খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর সাবেক স্ত্রী জান্নাতী খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে গত রোববার (২৭ এপ্রিল) জান্নাতী খাতুন মিতু তাঁর সাবেক স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৭ সালে তালাক দেওয়া আমার স্ত্রী খুলনায় আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য তুলে ধরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছের। আমাদের প্রপার্টি রিলেটেড পারিবারিক বিবাদের জেরে আমার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদের প্ররোচনায় আমার সাবেক স্ত্রী জান্নাতী খাতুন মিতু এই সংবাদ সম্মেলনটি করেন।
আল মামুন বলেন, ‘জান্নাতী খাতুন মিতু খালিশপুর হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন। তাঁর বাবার নাম মইনুল ইসলাম। খুলনা রেলওয়ে মার্কেটে তাঁর একটি ইলেকট্রনিকের দোকান ছিল। সেখানে তিনি দোকানদারি করতেন। ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে আমি মিতুকে বিয়ে করি। বিয়ের শুরু থেকেই তিনি উগ্র, উচ্ছৃঙ্খল এবং অবাধ্য। তাঁর কারণে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। ২০১৭ সালে আমি তাঁকে তালাক প্রদান করি।’
অন্যদিকে গত রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মিতু অভিযোগ করেন, মিউনিসিপ্যাল ট্রাঙ্ক রোডনিবাসী এম এ কুদ্দুসের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার স্বামী একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। বিদেশি জাহাজে উচ্চ বেতনে কর্মরত। তাঁর পছন্দের কারণে আমি চাকরি না করে সংসার জীবন শুরু করি। মামুনের ঔরসে ও আমার গর্ভে তিন সন্তান জন্ম নেয়। বড় ছেলে (১৪) খুলনা জিলা স্কুলে, ছোট ছেলে (৮) সেন্ট জোসেফ স্কুলে ও মেয়ে (৫) স্কুলে লেখাপড়া করছে। স্বামী চাকরিসূত্রে বছরের অর্ধেক সময় জাহাজে, বাকি অর্ধেক সময় আমাদের সঙ্গে থাকত।’
লিখিত বক্তব্যে মিতু বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে টের পাই আমার স্বামী পর নারীতে আসক্ত। অনেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সংসার ও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি তাঁকে সংশোধন করার চেষ্টা করি। কিন্তু কথায় কথায় তিনি গালাগাল এবং আমাকে মারধর করতেন। নির্যাতন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, একবার আমাকে দুই ছেলে নিয়ে ৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
২০২১ সালে আমার স্বামী তাঁর ভগ্নিপতির খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর আমি তাঁর সংসার ছেড়ে নাবালক তিন সন্তান নিয়ে খালিশপুরে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হই। কিন্তু আমার সন্তানেরা বিশেষত বড় ছেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কারণ বাবার সঙ্গে ওর ছিল সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। সে সবসময় তার বাবার কথা বলত এবং নানাবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে যেতে চাইত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘খালিশপুরে বসবাস করলেও আমার তিন সন্তান খুলনায় স্কুল ও কোচিং করে। যে কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা খুলনায় কাটাই। স্কুল ও কোচিং সেন্টার থেকে আমার ছেলের বাবার বাড়ি ট্রাঙ্ক রোড খুবই কাছে হওয়ায় সে প্রায়ই বাবাকে একবার দেখার জন্য ওই বাসায় যেতে চাইত। গত ১২ নভেম্বর আমার তিন ছেলেমেয়ে বিকেলে পড়া শেষে ট্রাঙ্ক রোডের বাসায় যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র আমার স্বামী, তাঁর নতুন স্ত্রী ও বাসার কর্মচারীরা আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও একপর্যায়ে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে গেলে আমাকেও বেদম মারধর করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার পেয়ে খুলনা সদর থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গেলে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন।’
খুলনায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর সাবেক স্ত্রী জান্নাতী খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে গত রোববার (২৭ এপ্রিল) জান্নাতী খাতুন মিতু তাঁর সাবেক স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৭ সালে তালাক দেওয়া আমার স্ত্রী খুলনায় আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য তুলে ধরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছের। আমাদের প্রপার্টি রিলেটেড পারিবারিক বিবাদের জেরে আমার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদের প্ররোচনায় আমার সাবেক স্ত্রী জান্নাতী খাতুন মিতু এই সংবাদ সম্মেলনটি করেন।
আল মামুন বলেন, ‘জান্নাতী খাতুন মিতু খালিশপুর হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন। তাঁর বাবার নাম মইনুল ইসলাম। খুলনা রেলওয়ে মার্কেটে তাঁর একটি ইলেকট্রনিকের দোকান ছিল। সেখানে তিনি দোকানদারি করতেন। ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে আমি মিতুকে বিয়ে করি। বিয়ের শুরু থেকেই তিনি উগ্র, উচ্ছৃঙ্খল এবং অবাধ্য। তাঁর কারণে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। ২০১৭ সালে আমি তাঁকে তালাক প্রদান করি।’
অন্যদিকে গত রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মিতু অভিযোগ করেন, মিউনিসিপ্যাল ট্রাঙ্ক রোডনিবাসী এম এ কুদ্দুসের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার স্বামী একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। বিদেশি জাহাজে উচ্চ বেতনে কর্মরত। তাঁর পছন্দের কারণে আমি চাকরি না করে সংসার জীবন শুরু করি। মামুনের ঔরসে ও আমার গর্ভে তিন সন্তান জন্ম নেয়। বড় ছেলে (১৪) খুলনা জিলা স্কুলে, ছোট ছেলে (৮) সেন্ট জোসেফ স্কুলে ও মেয়ে (৫) স্কুলে লেখাপড়া করছে। স্বামী চাকরিসূত্রে বছরের অর্ধেক সময় জাহাজে, বাকি অর্ধেক সময় আমাদের সঙ্গে থাকত।’
লিখিত বক্তব্যে মিতু বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে টের পাই আমার স্বামী পর নারীতে আসক্ত। অনেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সংসার ও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি তাঁকে সংশোধন করার চেষ্টা করি। কিন্তু কথায় কথায় তিনি গালাগাল এবং আমাকে মারধর করতেন। নির্যাতন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, একবার আমাকে দুই ছেলে নিয়ে ৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
২০২১ সালে আমার স্বামী তাঁর ভগ্নিপতির খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর আমি তাঁর সংসার ছেড়ে নাবালক তিন সন্তান নিয়ে খালিশপুরে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হই। কিন্তু আমার সন্তানেরা বিশেষত বড় ছেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কারণ বাবার সঙ্গে ওর ছিল সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। সে সবসময় তার বাবার কথা বলত এবং নানাবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে যেতে চাইত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘খালিশপুরে বসবাস করলেও আমার তিন সন্তান খুলনায় স্কুল ও কোচিং করে। যে কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা খুলনায় কাটাই। স্কুল ও কোচিং সেন্টার থেকে আমার ছেলের বাবার বাড়ি ট্রাঙ্ক রোড খুবই কাছে হওয়ায় সে প্রায়ই বাবাকে একবার দেখার জন্য ওই বাসায় যেতে চাইত। গত ১২ নভেম্বর আমার তিন ছেলেমেয়ে বিকেলে পড়া শেষে ট্রাঙ্ক রোডের বাসায় যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র আমার স্বামী, তাঁর নতুন স্ত্রী ও বাসার কর্মচারীরা আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও একপর্যায়ে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে গেলে আমাকেও বেদম মারধর করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার পেয়ে খুলনা সদর থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গেলে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন।’
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক সপ্তাহ পর নিখোঁজ পাঁচ জেলের মধ্যে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের মিরাবাড়ি পয়েন্ট থেকে লাশটি উদ্ধার করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ। ওই জেলের নাম নজরুল ইসলাম (৬০)।
১ সেকেন্ড আগেশাহীদা বেগম জানান, তাঁর প্রথম স্বামী আকতার শেখ ১৯৮৮ সালে ডায়রিয়ায় মারা যান। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও সেই স্বামীও কয়েক বছরের মধ্যেই জ্বরে মারা যান। সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছিল, কিন্তু কয়েক বছর আগে যুবক ছেলে আতাউরের মৃত্যু যেন সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
৩ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে নিচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মনোহরপুর ইউনিয়নের কপালিয়া ঘোষপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম বিজলি মণ্ডল (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের মুকুন্দ মণ্ডলের মেয়ে।
২১ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তদন্তকেন্দ্র ছেড়ে পুলিশ লাইনসে চলে যান এসআই বরুন কুমার সরকার। এর আগের দিন বুধবার (৩০ জুলাই) আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘প্রেমতলীতে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এস এম মাকসুদুর
২৩ মিনিট আগে