Ajker Patrika

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
কুয়েটে ছাত্রদের ২ পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ । ছবি: সংগৃহীত
কুয়েটে ছাত্রদের ২ পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ । ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আজ শনিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থক শফিকুল।

এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই নেতা-কর্মীদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর খানজাহান আলী থানার এসআই রিকাবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন ৫ জনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছিলেন সেনাসদস্যরা। তাঁদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির নিন্দা

কুয়েটের মামলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। তারা বলেছে, ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ও ছবি, ভিডিও ফুটেজে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে দেশবাসী জানতে পেরেছে, কুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার সূত্রপাত গুপ্ত একটি ছাত্রসংগঠন ঘটিয়েছে।

বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফ নামের তিনজন ছাত্রদল সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করে থানায় মামলা করলে পুলিশ কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন। ইতিমধ্যে গুপ্ত ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় মারাত্মক আহত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির নেতা আব্দুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যা রীতিমতো নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত