গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
অনুভূত হচ্ছে শীত। বইছে ঠান্ডা বাতাস। শীতের মৌসুম জানান দিচ্ছে খেজুরের রস ও গুড়ের স্বাদের কথা। ইতিমধ্যে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রস সংগ্রহের কাজে। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হচ্ছে গাছিদের। খেজুরের রস সংগ্রহ চলবে প্রায় ৪ মাস।
সরেজমিনে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। অনেকে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ পরিষ্কার করছেন। কয়েক দিন পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে রস সংগ্রহের কাজ। খেজুর রস ও গুড়ের কদর রয়েছে উপজেলাবাসীর কাছে।
উপজেলার তেরাইল গ্রামের খালেক আলী বলেন, শীত এলেই গুড় তৈরি এবং ভাবা পিঠা, পাটিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে। খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা খেতে খুব সুস্বাদু। আর আমি গত বছর খেজুরের গাছ প্রস্তুত করেছিলাম এবারও নেওয়ার ইচ্ছে আছে।
পথচারী মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, শীতের সকালে রস ব্যবসায়ীরা হাঁক ছাড়েন ‘এই রস আছে রস’। খেজুর রস খেতে সত্যিই সুস্বাদু লাগে। গাছিরা প্রস্তুত করছেন গাছ, খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আজ (শুক্রবার) সকালে এক গ্লাস খেজুরের রস খেয়েছি, ভালোই লাগল।
তেরাইল গ্রামের খেজুর গাছি ছলেমান আলী বলেন, গাছ ছাপ করা প্রায় হয়ে গেছে আর কিছু বাকি রয়েছে। খেজুর রসের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে রস না পাওয়ায় অনেককে দিতে পারছি না। শীত পড়তে শুরু করেছে। দুই কলস রস সংগ্রহ করলে এক কেজি করে গুড় তৈরি হয়। আর প্রতি গ্লাস রস বিক্রি হয় ১০ টাকা।
ছলেমান আলী আরও বলেন, আজ (শুক্রবার) যে সামান্য রস পেয়েছিলাম তা সকাল সকাল বিক্রি করে বাড়ি চলে এসেছি। আশা করছি সামনে সপ্তাহ থেকে রস সংগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। আর রস সংগ্রহ চলবে প্রায় ৪ মাস। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় হয়।
খেজুর রস সংগ্রহে বাড়তি কোনো খরচ হয় না বলে জানান ছলেমান আলী। তিনি বলেন, গাছ মালিকদের প্রতিটি গাছের জন্য মৌসুমে দুই কেজি গুড় দেওয়া লাগে। তিনি আরও বলেন, ঝুঁকি নিয়ে গাছ প্রস্তুত ও রস সংগ্রহ করতে হয়।
করমদী গ্রামের খেজুর গাছি মো. সজিব হোসেন বলেন, ৪০টি গাছ প্রস্তুত করেছি। এক সপ্তাহ পর গাছে কলস বাঁধব। তবে, এখন একেবারে অল্প রস সংগ্রহ হবে তাই কলস বাঁধা হয়নি। শীতে শিশির যত বাড়বে তত রস হবে।
কখনো রস কিংবা কখনো গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন বলে জানান সজিব হোসেন। তিনি বলেন, আশা করছি চলতি মৌসুমে রসের ভালো দাম পাব। এবার গুড় কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পর্যাপ্ত খেজুর গাছ রয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে পুরোদমে খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করার কাজ। খেজুরের রস ও গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান গাছি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খেজুর গাছ পরিষ্কার করে যে পাতা পাওয়া যায় তা দিয়ে বিভিন্ন নকশি পাটি তৈরি করা হয়।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, শীত মনে করিয়ে দেয় সুস্বাদু খেজুর রস ও গুড়ের কথা। গাছিরা রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাটে-গ্রামে বিক্রি করে বেড়ান। তা ছাড়া জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও বেশি দামে বিক্রি করেন। আশা করছি এবার গাছিরা লাভবান হবেন। বিভিন্ন চাষিদের বলাও হয় জমির আইল দিয়ে কিছু খেজুর গাছ লাগাতে।
অনুভূত হচ্ছে শীত। বইছে ঠান্ডা বাতাস। শীতের মৌসুম জানান দিচ্ছে খেজুরের রস ও গুড়ের স্বাদের কথা। ইতিমধ্যে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রস সংগ্রহের কাজে। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হচ্ছে গাছিদের। খেজুরের রস সংগ্রহ চলবে প্রায় ৪ মাস।
সরেজমিনে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। অনেকে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ পরিষ্কার করছেন। কয়েক দিন পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে রস সংগ্রহের কাজ। খেজুর রস ও গুড়ের কদর রয়েছে উপজেলাবাসীর কাছে।
উপজেলার তেরাইল গ্রামের খালেক আলী বলেন, শীত এলেই গুড় তৈরি এবং ভাবা পিঠা, পাটিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে। খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা খেতে খুব সুস্বাদু। আর আমি গত বছর খেজুরের গাছ প্রস্তুত করেছিলাম এবারও নেওয়ার ইচ্ছে আছে।
পথচারী মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, শীতের সকালে রস ব্যবসায়ীরা হাঁক ছাড়েন ‘এই রস আছে রস’। খেজুর রস খেতে সত্যিই সুস্বাদু লাগে। গাছিরা প্রস্তুত করছেন গাছ, খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আজ (শুক্রবার) সকালে এক গ্লাস খেজুরের রস খেয়েছি, ভালোই লাগল।
তেরাইল গ্রামের খেজুর গাছি ছলেমান আলী বলেন, গাছ ছাপ করা প্রায় হয়ে গেছে আর কিছু বাকি রয়েছে। খেজুর রসের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে রস না পাওয়ায় অনেককে দিতে পারছি না। শীত পড়তে শুরু করেছে। দুই কলস রস সংগ্রহ করলে এক কেজি করে গুড় তৈরি হয়। আর প্রতি গ্লাস রস বিক্রি হয় ১০ টাকা।
ছলেমান আলী আরও বলেন, আজ (শুক্রবার) যে সামান্য রস পেয়েছিলাম তা সকাল সকাল বিক্রি করে বাড়ি চলে এসেছি। আশা করছি সামনে সপ্তাহ থেকে রস সংগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। আর রস সংগ্রহ চলবে প্রায় ৪ মাস। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় হয়।
খেজুর রস সংগ্রহে বাড়তি কোনো খরচ হয় না বলে জানান ছলেমান আলী। তিনি বলেন, গাছ মালিকদের প্রতিটি গাছের জন্য মৌসুমে দুই কেজি গুড় দেওয়া লাগে। তিনি আরও বলেন, ঝুঁকি নিয়ে গাছ প্রস্তুত ও রস সংগ্রহ করতে হয়।
করমদী গ্রামের খেজুর গাছি মো. সজিব হোসেন বলেন, ৪০টি গাছ প্রস্তুত করেছি। এক সপ্তাহ পর গাছে কলস বাঁধব। তবে, এখন একেবারে অল্প রস সংগ্রহ হবে তাই কলস বাঁধা হয়নি। শীতে শিশির যত বাড়বে তত রস হবে।
কখনো রস কিংবা কখনো গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন বলে জানান সজিব হোসেন। তিনি বলেন, আশা করছি চলতি মৌসুমে রসের ভালো দাম পাব। এবার গুড় কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পর্যাপ্ত খেজুর গাছ রয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে পুরোদমে খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করার কাজ। খেজুরের রস ও গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান গাছি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খেজুর গাছ পরিষ্কার করে যে পাতা পাওয়া যায় তা দিয়ে বিভিন্ন নকশি পাটি তৈরি করা হয়।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, শীত মনে করিয়ে দেয় সুস্বাদু খেজুর রস ও গুড়ের কথা। গাছিরা রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাটে-গ্রামে বিক্রি করে বেড়ান। তা ছাড়া জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও বেশি দামে বিক্রি করেন। আশা করছি এবার গাছিরা লাভবান হবেন। বিভিন্ন চাষিদের বলাও হয় জমির আইল দিয়ে কিছু খেজুর গাছ লাগাতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে