চলে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’
ঝিনাইদহ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাটা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। রাতে আমরা খবর পাই সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশীর বাড়িতে মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনা কী ঘটেছে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য আসামিকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান মাসুদের স্ত্রী সান্ত্বনা খাতুনকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সায়মা আক্তার ছাবা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। আশপাশের পুকুর, বাড়িসহ সব জায়গায় খুঁজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন মাইকিং করা হয়েছে। পরে রাতে সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী সান্ত্বনা খাতুনের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মেয়ে ঘুম থেকে তুলে আমার মুখে চুমু দেয়। আর বলে আব্বু কাজে যাবা না? আমার জন্য মিষ্টি কিনে আনতে হবে না। তার কথা শুনে আমি দ্রুত উঠে পড়ি। পরে ভ্যান নিয়ে কাজে বের হওয়ার সময় মেয়েকে ভ্যানে চড়িয়ে একটু ঘুরিয়ে নামিয়ে দিই। পরে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে বলেছে, আম্মু তুমি ভাত রান্না করো। রান্না শেষে আমাকে ডাক দিয়ো, আমি বাইরে খেলছি। পরে আমার স্ত্রী মেয়েকে ডাক দিয়ে আর পায় না; তখন আমার ছেলে আমাকে জানায় ছাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরসহ আশপাশের সব জায়গায় খুঁজে কোথাও পাইনি। পরে থানায় জিডি করি, মাইকিং করি। তবু মেয়েকে পাই না। পরে আমি প্রতিবেশী আখতারুজ্জামান মাসুদের বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন মাসুদের স্ত্রী আমাকে জানায়, আমার মেয়ে তাদের বাড়িতে যায়নি। আমার সন্দেহ হলো। পাড়ার সবাই আমার মেয়েকে খুঁজছে, কিন্তু মাসুদের স্ত্রী আসছে না, কোনো খোঁজও করছে না। পরে রাতে পুকুরপাড়ে আবারও যাই, সে সময় দেখি মাসুদের স্ত্রী একটি বস্তা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে; তখন আমি চিৎকার দিলে সে আবার ঘরে দৌড়ে চলে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’
ঝিনাইদহ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাটা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। রাতে আমরা খবর পাই সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশীর বাড়িতে মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনা কী ঘটেছে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য আসামিকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক...
৩ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
২৪ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

আকর্ষণীয় একাডেমিক ফলাফলের অধিকারী ইরা তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘আমি এসএসসিতে ৪.৭৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এলএলবি ও এলএলএমে আমার সিজিপিএ ছিল ৪। শিক্ষাজীবনে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছি। কবিতা লেখা এবং আবৃত্তির প্রতি আমার ঝোঁক ছিল, যার জন্য জেলাভিত্তিক...
৩ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
২৪ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে