Ajker Patrika

প্রচণ্ড গরমে দাকোপে খাওয়ার পানির চরম সংকট

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ৫৭
প্রচণ্ড গরমে দাকোপে খাওয়ার পানির চরম সংকট

কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে খুলনার দাকোপে সুপেয় খাওয়ার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র দাবদাহ ও দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার সবচেয়ে বড় সুপেয় পানির উৎস পুকুরগুলো শুকিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে একদিকে বিশুদ্ধ খোলা পানি বিক্রির দোকানে পড়েছে পানি কেনার হিড়িক। অন্যদিকে অনেকেই বাধ্য হয়ে ডোবা-নালার পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। 

সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি পৃথক দ্বীপের সমন্বয় গঠিত সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা এই উপজেলা। এর চারপাশে নদীতে লবণ পানির প্রচণ্ড চাপ থাকায় খরা মৌসুমে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দেয়। 

এবারও একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের সর্বত্রই সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩৬ হাজার ৫৯৭টি পরিবারের প্রায় দুই লাখ মানুষ সুপেয় পানির জন্য হা-হুতাশ করছেন। এমনকি চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকানে খরিদ্দারকে বিশুদ্ধ পানি দিতে না পেরে দোকানদাররা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। 

অন্যদিকে চলতি রবি মৌসুমে এ অঞ্চলের প্রধান ফসল তরমুজ খেতেও সেচ দিতে না পারায় গাছ মারা যাওয়াসহ ফল ভালো বড় না হওয়ার কারণে লোকসানের আশঙ্কা করছেন এলাকার হাজারো কৃষক। এখানে কোথাও গভীর নলকূপ সফল না হওয়ায় রয়েছে অগভীর নলকূপ, যা অধিকাংশ অকেজো। আবার কোনো কোনো নলকূপের পানিতে লবণ, আর্সেনিক যুক্ত এবং অতিরিক্ত আয়রন। 

এলাকাবাসী জানান, এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত রেইন ওয়াটারও নেই। যে কারণে এলাকার মানুষের খাবার পানির একমাত্র ব্যবস্থা পুকুরের পানি ফিল্টার করে খাওয়া। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে এলাকার পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। পুকুরগুলোতে পানি স্বল্পতার কারণে প্রায় সকল ফিল্টার বা পিএসএফ গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকার কতিপয় সচ্ছল ব্যক্তিরা বটিয়াঘাটা, খুলনাসহ বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি কিনে জীবন ধারণ করছেন। 

এ ছাড়া অনেকে এলাকার বিভিন্ন পানির দোকান থেকে পানি ক্রয় করে জীবন ধারণ করছেন। আর মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে যে পুকুরে মিষ্টি পানি আছে সেখান থেকে সরাসরি পানি সংগ্রহ করে নিয়ে পান করছেন। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র অভাবের কারণে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার অনুপযোগী পানি খেয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। এতে অনেকেই ডায়রিয়াসহ নানা পানি বাহিত রোগে ভুগছেন বলে জানান একাধিক ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। 

গুনারী কালি বাড়ি এলাকার বিথিকা সরদার, কালি মন্ডল, তৃপ্তি মন্ডল, অঞ্জনা মন্ডলসহ অনেকে জানান, প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে অতি কষ্টে পানি এনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। আর যাদের টাকা-পয়সা আছে তারা বাইরে থেকে ভালো পানি কিনে খান। কিন্তু তাঁদের মতো ওই এলাকার বহু গরিব মানুষ সরাসরি পুকুরের অবিশুদ্ধ পানি পান করছেন বলে জানান তাঁরা। 

চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল মালিক রমেশ রায় বলেন, ‘পানি সংকটের কারণে খরিদ্দারদের পানি দিতে পারছি না। পুকুরের পানি খাবার অনুপযোগী হওয়ায় তা দিয়ে প্লেট ধোয়ার কাজ চলছে। আর খরিদ্দারদের এক টাকা লিটার পানি কিনে খেতে দিতে হচ্ছে।’ 

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। গত জানুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১২২ জন মানুষ ডায়রিয়ায় গুরুতর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক শত মানুষ ভর্তি ছাড়াই সেবা নিয়েছেন। 

এ বিষয় চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে একটি পানি বিশুদ্ধ করণ প্ল্যান্টের ও বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হতে আর কয়েক মাস সময় লাগবে। কাজ শেষ হলেই পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সংকট অনেকটা নিরসন হবে।’ 

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এখানে পানির আধারের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ১৬৯টি রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক)। এর মধ্যে অকেজো ১৯৪টি। এ ছাড়া ২১টি কমিউনিটি রেইন ওয়াটারের কাজ চলমান রয়েছে। পিএসএফ ৬৮টি মধ্যে সোলার ১২টি। ৬৮৯টি অগভীর নলকূপের মধ্যে বিভিন্ন কারণে অকেজো ৫০০টি, গভীর ২৭টি মধ্যে চালু রয়েছে ২৩টি। ২০টি পুকুর ও ৯টি সোলার ডি সেলাইনেশন ইউনিট। তাছাড়া কয়েকটি ভ্যাসেল টাইপ পিএসএফের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি এনজিও কিছু পানির ট্যাংক ও কয়েকটি পানি বিশুদ্ধ করণ প্যান্ট নির্মাণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় রয়েছে অনেক অপ্রতুল। 

তিনি আরও বলেন, পানি সংকট সমাধানের জন্য এ অঞ্চলে আরও অনেক রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক) ও পুকুর খনন করা দরকার। এ ছাড়া অসংখ্য ছোট-বড় ব্যক্তিগত পুকুর পুনরায় খনন করে সঙ্গে পিএসএফ ও আরও প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার ঝিনাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো—মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু সাঈদ (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তার (৯)। পলি আক্তার ও আবু সাঈদ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া, এ ঘটনায় চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার (৮) ও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ির সাইবা আক্তার ও তার ছোট ভাইসহ মাদারগঞ্জের চরভাটিয়ানী আমতলী এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা দুইজন ও চর ভাটিয়ানি এলাকার কুলসুম আক্তার, পলি আক্তার, আবু সাইদ, ইয়াসিন ও আরও একজনসহ মোট ছয় শিশু ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে অন্যরা পানিতে ডুবে গেলে ইয়াসিন সাঁতার কেটে তীরে ওঠে। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পলি আক্তার, আবু সাঈদ ও সায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে।

সিধুলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, গোসল করতে নেমে তিন শিশু মারা গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

মাদারগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, পাঁচজনের মধ্যে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোটি টাকার জুতা আত্মসাৎ, মালিকের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে ফরচুন শুজ লিমিটেডের প্রায় এক কোটি টাকার জুতা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের আপন ছোট ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ভাই রবিউল ইসলাম (৪০), কাভার্ড ভ্যানচালক রহমতপুর এলাকার জামাল হোসেন (২৮) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শান্ত (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ফরচুন শুজ লিমিটেডের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে গত ২৯ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রতারণার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানির জন্য পাঠানো ১০ হাজার ৮১২ জোড়া জুতা আত্মসাৎ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। জুতাগুলোর বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে বরিশাল বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত ফরচুন শুজ লিমিটেড থেকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে জুতা পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম গাড়িগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২৮ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ট্রাক দুটি যায়নি। এর পর থেকে তাঁদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি ইসমাইল জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ছগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে জুতাবোঝাই কাভার্ড ভ্যান দুটি উদ্ধার এবং তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁদের বরিশালে আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগে যাওয়া তরুণের প্রাণ গেল ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর সদরের বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. প্রিন্স মাহমুদ (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মমিনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। রাতে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নিহত প্রিন্স মাহমুদ ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়েছিলেন।

চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই তরুণ ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন। এরপর নৌ ফায়ার স্টেশন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সংবাদ পায় এবং বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে বেলা দেড়টার দিকে ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মো. রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের স্বজনেরা থানায় এসেছেন। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

চাঁদপুর সদর, বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর, ডাকাতিয়া নদী, গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মৃত্যু, লাশ উদ্ধার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ডেমরায় আজিমুন্নেসা (৫২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বক্সনগর হজরত হাজি রোডের জনৈক ফারুকের বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ডেমরা থানা-পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের স্বামী রাজমিস্ত্রি আব্দুল মজিদ মোল্লা (৬৩) ঘর থেকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কোনো এক সময় ওই নারী নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওই নারীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। সেই চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডেমরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন মৃতের স্বামী।

মৃতের স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে আমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় আজিমুন্নেসার। তিন মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকাসহ সাতটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিই আমরা। এদিকে ব্র্যাকের কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) চাপ প্রয়োগ করেন আমার স্ত্রীকে।’

মজিদ মোল্লা আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে বলেন, ‘‘ঋণ পরিশোধ না করে আপনি মরে গেলে উল্টো আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে যাব।’’ এর পর থেকে মানসিক চাপে পড়েন আজিমুন্নেসা। এ সংসারে আমাদের তিন মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ের পর আমরা স্বামী-স্ত্রী বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করি।’

ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আজ সকালে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত